রূপপুর আণবিক বিদ্যুত প্রকল্পের কাজ যতশীঘ্র সম্ভব হাতে নেওয়া হবে
বাংলাদেশ সরকার রূপপুর পারমানবিক শক্তিকেন্দ্র পরিকল্পনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়নের কাজে হাত দিবে। বর্তমানে এ ব্যাপারে সরকার বিভিন্ন দিক গভীরভাবে বিবেচনা করে দেখছে। সরকারের সামনে এখন মূল সমস্যা হচ্ছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের রিক্ত অর্থনীতি। একথা বলেছেন বিদ্যুত, প্রাকৃতিক সম্পদ, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তি গবেষণা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মফিজ চৌধুরী। রোববার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ শক্তি উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি আরো বলেন যে, এ ব্যাপারে সুষ্ঠু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, ১৯৬১ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গড়িমসি সত্ত্বেও পাবনার রূপপুরে একটি পারমানবিক শক্তি কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট সকল দিক বিবেচনার পর আই. এ. ই. এ. এবং তদানীন্তন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশন যুক্তভাবে ১৯৬১ থেকে ৬২ সালে পাবনা জেলার হার্ডিঞ্জ ব্রীজের পার্শ্বে অবস্থিত রূপপুর গ্রামটিকে আলোচ্য প্রকল্পের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করে। ১৯৬৩ সালে ২৬০ একর জমি ক্রয় করা হয়। এখন পর্যন্ত সে প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় পড়ে আছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন : মন্ত্রী একটি বিদ্যুৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্যে দেশের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যাতে বিদ্যুৎ শক্তির উপযোগিতা লাভে সক্ষম হয় সে জন্য দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ শক্তি পৌছে দেয়াই হলো সরকারের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, দেশের পল্লী অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থা গ্রাম বাংলায় প্রতিষ্ঠা করতে সরকার আগ্রহী। মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে দেশের সামর্থ অনুযায়ী একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে দেশের বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলীদের। বাসস পরিবেশিত এ খবরে উল্লেখ করা হয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এই সেমিনারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর উপদেষ্টা জনাব বি এম আব্বাস এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড: এম এ নাসেরসহ বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও কারিগরি বিশেষজ্ঞগণ উপস্থিত ছিলেন।৭৫
রেফারেন্স: ২১ মে ১৯৭২, দৈনিক বাংলা
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ