You dont have javascript enabled! Please enable it! 1973.05.03 | বাংলাদেশ-ভারত ঘােষণা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে | দৈনিক পূর্বদেশ - সংগ্রামের নোটবুক

বাংলাদেশ-ভারত ঘােষণা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে

ঢাকা। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেন যে, ভারত বাংলাদেশ ঘােষণা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। নরওয়ে ব্রডকাস্টিং কর্পোরশনের বার্তা সম্পাদকের সাথে এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এই অভিমত প্রকাশ করেন। সন্ধ্যায় গণভবনে এই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু বলেন, পাকিস্তানে আটক বাঙালি এবং পাকিস্তানের নাগরিক ও যুদ্ধবন্দিদের বিনিময়ের সমস্যাটি সম্পূর্ণ মানবিক। তিনি বলেন, পাকিস্তান এই সত্যটি বুঝতে পারছে না। জনাব ভুট্টোর সাথে তার বৈঠক অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশকে স্বীকৃতির আগে বৈঠকের প্রশ্ন। ওঠে না। পররাষ্ট্রনীতির প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু বলেন যে, সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারাে সাথে বিদ্বেষ নয়। এই নীতি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির ভিত্তি। তিনি বলেন যে, প্রথম পাঁচসালা পরিকল্পনায় কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। কৃষিবিদদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করে বঙ্গবন্ধু বলেন যে, উৎপাদন বাড়াতে তারা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তবে কৃষি যন্ত্রপাতি অভাবের জন্য তাদের অসুবিধা হচ্ছে। সরকার কৃষি যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক ব্যাপক ধ্বংসলীলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু বলেন যে, পাকিস্তানি শােষকরা গত ২৫ বছরের নির্মম শাসনে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা সাবেক ‘পূর্ব পাকিস্তানকে একটি বাজার মনে করতেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, হানাদাররা এই অঞ্চলে সকল সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। তারা ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালিয়েছে, অবাধে মা-বােনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে এবং এক কোটিরও বেশি সংখ্যক লােককে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সরকারকে এইসব লােকের জন্য খাদ্যবস্ত্র ও বাসস্থানের। ব্যবস্থা করতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধু দেশের বিধ্বস্ত অর্থনীতির জন্য প্রাকৃতির দুর্যোগের কথা উল্লেখ করেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, তার সরকার জনসংখ্যা প্রতিরােধে দৃঢ় সংকল্প।১০

রেফারেন্স: ৩ মে ১৯৭৩, দৈনিক পূর্বদেশ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ