জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদককে সাসপেন্ড ও লালবাহিনী নিষিদ্ধ
জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি জনাব মোহাম্মদ শাহজাহান (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি, অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন, স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে বিদেশ হতে প্রাপ্ত সাগর আত্মসাৎ শ্রমিকলীগ কেন্দ্রীয় তহবিলের সঠিক হিসাবদানে অক্ষমতা, স্বাধীনতার পর বিদেশ হতে প্রাপ্ত সাহায্য সামগ্রী ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ি-গাড়ী দখল ও অর্থ। আতসাৎ লালবাহিনীকে শ্রমিক স্বার্থ ও গণবিরোধী কাজে নিয়োগের চেষ্টা, শ্রমিক আন্দোলনে বিভেদ সষ্ট্রি ও সরকারের দালালি ও শ্রমিক লীগের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র বহির্ভূত কার্যকলাপে লিপ্ত থাকা ইত্যাদি কারণে জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আব্দুল মান্নান এম,সি,একে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো। জনাব আব্দুল মন্নানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগসমূহ তদন্তের জন্য একটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যগণ হচ্ছেন, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট খোরশেদ আলী, জনাব মনোয়ার হোসেন মনি ও জনাব বদিউল আলম। লাল বাহিনী গঠনের যথার্থতাকে অস্বীকার করে লালবাহিনীকে ব্যক্তিগত ও শরিকী স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টা করায় লাল বাহিনীকে নিষিদ্ধ করা হলো। অতএব সারা বাংলাদেশে লালবাহিনীর সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করে দেওয়া হলো। গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাধারণ সম্পাদকের কার্যভার পরিচালনা করবেন জাতীয় শ্রমিক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জনাব রুহুল আমিন ভুইয়া। জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্যতম সহ সভাপতি জনাব আব্দুর রহমান ও দফতর সম্পাদক জনাব এম, এ মান্নানকে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে সাময়িক ভাবে ব্রখাস্ত করা হলো। জাতীয় শ্রমিক লীগের বিষয় সম্পাদক জনাব মেসবাহ উদ্দিন আহমদকে তার নিজ দ্বায়িত্ব ছাড়াও দফতর সম্পাদকের দ্বায়িত্ব দেওয়া হলো। বেআইনী দখলকৃত ২১ নম্বর পুরানা পল্টন হতে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় দফতর ৭৭ নম্বর বড় মগ বাজারে স্থানান্তর করা হলো। তদন্ত কমিটির বিবেচনা ও সংগঠনের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণের জন্য গঠনতন্ত্রে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে আগামি ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রিয় কার্যকরী কমিটির সভা আহ্বান করা হলো।২৫
রেফারেন্স: ৭ ডিসেম্বর ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ