দুর্নীতিবাজ এমসিএদের রেহাই নেই
‘দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় ২০ জনেরও অধিক গণপরিষদ সদস্য পার্টি থেকে বহিষ্কৃত হতে যাচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ স্থানীয় মহল এনাকে জানিয়েছে যে, দুর্নীতিপরায়ণ’ পার্টি এমসিএ-দের সম্ভাব্য তালিকাও ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। পার্টি সাংগঠনিক কমিটির নিকট এ তালিকা পেশ করা হবে। আগামি ২৭ সেপ্টেম্বর পার্টি সাংগঠনিক কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। পার্টি সাংগঠনিক কমিটির এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান। বর্তমান আইন অনুযায়ী কোনো এমসিএ পার্টি থেকে বহিস্কৃত হলে তার পরিষদের আসনও হারায়। উক্ত সূত্রে বলা হয় যে পার্টি প্রধান বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ অনুসারে দুর্নীতিমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কতিপয় পার্টি এমসিএর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। কারণ, বঙ্গবন্ধু পার্টিকে সকল অবাঞ্ছিত লোকদের কবল থেকে মুক্ত রাখতে চান। উক্ত সূত্রে আরো বলা হয় যে, পার্টির থেকে বহিস্কার করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্যও আরো কতিপয় এমসিএকে শো-কজ নোটিশ প্রদান করা হচ্ছে। তালিকাভুক্ত এমসিএদের অধিকাংশই সীমান্তবর্তী জেলা সমূহের কি না, এই মর্মে জিজ্ঞাসা করা হলে উক্ত সূত্রে বলা হয় যে আপনার খুব কাছাকাছি ধারণার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। তবে উক্ত তালিকাভুক্ত এমসিএদের নাম প্রকাশে অসম্মতি জানান। সীমান্তবর্তী জেলাসমূহেই ব্যাপক আকারে চোরাচালানীর খবর পাওয়া যায় বলে উক্ত প্রশ্ন করা হয়। পার্টি সাংগঠনিক জরুরি অধিবেশন আগামি ২৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ এক শ্রেণির আমলা ও কৃত্রিম খাদ্য সংকট সৃষ্টির জন্য দায়ী কর্মচারীদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও এ অধিবেশনে সম্ভবত সুপারিশ করা হবে।৮১
রেফারেন্স: ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ