You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.12.07 | সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
সাধারণ পরিষদে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্রের খসড়া প্রস্তাব জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

৭ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ এর সাধারণ অধিবেশন নং এ/এল-৬৪৭ এ আর্জেন্টিনা, বুরুন্ডি, কেমেরুন, ঘানা, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ইটালী, জাপান, নিকারাগুয়া, সিয়েরালিওন, সোমালিয়া, স্পেন, সুদান এবং তিউনেশিয়া প্রভৃতি দেশের রেজ্যুলেশনের খসড়া
এই সাধারণ অধিবেশন
৩রা এবং ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখের সেক্রেটারী জেনারেল মহোদয়ের রিপোর্ট এবং ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখের কাউন্সিল রেজ্যুলেশন ৩০৩ (১৯৭১) এর লিখনী সমৃদ্ধ নিরাপত্তা পরিষদের পত্রখানা আমলে নিয়ে
ভারত এবং পাকিস্তানের শত্রুতার প্রাদুর্ভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এটি একটি অত্যাসন্ন হুমকি হিসেবে চরম উতকন্ঠিত।
এই বৈরী অবস্থা থেকে উদ্ভূত নানা সমস্যা সমূহ পরবর্তী পর্যায়ে জাতিসংঘ সনদের মধ্যে থেকেই যথাযথভাবে সমাধানের প্রয়োজন স্বীকার করে নিয়ে
সংঘাতময় এলাকাসমূহে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান দরকার হতে পারে বলে প্রত্যয় জ্ঞাপন করে।
সনদের অনুবিধিসমূহ বিশেষতঃ আর্টিকেল ২, প্যারাগ্রাফ ৪ এর আলোকে
স্ট্রেংদেনিং অফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এর ঘোষণা সমূহ বিশেষতঃ প্যারাগ্রাফ ৪, ৫ এবং ৬ স্মরণ করে
আরো প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরী পরিস্থিতির আশু সমাধা এবং সীমান্তের নিজ নিজ পার্শ্বে ভারত এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রত্যাবর্তনের জন্য ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
সনদের আদর্শ এবং নীতিসমূহের মানসে এবং তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্থাপিত ও ১৯৫০ সালের ৩রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত অধিবেশনের রেজ্যুলেশন ৩৭৭-এ(পাঁচ) এর অধীনে
১) ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং নিজেদের সীমানার বাইরে অবস্থিত সেনা নিজ নিজ সীমান্তে প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান করছে;
২) পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীগণ যাতে স্বেছায় নিজেদের স্থানে ফেরত যাবার মত অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এবং সনদের আদর্শ এবং নীতি অনুসারে জোর পদক্ষেপ নেবার জন্য তাগিদ দিচ্ছে;
৩) শরনার্থীগণকে সহায়তা প্রদান এবং দুর্দশা লাগবে মহাসচিবকে সহযোগিতা করার জন্য সকল রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানাচ্ছে;
৪) বর্তমান রেজ্যুলেশনের বাস্তবায়নের হাল অবস্থা তৎক্ষণাৎ সাধারণ অধিবেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করার জন্য মহাসচিবের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছে;
৫) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং সে অনুযায়ী সমাধান খোঁজার জন্য প্রয়োজনে পুনরায় মিলিত হবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে;
৬) বর্তমান রেজ্যুলেশনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহবান জানাচ্ছে;
————

সাধারণ অধিবেশনে আলজেরিয়া, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বুরুন্ডি, কেমেরুন, চাদ, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, ঘানা, গুয়াতেমালা, হাইতি, হন্ডুরাস, ইন্দোনেশিয়া, ইটালী, আইভরি কোস্ট, জাপান, জর্দান, লাইবেরিয়া, লিবিয়ান আরব রিপাবলিক, মরক্কো, নেদারল্যান্ড, নিকারাগুয়া, পানামা, প্যারাগুয়ে, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, স্পেন, সুদান, তিউনেশিয়া, উরুগুয়ে, ইয়েমেন, জাইরে এবং জাম্বিয়া প্রভৃতি দেশ কর্তৃক রেজ্যুলেশনের পুনর্লিখন
এ/এল ৬৪৭/রিভ ১, ডিসেম্বর ৭, ১৯৭১
এই সাধারণ অধিবেশন
৩রা এবং ৪ঠা ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখের সেক্রেটারী জেনারেল মহোদয়ের রিপোর্ট এবং ৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখের কাউন্সিল রেজ্যুলেশন ৩০৩ (১৯৭১) এর লিখনী সমৃদ্ধ নিরাপত্তা পরিষদের পত্রখানা আমলে নিয়ে
ভারত এবং পাকিস্তানের শত্রুতার প্রাদুর্ভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এটি একটি অত্যাসন্ন হুমকি হিসেবে চরম উতকন্ঠিত।
এই বৈরী অবস্থা থেকে উদ্ভূত নানা সমস্যা সমূহ পরবর্তী পর্যায়ে জাতিসংঘ সনদের মধ্যে থেকেই যথাযথভাবে সমাধানের প্রয়োজন স্বীকার করে নিয়ে
সংঘাতময় এলাকাসমূহে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা এবং শরণার্থীদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবার জন্য দ্রুত রাজনৈতিক সমাধান দরকার হতে পারে বলে প্রত্যয় জ্ঞাপন করে।
সনদের অনুবিধিসমূহ বিশেষতঃ আর্টিকেল ২, প্যারাগ্রাফ ৪ এর আলোকে
স্ট্রেংদেনিং অফ ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এর ঘোষণা সমূহ বিশেষতঃ প্যারাগ্রাফ ৪, ৫ এবং ৬ স্মরণ করে
আরো প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে ভারত পাকিস্তানের মধ্যকার বৈরী পরিস্থিতির আশু সমাধা এবং সীমান্তের নিজ নিজ পার্শ্বে ভারত এবং পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর প্রত্যাবর্তনের জন্য ত্বরিত পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
সনদের আদর্শ এবং নীতিসমূহের মানসে এবং তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংস্থাপিত ও ১৯৫০ সালের ৩রা নভেম্বর অনুষ্ঠিত অধিবেশনের রেজ্যুলেশন ৩৭৭-এ(পাঁচ) এর অধীনে
১) ভারত এবং পাকিস্তান সরকারকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং নিজেদের সীমানার বাইরে অবস্থিত সেনা নিজ নিজ সীমান্তে প্রত্যাহারের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান করছে;
২) পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীগণ যাতে স্বেছায় নিজেদের স্থানে ফেরত যাবার মত অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত এবং সনদের আদর্শ এবং নীতি অনুসারে জোর পদক্ষেপ নেবার জন্য তাগিদ দিচ্ছে;
৩) শরনার্থীগণকে সহায়তা প্রদান এবং দুর্দশা লাগবে মহাসচিবকে সহযোগিতা করার জন্য সকল রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানাচ্ছে;
৪) বর্তমান রেজ্যুলেশনের বাস্তবায়নের হাল অবস্থা তৎক্ষণাৎ সাধারণ অধিবেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করার জন্য মহাসচিবের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছে;
৫) পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা এবং সে অনুযায়ী সমাধান খোঁজার জন্য প্রয়োজনে পুনরায় মিলিত হবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে;
৬) বর্তমান রেজ্যুলেশনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহবান জানাচ্ছে;
————
ইউএসএসআর কর্তৃক আনিত সাধারণ অধিবেশন রেজ্যুলেশনের খসড়া
এ/এল ৬৪৮, ডিসেম্বর ৭, ১৯৭১
এই সাধারণ অধিবেশন
ভারত এবং পাকিস্তানের শত্রুতার প্রাদুর্ভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য এটি একটি অত্যাসন্ন হুমকি হিসেবে চরম উতকন্ঠিত হয়ে –
১) প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত প্রকার বৈরীতা নিরসনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আহবান জানাচ্ছে;
২) একইসাথে পাকিস্তান সরকারকে আহবান জানাচ্ছে ডিসেম্বর, ১৯৭০ এর নির্বাচনে প্রকাশিত পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছার যথাশীঘ্র স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে সেখানকার রাজনৈতিক বন্দোবস্তের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য;
৩) এই রেজ্যুলেশনের অনুচ্ছেদ ১ এবং ২ এ বর্ণিত ব্যবস্থাগুলো দ্বারাই গোটা রেজ্যুলেশন ঘোষণা করা হোক।
৪) বর্তমান রেজ্যুলেশনের বাস্তবায়নের হাল অবস্থা তৎক্ষণাৎ সাধারণ অধিবেশন এবং নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করার জন্য মহাসচিবের নিকট অনুরোধ জানাচ্ছে;
৫) বর্তমান রেজ্যুলেশনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহবান জানাচ্ছে;