বাংলাদেশের একটি মানুষকেও না খেয়ে মরতে দেয়া হবে না
খাদ্যমন্ত্রী শ্রী ফণী ভূষণ মজুমদার দিনাজপুরের জনগণের উদ্দেশ্যে আশ্বাস দিয়ে বলেন যে, এই জেলার ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্যে সরকার অচিরেই সংশোধিত রেশনিক ব্যবস্থায় খাদ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি করবে। দিনাজপুরের খাদ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য খাদ্যমন্ত্রী শ্রী ফণী ভূষণ মজুমদার বৃহস্পতিবার সকালে দিনাজপুরে স্থানীয় সার্কিট হাউজে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, এম, সি এ ও বিভিন্ন শ্রেণির জনগণের এক সমাবেশে বক্তৃতা প্রসঙ্গে একথা বলেন। মি. মজুমদার বলেন যে, সরকার জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানি করেছে। সরকার বাংলাদেশের একটি প্রাণীকেও না খেয়ে মরতে দিবে না। অতি অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে বুভুক্ষু মানুষের দ্বারে খাদ্য পৌছে দেয়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য তিনি সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সত্যিকার ভাবে দুঃস্থ জনগণের মধ্যে খাদ্য দ্রব্য পৌঁছানোর জন্য সাধারণ। মানুষের প্রতি আহ্বান জানান। খাদ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারই বিকেলে ঢাকা ফিরে আসেন।
দিনাজপুর প্রেস ক্লাবে খাদ্যমন্ত্রী : খাদ্যমন্ত্রী শ্রী ফণী ভূষণ মজুমদার গত বৃহস্পতিবারে দিনাজপুর প্রেস ক্লাব পরিদর্শন করেন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করেন বলে এক সরকারি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ। তাদের সাথে আলোচনা কালে খাদ্যমন্ত্রী মুক্তি যুদ্ধকালে সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি সাংবাদিকদের প্রতি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজে সরকারের সাথে সহযোগিতার আহ্বান জানান। খাদ্যমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রেস ক্লাবকে ৫০০ টাকা দান করেন।৭৯
রেফারেন্স: ২১ জুলাই ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ