গােলাম আজম
১১ সেপ্টেম্বর
মােহাম্মদ আলী জিন্নাহর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কার্জন হলে ইসলামী ছাত্র সংঘের স্মৃতি প্রদর্শনীতে ইসলামী ছাত্র সংঘকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন“পাকিস্তান আন্দোলনের সময়ের মত আজকে আবার পাকিস্তানকে রক্ষা করার জন্য নতুন বাহিনীর প্রয়ােজন। ইসলামী ছাত্র সংঘের কর্মী বাহিনীই কায়েদে আজমের মহাদান পাকিস্তানকে চিরস্থায়ী করতে সক্ষম হবে।” | দৈনিক সংগ্রামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের অংশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় এই পত্রিকাটির ভূমিকা কেমন ছিল এটি পড়লে তার অনেকখানি আঁচ করা যায়। “আল বদর একটি নাম। একটি বিস্ময় ! আল বদর একটি প্রতিজ্ঞা। যেখানেই দুষ্কৃতকারী আল-বদর সেখানেই। ভারতীয় চর কিংবা দুষ্কৃতকারীদের কাছে আলবদর সাক্ষাৎ আজরাইল।।
…….“সরল প্রাণ জনসাধারণের দুঃখ দুর্দশা ও দুর্ভাবনার চরম মুহর্তে আল বদর বিশেষ আশ্বাস ও নিশ্চয়তা নিয়ে তাদের পাশে গিয়ে দাড়ায়। পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা ও ইসলামের হেফাজতে আল বদরদের বলিষ্ঠ ভূমিকায় ভারতীয় চর অনুপ্রবেশকারী ও দুষ্কৃতকারীদের সমূলে উৎখাত করে জনজীবনে শান্তি স্বস্তি ও নিরাপত্তার কার্যকরী ও ন্যায়ানুগ পদক্ষেপ জনসাধারণকে শুধু মুগই করেনি, বরং তাদেরকে চিরকৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেছে। জনজীবনে আল বদর তাই সত্য, ন্যায় ও শান্তির প্রতীক।
রেফারেন্স: ১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি- সাইদুজ্জামান রওশন