দুষ্কৃতকারীদের প্রতি সরকারের কঠোর হুঁশিয়ারি
দুষ্কৃতকারীদের সরকার সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন যে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং শাস্তি দেয়া হবে। দেশের কোথাও দুষ্কৃতকারীদের গোলযোগ সৃষ্টির যে কোনো অপচেষ্টা দমনের জন্য সরকার সম্পূর্ণ প্রস্তুত। চট্টগ্রাম পার্বত্য অঞ্চলে দুষ্কৃতকারী এবং অনুপ্রবেশকারীদের তৎপরতা সম্পর্কে স্থানীয় কোনো একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত অতিরঞ্জিত ও চাঞ্চল্যকর খবরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। গতরাতে এক সরকারি হ্যান্ড আউটে এ খবর প্রসঙ্গে আরও বলা হয় যে, ইতোমধ্যেই সরকার সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আয়ত্বে রয়েছে। উক্ত এলাকায় এখন পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। হ্যান্ড আউটে বলা হয়, আসল ঘটনা হলো গত ৪ মার্চ পার্বত্য চট্টগ্রামের রুসা থানা থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে থানচি বাজারে অবস্থিত একটি সীমান্ত ফাঁড়িতে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল মিজো দুষ্কৃতকারী অতর্কিত হামলা চালায়। এই হামলার সময় থানার পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের গুলি বিনিময় হয়। ফলে ১ জন পুলিশ নিহত ও অপর ১জন পুলিশসহ কতিপয় বেসরকারি ব্যক্তি আহত হয়েছে। প্রকাশ, উক্ত ফাড়িতে পুলিশের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৪ জন। অপরদিকে দুষ্কৃতকারীদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। সরকার দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, দেশের যে কোনো স্থানে কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা নেয়া হলে সরকার তাদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। হ্যান্ডআউটে বলা হয়, সরকার পূর্ণ অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত একদল পুলিশ ও বাংলাদেশ রাইফেলবাহিনীকে এই এলাকায় পাঠিয়েছে। পরিস্থিতি এখন তাদের সম্পূর্ণ আয়ত্ত্বাধীন । দুষ্কৃতকারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে। একটি সরকারি হেলিকপ্টার থেকে উক্ত এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। কিন্তু সশস্ত্র দুষ্কৃতকারীদের কোনো চিহ্নমাত্র এ এলাকায় পাওয়া যায় নাই। দেশের যে কোনো স্থানে কোনোরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সরকার দুষ্কৃতকারীদের সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর বলে হ্যান্ডআউটে উল্লেখ করা হয়।
রেফারেন্স: ৯ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ