৬ লক্ষ টন খাদ্যশস্যের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে
জাতিসংঘ। জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল কুর্ট ওয়ার্ল্ড হেইম বলেন যে, বাংলাদেশে অনাহার এড়ানাের জন্য ১৯৭৩ সালের ভয়াবহ খাদ্যঘাটতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে এবং ১৯৭৩-৭৪ সালের শরৎকালীন শস্য মৌসুমের আগেই প্রয়ােজনীয় পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুদ করতে হবে। বাংলাদেশের ত্রাণ কার্যের ওপর প্রণীত এক রিপাের্টে সেক্রেটারি জেনারেল উল্লেখ করেন যে, বেশ কিছু সংখ্যক সরকার খাদ্যঘাটতি পূরণের বিষয়টি সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করছেন। জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ হিসেব মতে, বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের জন্য মাথাপিছু ১৫ আউন্স করে শস্য সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখার উদ্দেশ্যে ১৯৭৩ সালে সাড়ে আট লক্ষ টন খাদ্যশস্য আমদানি করতে হবে। মার্চের শেষ ভাগে সরকার মােট ১২ লক্ষ টন খাদ্যশস্য কিনেছেন এবং এ বছরেই এই খাদ্যশস্যের ডেলিভারি গ্রহণের কথা। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে মােট ৬ লক্ষ সাড়ে সাতাশ হাজার টনেরও বেশি খাদ্যশস্য পাওয়ার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। সেক্রেটারি জেনারেল তার রিপাের্টে তার এই অভিমত ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ত্রাণ তৎপরতার প্রাথমিক লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।৫
রেফারেন্স: ২ মে ১৯৭৩, দৈনিক পূর্বদেশ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭৩, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ