ঔষধ সঙ্কট নিরসনে সরকারের বলিষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহণ
সরকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দফতরের অধীনে মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ (ড্রাগ ও মেডিসিন) সেল গঠন করেছেন। উক্ত দফতরের ডেপুটি সেক্রেটারি (উন্নয়ন) এই সেলের চেয়ারম্যান হিসাবে কাজ করবেন। এক সরকারি হ্যান্ড আউটে বলা হয় যে, সরকার ঔষধপত্রের আমদানিকারকদেরকে সর্বাধিক খুচরা বিক্রয় মূল্য সম্পর্কে একটি বিবৃতি পেশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই বিবৃতির সাথে মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ (ঔষধপত্র) সেলের মূল্য তালিকার একটি কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া সরকার থেকে লিখিত অনুমতি না নিয়ে আমদানিকৃত ঔষধপত্র বিতরণ না করতে এবং ঔষধের খুচরা বিক্রয় মূল্য না লেখার জন্য সরকার আমদানিকারকদের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রত্যেক ঔষধপত্র আমদানিকরাকে সরকারের নিকট প্রতি মাসের পরবর্তী মাসের সাত দিনের মধ্যে মাসিক রিটার্ন দখিল করতে হবে। উক্ত রিটার্নের আমদানিকৃত ঔষধ জেলাওয়ারী ও প্রকার ভিত্তিক তালিকা এবং সর্বাধিক খুচরা বিক্রয় মূল্য প্রদর্শন করতে হবে। অপর দিকে সরকার বাংলাদেশ অত্যাবশ্যক দ্রব্যাদি (ঔষধপত্র) নির্দেশ (১৯৭২) মোতাবেক যে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিম্নোক্ত অফিসারের ক্ষমতা দিয়েছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা দফতরের সেক্রেটারি, এই দফতরের সকল ডেপুটি সেক্রেটারি সকল সিভিল সার্জন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট আওতাধীনে অনুমোদিত যে কোনো অফিসার, স্বাস্থ্য বিভাগের সকল চীফ মেডিক্যাল অফিসার এবং তাদের সংশ্লিষ্ট আওতাধীনে অনুমোদিত যে কোনো অফিসার, স্বাস্থ্য বিভাগের সকল ডেপুটি ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য দফতরের এসিষ্ট্যান্ট লাইসেন্সিং অফিসার, সকল ড্রাগ ইন্সপেক্টর, ড্রাগ কন্ট্রোলার, ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার, এসিষ্ট্যান্ট ড্রাগ কন্ট্রোলার, ডেপুটি ড্রাগ কন্ট্রোলার এবং মূল্য নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ (ড্রাগ ও মেডিসিন সেলের সকল অফিসার)।৪০
রেফারেন্স: ১৪ নভেম্বর ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ