শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
ভারত সরকার কর্তৃক জাতিসংঘ মহাসচিবের ত্রাণ সংক্রান্ত স্মরকের জবাব | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস | ১৯ জুলাই, ১৯৭১ |
জুলাই ১৯, ১৯৭১ সাল,ভারত ও পাকিস্তানের সরকারের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের এইড মেমোয়্যার
ভারতে এখন পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনের বিষয়টি পরম উদ্বেগের এবং জরুরী। সংশ্লিষ্ট সচিব পরিপূরক সরকারগুলির সহযোগিতায় তাদের নিজেদের প্রচেষ্টায় একটি নিরাপদ এবং সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে শরণার্থীদের
স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন সহজতর করতে সম্ভাব্য সবকিছু করতে উদ্বিগ্ন। একটি সম্ভাব্য পদ্ধতি হতে পারে, উভয় সীমান্তে উদ্বাস্তুদের জন্য হাইকমিশনারের একটি নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধিত্ব প্রতিষ্ঠা। শরণার্থীদের জন্য হাইকমিশনার ইতিমধ্যে জাতিসংঘের শরণার্থীদের প্রচেষ্টার একটি কেন্দ্রীয় বিষয় হিসাবে কাজ করছে। হাইকমিশনারের প্রতিনিধিগণ ভারতের দিকে শরণার্থীদের সংগ্রহের পয়েন্ট, উভয় পক্ষের সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্ট এবং পাকিস্তানের দিকে শরণার্থীদের গ্রহণ কেন্দ্রে অবস্থান করবেন। মহাসচিবের অনুভূতি যে, বৃহৎ পরিসরে এরুপ একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করার আগে সীমিত উপায়ে বাস্তবে এটা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার জন্যে কতটা সুবিধাজনক তা পরীক্ষা করা কাম্য ।
মহাসচিব শরণার্থীবিষয়ে উদ্বিগ্ন উভয় সরকারকে পরামর্শ দেয়ার আশা প্রকাশ করেন যে, সীমান্তের উভয় পাশে দুটি কিংবা তিনটি নির্বাচিত এলাকায় হাইকমিশনারের প্রতিনিধিগণ গৃহীত হবে, সরকার এলাকাসমূহ হাইকমিশনার সঙ্গে পরামর্শক্রমে প্রস্তাব করবে। এই ব্যবস্থা কার্যকর প্রমাণিত হলে, এটি ধীরে ধীরে সর্বাধিক অথবা সকল প্রত্যাবাসন পয়েন্ট অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রসারিত হবে । মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন যে, ভারত সরকার এই প্রাথমিক প্রচেষ্টা সম্ভব করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার দিতে প্রস্তুত থাকবে। অনুরূপ একটি পরামর্শ ১৯শে জুলাই ১৯৭১ এ পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধিদের কাছেও করা হয়েছে।