৪৪ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক কমিটি গঠিত
জাতির জনক আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল সোমবার রাত্রে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপরোক্ত সাংগঠনিক কমিটি গঠন করেছেন। উক্ত কাউন্সিল অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দলীয় প্রধান হিসাবে কাজ চালিয়ে যাবার জন্য অনুরোধ জানানো হয় এবং সাংগঠনিক কমিটি গঠনের জন্য সর্বময় ক্ষমতা দেয়া হয়। ভৈরব হতে নির্বাচিত গণ পরিষদ সদস্য জনাব জিলুর রহমান নবগঠিত সাংগঠনিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনের ঘোষণা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু নতুন সংগ্রামী কর্মীদের সমবায়ের সাংগঠনিক কমিটি গঠন করেছেন। আওয়ামী লীগ প্রধান কাউন্সিল অধিবেশনে ঘোষণা করেছেন যে, সংগ্রামের মাধ্যমেই সংগঠনে নুতন কর্মী ও নেতার জন্ম হয়। এবং সাংগঠনিক কমিটিতে দেশবাসী এই সব সংগ্রামী মুখই দেখতে পারবেন। পূর্বেকার কমিটির প্রচার সম্পাদক জনাব আবদুল মোমেনই একমাত্র ব্যক্তি, যিনি কোষাধ্যক্ষ হিসাবে নতুন সাংগঠনিক কমিটিতে স্থান লাভ করেছেন। ১৯৭০ সালের জুন এর পর আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠান সম্ভব হয় নাই। ১৯৭০ সালের আওয়ামী লীগ অধিবেশনেও দেশের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে হয় নাই। আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী আইয়ুব-ইয়াহিয়া সরকারের বিরুদ্ধে ক্রমাগতভাবে সংগ্রাম করেছে। উক্ত সংগ্রাম ও জেল-জুলুমের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৬৬ সালে ৬ দফা ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় নাই। আওয়ামী লীগের নব গঠিত সাংগঠনিক কমিটির কর্মকর্তাগণ হচ্ছেন: সহ-সভাপতি জনাব কোরবান আলী, জনাব জহিরুল কাইয়ুম, জনাব আবদুর রহিম, সাধারণ সম্পাদক জনাব জিল্লুর রহমান। কোষাধ্যক্ষ জনাব আবদুল মোমেন। সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আবদুর রাজ্জাক। সমাজসেবা সম্পাদক জনাব গোলাম সারোয়ার, প্রচার সম্পাদক সরদার আমজাদ হোসেন। কৃষি সম্পাদক জনাব আবদুর রউফ। শ্রম সম্পাদক জনাব জহিরুল আমিন ভূঁইয়া। মহিলা সম্পাদিকা মিসেস সাজেদা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক জনাব আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। কার্য নির্বাহ কমিটি সদস্যগণ হচ্ছেন : সর্বজনাব সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, খন্দকার মোশতাক আহমদ, ফনি ভূষণ মজুমদার, জহুর আহমদ চৌধুরী, ইউসুফ আলী, দেওয়ান ফরিদ গাজী (সিলেট), তোফায়েল আহমেদ (বরিশাল), শেখ ফজলুল হক মনি (ফরিদপুর), শাহ মোয়াজ্জেম (ঢাকা), আজিজুর রহমান আক্কাস (বগুড়া), আবদুল মোমেন তালুকদার (পাবনা), ড. ক্ষীতিশ চন্দ্র মন্ডল, ওবায়দূর রহমান (ফরিদপুর), এম,এ মান্নন (শ্রমিক লীগ), মইজুদ্দীন আহমদ (ঢাকা), এ, কে মুজিবুর রহমান, (রাজশাহী), রফিক উদ্দীন ভূঁইয়া (ময়মনসিংহ), শামসুদ্দিন মোল্লা (ফরিদপুর), রওশন আলী (যশোর), নুরুল হক (নোয়াখালী), গাজী গোলাম মোস্তফা (ঢাকা) রাফিয়া আখতার ডলি (টাঙ্গইল), নুরুল ইসলাম মঞ্জু (বরিশাল), সালাউদ্দিন ইউসুফ,আবুল কাশেম, আবদুল হান্নান (চট্টগ্রাম), লুৎফর রহমান (রংপুর) ও শামসুর রহমান (টাঙ্গাইল)
রেফারেন্স: ১৭ এপ্রিল ১৯৭২, ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ