You dont have javascript enabled! Please enable it! তেতুইয়া, তেমোহনী ও আবুর হাটের যুদ্ধ (অক্টোবর) | মোশাররফ হোসেন - সংগ্রামের নোটবুক

তেতুইয়া, তেমোহনী ও আবুর হাটের যুদ্ধ(অক্টোবর)

পাক বাহিনী উপরোক্ত মুক্তিবাহিনীর গেরিলা সেন্টার আক্রমণ করে। এ যুদ্ধ প্রায় দই দিন স্থায়ী হয়। মুক্তিবাহিনীর প্রধান যুদ্ধকেন্দ্র মাতার হাট পর্যন্ত আক্রান্ত হয়। প্রধান গেরিলা সেন্টার ছেড়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত পিছু হটে যেতে হয়েছিলো। পরে প্রবল আক্রমণের মুখে পাকিস্তানী বাহিনী মাতার হাট ছেড়ে আসতে বাধ্য হয়। যুদ্ধে উভয় পক্ষের কিছু লোক আহত ও নিহত হয়।

আবুর হাটে একজন সাধারণ পানের দোকানী দেশ স্বাধীন করার অদম্য এক নজির স্থাপন করেছেন। পাক বাহিনী বাংলাদেশে হানা দেয়ার পাক বাহিনী বাংলাদেশে হানা দেয়ার প্রথম দিকে আবুর হাটের দিকে আসতে শুরু করলে লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে আরম্ভ করে। কিন্তু উক্ত দোকানদার তফাজ্জল হোসেন পাক সেনাদের সম্মুখে গিয়ে কয়েকটি গ্রেনেড ছুড়ে মারে। গ্রেনেড লক্ষ্যবস্তুতে না পড়াতে কয়েকজন পাক সৈন্য আহত হয়।

২৬ শে মার্চ পাক বাহিনী যখন চট্রগ্রামের দিকে আসছিলো তখনা তারা রাস্তার দুপাশের বাড়ীঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। বড় তাকিয়া বাজারে উপস্থিত হয়ে পাক বাহিনী লুট ও অগ্নসংযোগ করে। এ সময় এক সাহসী যুবক দা ও লাঠি নিয়ে একজন পাকসেনাকে আক্রমণ করে। তারপর পাকসেনারা তাকে ধরে ফেলে এবং হত্যা করে।

চট্রগ্রামের দিকে অগ্রসরমান পাক বাহিনী সীতাকুন্ডে পৌঁছেই লোহাগড়া গ্রামে ঢুকে পড়ে। ১০/১২ জন পাক সৈন্য একটা মেয়েকে ধরে আনে এবং একটা পুকুর পাড়ে এনে উপর্যুপুরি ধর্ষণ করে। মেয়েটি কয়েকদিন মাত্র জীবিত ছিলো, তারপর সে মারা যায়।