শেখ মুজিবের গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রদেশের বিভিন্নস্তানে জনসভা
ঢাকা, ১৫ই মে-পূৰ্ব্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব শেখ মুজিবর রহমানসহ অন্যান্য আওয়ামী নেতৃবৃন্দ লীগ পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনবলে গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রদেশের সর্বত্রই বিভন্ন সভা ও শােভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হইতেছে। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বায়ত্তশাসন দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে শেখ মুজিবের ৬-দফা প্রস্তাব সম্পর্কেও এই সকল সভায় পূর্ণ সমর্থন প্রদান করা হয়। প্রদেশের শহর, গ্রাম, বন্দরে অনুষ্ঠিত এই সকল সভায় অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাদের মুক্তি দাবী করা হয়।
জামালপুর হইতে তারযােগে প্রাপ্ত খবরে জানা যায় যে, স্থানীয় মহকুমা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় শেখ মুজিবসহ বিভিন্ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করা হয়। সভায় মুজিবের ছয়-দফা প্রস্তাবের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপন করা হয়। প্রদেশের খাদ্য পরিস্থিতির জন্যও সভায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। সভায় অবিলম্বে দেশ হইতে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহারের জন্যও দাবী জানানাে হয়, ইহা ব্যতীত টেন্ডুপাতা অর্ডিন্যান্স বাতিল করা ও কর্মহীন বিড়ি শ্রমিকদের অবিলম্বে কর্মসংস্থানের জন্যও দাবী জানানাে হয়।
সভায় জেলা আওয়ামী লীগ ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব আখতারুজ্জামান জামালপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের সম্পাদক মােকশেদ আলী খান ও বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা জনাব আবদুস সােবহান ও জনাব মঈনউদ্দিন আহমদ সভায় বক্তৃতা করেন।
ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় প্রতিবাদ
সভা শেখ মুজিবর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দের গ্রেফতারের প্রতিবাদে গত ১৩ই মে ব্রাক্ষণবাড়িয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেসার্স আলী আজম ভুঞা, আবদুর রহমান খান, সৈয়দ ওবায়দুল্লা, সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ সরকারী দমন নীতির তীব্র প্রতিবাদ জানাইয়া বক্তৃতা করেন। বক্তাগণ শেখ মুজিব ও অন্যান্য নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি দান করিয়া তাহাদের বিরুদ্ধে আনীত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।
সভায় গৃহীত বিভিন্ন প্রস্তাবে ৬-দফার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন, অবিলম্বে জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার, দেশের সর্বত্র রেশনিং ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবী জানানাে হয়।
আজাদ, ১৭ মে ১৯৬৬