সেই ১ শত কোটি টাকার হিসাব কোথায়?
স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে তৎকালিন অধিকৃত অঞ্চলের ব্যাংক ও ট্রেজারী থেকে স্বর্ণ-রৌপ্য সহ প্রায় ১ শত কোটি টাকার কারেন্সী নোট মুজিবনগরে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থানীয় গণপরিষদ সদস্য, স্থানীয় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃস্থানীয় কর্মকর্তা বা মুক্তিযুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ এই অর্থ মুজিব নগরে নিয়েছিলেন। তাছাড়া বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার অফিসে দৈনন্দিন ব্যয়ের জন্য রক্ষিত প্রচুর টাকা ও ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী অফিসারগণ সঙ্গে নিয়ে গেছেন। প্রকাশ, সর্বাপেক্ষা আর্থিক অর্থ পাওয়া যায় বগুড়ার বিভিন্ন ব্যাংক থেকে। বগুড়া ব্যাংকগুলো থেকে নাকি ৩৫ কোটি টাকা, রাঙ্গামাটি ব্যাংক থেকে ৪ কোটি, ভৈরব ব্যাংক থেকে ৬ কোটি ও দিনাজপুর ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা বিভিন্ন সময়ে মজিব নগরে নেয়া হয়। কিন্তু এই ১শত কোটি টাকার সম্পূর্ণ টাকাই মুজিব নগরে অবস্থানকারী বাংলাদেশের তৎকালীন সরকারের হস্তগত হয়েছে কি না অদ্যাবধি তা জানা যায় নাই। জনগণ মনে করেন যে, আলোচ্য অন্যূন ১ শত কোটি টাকা ও স্বর্ণ-রৌপ্য সম্পর্কে একটা সুষ্ঠু তদন্ত ও হিসাব হওয়া অবশ্য প্রয়োজন
রেফারেন্স: ১৪ আগস্ট ১৯৭২, দৈনিক ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ