শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
জাতিসংঘ মহাসচিবকে প্রদত্ত প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের জবাব | জাতিসঙ্ঘ ডকুমেন্টস | ২২ অক্টোবর , ১৯৭১ |
আমি ২০ অক্টোবর, ১৯৭১ এ আপনার প্রেরিত সংবাদ দূত মারফত পেয়েছি ।
আমি ইন্দো-পাক সীমান্তের অচলাবস্থা নিয়ে আপনার চিন্তার সাথে সহমত জ্ঞাপন করছি এবং দুই দেশের মধ্যবর্তী শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষায় চিন্তিত বোধ করছি । এখন পর্যন্ত আমাদের সীমান্তে গোলাবর্ষণ এর ফলে শতাধিক নারী-পুরুষ এবং শিশু নিহত এবং বিপুলসঙ্খক আহত হয়েছে, অসংখ্য মানুষ হয়েছে বাস্তুহারা ।
দুঃখের বিষয় এই যে ১৯ অক্টোবর , ১৯৭১ এ দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার এর প্রস্তাব নাকচ করেছেন । আমি এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে বিতর্কে যেতে চাইনা তবে পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী সৈন্য প্রত্যাহার এর ব্যাপারে প্রস্তাব করছি । এমনকি সীমান্ত থেকে নিরাপদ দূরত্বে সৈন্যরা অবস্থান নিলেও দুই পক্ষই নিরাপদ বোধ করবে, একই সাথে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তে গোলাবর্ষণ বন্ধে প্রস্তাব করছি ।
আমি আরও সুপারিশ করছি যে ইউ.এন পর্যবেক্ষকগণ এই প্রত্যাহার কর্মসূচী দেখভাল করবেন এবং উভয় সীমান্তে শুধুমাত্র নিয়মিত সীমান্তরক্ষী বাহিনী মোতায়েন থাকবে ।
আমি আপনার সাহায্যের প্রস্তাবকে স্বাগত জানাই এবং ইন্ডিয়া–পাকিস্তানে এই ব্যাপারে আলোচনার জন্যে আপনাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি আপনার এই উদ্যোগ দুই দেশের শান্তি স্থাপনে ব্যাপক ভুমিকা পালন করবে ।
১৯ অক্টোবর , ১৯৭১ এ দিল্লীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী সীমান্তে সৈন্য প্রত্যাহার এর প্রস্তাব নাকচ করেছেন এবং লাহোর- শিয়ালকোট দখল করার হুমকি দিয়েছেন। এমতবস্থায় আপনার আগমনের এবং আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম এর ব্যাপারে সবাইকে জানাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা ।
শেষ এ এটুকুই বলতে চাই আমার দেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্যে । আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করে বাধিত করবেন এটাই কামনা ।