মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে লিচু বাগান ঘাঁটি নিশ্চিহ্ন
১৯ জন খান সেনা ও রাজাকার নিহত ঃ ৭৩ জন খান সেনা ও রাজাকার ধৃত ঃ বহু অস্ত্রশস্ত্র ও গােলাবারুদ উদ্ধার ও বর্বর পাক বাহিনীর বিমান হামলা ঃ পরশুরাম থানা হানাদার মুক্ত গত ৮ই নভেম্বর মুক্তি বাহিনীর অসমসাহসী যােদ্ধারা দুদিনব্যাপী প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে পরশুরাম থানায় পাক বাহিনীর লিচু বাগান ঘাঁটি নাস্তানাবুদ করে দিয়েছেন এবং হানাদার পশুদের নিশ্চিহ্ন করে পরশুরাম থানা মুক্ত করে নিয়েছেন। এখানকার প্রচণ্ড সংঘর্ষে পাক বাহিনীর ১৯ জন নিয়মিত সৈন্য ও রাজাকার নিহত হয় এবং ৭৩ জন খান সেনা ও রাজাকার মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। মুক্তিবাহিনী এখানে শত্রুদের বহু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছেন। মুক্তাঞ্চলে জাতীয় পতাকা উত্তোলন পরশুরাম থানা শত্রুমুক্ত হওয়ার পর বাংলা দেশ জাতীয় পরিষদের সদস্য পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসন কাউন্সিলের অর্থ সংক্রান্ত সাব-কমিটির চেয়ারম্যান জনাব খাজা আহমদ এম, এন, এ, আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পাক বিমানের বােমাবর্ষণ। পরশুরামে পাক বাহিনীর চরম পরাজয়ের পর গত ৯ই ও ১০ই নভেম্বর পাক বিমান বাহিনীর চারখানা স্যার জেট বিমান পরশুরাম থানায় বােমাবর্ষণ ও মেশিনগানের সাহায্যে গুলি বর্ষণ করে। এতে নিরীহ জনসাধারণের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। | এ সম্মুখ সংঘর্ষে শত্রু পক্ষকে যথেষ্ট খেসারত দিয়ে অত্র এলাকা ছাড়তে হয়। আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাক বাহিনী বীর মুক্তিযােদ্ধাদের হাতে পর্যদস্ত হয়ে শুধু পশ্চাদপসরণই করেনি—তাদের মনােবল একেবারেই ভেঙ্গে গেছে।
আমার দেশে ১:১১
১১ নভেম্বর ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৯