দৈনিক সংগ্রাম
২২ এপ্রিল
এই দিনে পাকিস্তানী শাষকদের প্রশংসা করে পত্রিকাটি উল্লেখ করে যে “আল্লাহর লাখাে শুকরিয়া যে, মাননীয় প্রেসিডেন্ট যথাসময়ে হস্তক্ষেপ ও লেফটেনেন্ট জেনারেল টিক্কা খান কর্তৃক প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা অবলম্বিত হওয়ায় আরেকবার আল্লাহর দান পাকিস্তান শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।” | কলকাতায় নিযুক্ত ছিলেন তখণ জনাব হােসেন আলী, পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার হিসেবে। জনাব হােসেন আলী আরাে কয়েকজন সঙ্গীসহ অস্থায়ী বাংলাদেশের সরকারের পক্ষে আনুগত্য প্রকাশ করেন। এ দুঃসংবাদ, শুনে দৈনিক সংগ্রাম মন্তব্য করে,
“পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে না এমন কিছু লােক এবং দুষ্কৃতকারীরা কোলকাতাস্থ পাকিস্তানী হাই কমিশন অফিসে যথেচ্ছ ব্যবহার করছিল। ভারত সরকারের উচিত ছিল এসব অবাঞ্চিত ব্যক্তি ও দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে হাই কমিশনের পবিত্রতা ও মর্যাদা রক্ষা করা। কিন্তু ভারত সরকার এ ন্যায় নীতি বােধের পরিচয় দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।”
এই দিনের উপসম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়-“আজাদীর অব্যবহিত পর থেকে দেশে ইসলামী শিক্ষানীতি চালু থাকলে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আদর্শবান শিক্ষক নিয়ােগের ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ব্যবস্থা অবলম্বিত হলে আমাদের সমাজ কিছুতেই বর্তমান অবস্থার সম্মুখীন হত না।”
রেফারেন্স: ১৯৭১ ঘাতক-দালালদের বক্তৃতা ও বিবৃতি- সাইদুজ্জামান রওশন