ত্রাণদ্রব্য খোলাবাজারে বিক্রি হচ্ছে
গণপরিষদ সদস্য এবং আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র পরিষদ সদস্য জনাব আবদুর রব সেরনিয়াবত সম্প্রতি বরিশালের বিভিন্ন অঞ্চলের রিলিফকার্য পরিদর্শন করে দারুণ অব্যবস্থার অভিযোগ করেন। উনি বলেন, রিলিফের দ্রব্য খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বন্টনের ব্যাপারেও চরম পক্ষপাতিত্ব ও স্বজনপ্রীতি রয়েছে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানই দায়ী। সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রিলিফ দ্রব্য বন্টনের যে নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানকার কর্মকর্তারা তা মেনে চলছেন না। বরিশাল শহরের অদূরে কুড়াপুর ইউনিয়নে সমস্ত অধিবাসীকে গড়ে এ পর্যন্ত ৫ ছটাক করে চাউল বরাদ্দ করা হয়েছে। কাগজে কলমে ছ ছটাক করে বরাদ্দ দেখানো হলেও জনগণ এর বেশি পাননি। গ্রাম্য ইউনিটগুলোকে রিলিফ বণ্টনের কোনো দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ইউনিয়ন কমিটিগুলোই নিজেদের খেয়ালখুশিমতো রিলিফ বণ্টন করছে। শহরের বস্তি এলাকার নিঃস্ব জনগণ এবং অন্যান্য শরণার্থীরা কম্বল কিংবা অন্যান্য রিলিফদ্রব্য ঠিক মতো পাচ্ছে না। সারাদিন তীর্থের কাকের মতো দাঁড়িয়ে থাকাই তাদের সার হচ্ছে। রেডক্রসের কম্বল বিতরণের ব্যাপারে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনৈক রিক্সাওয়ালার ভাষায় এসব পেতে হলে তদবীর করতে হয়।
রেফারেন্স: ৯ মার্চ ১৯৭২, দৈনিক আজাদ
দিনলিপি বঙ্গবন্ধুর শাসন সময় ১৯৭২, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ