লভ্যাংশ নয়-নয়া শিল্প প্রতিষ্ঠাই সরকারের মূল লক্ষ্য- সৈয়দ নজরুল ইসলাম
৮ ডিসেম্বর শিল্পমন্ত্রী সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প কারখানার লভ্যাংশে শ্রমিকদের অংশীদার করার সম্ভাবনা সরাসরি বাতিল করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ধারণা পুঁজিবাদী অর্থনীতি হতে উদ্ভুত। আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ব শিল্পকারখানায় শ্রমিকদের ন্যায় সংগত মজুরি ও অন্যান্য সুযোগসুবিধা নিশ্চিত করা হবে। এবং উদ্ভুত অর্থ দিয়ে নতুন শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে। আজ ফৌজদার হাট শিল্প এলাকায় ঈগল ষ্টার টেক্সটাইল মিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত এটিই প্রথম শিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনি বলেন, শীঘ্রই দেশের শিল্পনীতি ঘোষণা করা হবে। এবং তাতে বৈদেশিক পুঁজি বিনিয়োগ ও ব্যক্তি স্বাধীনতার ব্যবস্থা থাকবে। তিনি পরিষ্কার বলেন, দেশে শিল্পায়নের স্বার্থে বৈদেশিক পুঁজিকে উৎসাহ দেয়া হলেও কোনো সাহায্যকারী দেশের নিকট বাংলাদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বন্দক রাখবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী : অনুষ্ঠানে ভাষণ দানকালে জনাব এম, আর, সিদ্দিকী বলেন যে, স্বাধীনতার পর ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাচামাল আমদানির জন্যে ১শত ৮১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। বাসস পরিবেশিত সংবাদে আরো প্রকাশ, দেশের প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার শেষ নাগাদ বাংলাদেশ বস্ত্র উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সমর্থ হবে বলে তিনি আশা করেন।
বস্ত্রশিল্প সংস্থার চেয়ারম্যান : পূর্বাহ্নে বাংলাদেশ বস্ত্রশিল্প সংস্থার চেয়াম্যান জনাব মর্শেদ তার ভাষণে বলেন, দেশে প্রথম পাচশালা পরিকল্পনা শেষে মাথাপিছু ১০ গজ হিসেবে দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ বস্ত্রের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।৩১
রেফারেন্স: ৮ ডিসেম্বর ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ