আন্তর্জাতিক পাট-বাণিজ্যে ভারত ও বাংলার প্রতিযোগিতা হবে না
ভারতের অফিশিয়ালরা ঢাকার সাংবাদিকদের সাথে আলাপ-আলোচনা প্রসঙ্গে বলেন যে, ভারত যখন বাংলাদেশকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে টিকে থাকতেই দেখতে চায়, তখন পাটের ব্যাপারে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করার প্রশ্নই উঠে না। তারা জানান যে, উভয় দেশের সরকারই ব্যাপকভিত্তিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌছেছেন। একটি প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় অফিশিয়ালদের একজন জানিয়েছেন যে, পাট সম্পর্কে আন্তজার্তিক বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবর্তে অনেক ব্যাপারেই বাংলাদেশ এবং ভারতের সাধারণ ক্ষেত্রে অনেক কিছুই করণীয় আছে। তিনি আশা করেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ক্ষেত্রে দুদেশের সরকারই উভয়ের কল্যাণে একটা সুসংহত নীতি গ্রহণ করবেন- এটা দেখার জন্যে তারা তাকিয়ে আছেন। প্রতিযোগিতার ভ্রান্ত ধারণাটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য হবে রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে সামাজিক ভিত্তিক । ভারত থেকে পাটের বীজ আসছে। কৃষি উন্নয়ন সংস্থা পাট এবং আঁউশ ও আমন ধানের বীজ সংগ্রহ চালান এবং ঠিক সময়ে কৃষকের নিকট পৌছিয়ে দেয়ার জন্যে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন বলে বিভাগীয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে। পাট ও আঁউশ ধানের বীজ এর আগে থেকে ভারত হতে বাংলাদেশে এসেছে এবং বিতরণ কেন্দ্রে ওগুলো পাঠানো হচ্ছে। ঢাকা, ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও এবং কুমিল্লায় পাটের বীজ বিমানে করে এসে পৌঁছেছে।
রেফারেন্স: ২০ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ