সরকার অবৈধ ধর্মঘট ও ঘেরাও বরদাশত করবেন না
রাষ্ট্র প্রধানের আদেশ লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রায়াত্ত কল-কারখানায় ও বিধিবদ্ধ সংস্থাগুলিতে যারা অবৈধ ঘেরাও, ধর্মঘটের মাধ্যমে দাবি দাওয়া আদায়ের চেষ্টা করবে সরকার তাদের কার্যকলাপ বরদাশত করবে না। যারা এসব কার্যকলাপের প্রতি লিপ্ত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা করবে। গত শনিবার ঢাকায় প্রকাশিত এক সরকারি হ্যান্ড আউটে বলা হয় যে, এক শ্রেণীর কর্মচারী ও শ্রমিকদের মধ্যে নিয়োগ কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারীদের মধ্যে সম্পাদিত তথাকথিত চুক্তির ভিত্তিতে পুরাতন দাবি দাওয়া আদায়ের নামে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টির প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। সরকার সংশ্লিষ্ট সকলকে এই কথা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিতে চান যে, রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্প কারখানা ও বিধিবদ্ধ শিল্প কর্পোরেশনসমূহের রাষ্ট্র প্রধানের আদেশ লঙ্ঘন করে ধর্মঘট করে ঘেরাও আহ্বান ও অসদুপায় অবলম্বনে দাবি আদায়ের অনুমোদিত পন্থা গ্রহণ করাকে কোনো ক্রমেই সহ্য করা হবে না। এই কাজে লিপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদি কোনো সুস্পষ্ট দাবি দাওয়া থাকে, তবে তার দাবি যৌক্তিকতার ভিত্তিতে বিদ্যমান শ্রমিক আইন অনুযায়ী মেটানো হবে। কার্যতর অনাদায়ী দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সহানুভূতিশীল ও সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে। উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশের কর্মচারী ও শ্রমিকদের নিজেদের এবং দেশের বৃহৎ স্বার্থ বিরোধী পন্থায় কাজ না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।৬
রেফারেন্স: ২ জুলাই ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ