বন্যা, সেঁচ, বিদ্যুৎ ও ঘূর্ণিবার্তা সম্পর্কে ভারত-বাংলাদেশ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, সেঁচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ঘূর্ণিবার্তায় সতর্কবাণী প্রদানের ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা বুধবার শুরু হয়েছে। সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন ভারতের বিদুৎ ও সেঁচ দফতরের মন্ত্রী জনাব ড. কে, এল, রাও বাংলাদেশের পক্ষ হতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেঁচ দফতরের মন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ এবং বিদ্যুৎ ও প্রাকৃতিক সম্পদ দফতরের মন্ত্রী ড. মফিজ চৌধুরী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। আন্তরিক ও বন্ধুত্ব পরিবেশে দুই ঘণ্টারও অধিককাল আলোচনা চলে এবং যথেষ্ট অগ্রগতি সাধিত হয়। আলোচনার পর ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা ড. রাও সাংবাদিকদের বলেন যে, আলোচনা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক হয়েছে। উভয় দেশের বিশেষজ্ঞরা আগামিকাল পুনরায় আলোচনা করবেন। সাংবাদিকদের নিকট ড. রাও প্রথম দিনের আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে বলেন যে, সকল বিষয়ে আমাদের মধ্যে শতকরা একশত ভাগই মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ড. রাও নিজেও একজন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ। ড. রাও বি এস এস প্রতিনিধিকে জানান যে, ফারাক্কা বাঁধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থের নিশ্চয়তা প্রদান করা হবে। ফারাক্কা বাঁধ কার্যকরী হওয়ার পূর্বে উভয় দেশের মধ্যে সমঝোতা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আলোচনাকালে বাংলাদেশের মন্ত্রীদ্বয়কে সাহায্য করেন প্রধানমন্ত্রীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা জনাব বি, এম, আব্বাস, বিদ্যুৎ বিভাগীয় সচিব জনাব শফিকুল হক ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সচিব জনাব আল হুসাইনী। ভারতীয় মন্ত্রীকে সাহায্য করেন পানি ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টা বিভাগের চেয়ারম্যান মি. এন, জি, কে মূতি, কেন্দ্রীয় পানি ও বিদ্যুৎ কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান মি. এ, কে ঘোষ, পানি ও বিদ্যুৎ কমিশনের বন্যা বিভাগের সদস্য মি. এস, কে, ব্যানার্জী ও ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের ডিরেক্টর জে. ড. কোটেশ্বরম।
রেফারেন্স: ২৬ এপ্রিল ১৯৭২, ইত্তেফাক
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ