You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.16 | ইকনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-এর ৫১তম অধিবেশনে ইন্টার এজেন্সী এ্যাফেয়ার্সের সহকারী মহাসচিব মিঃ ইসমত টি. কিত্তানীর বিবৃতি | জাতিসংঘ ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
ইকনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-এর ৫১তম অধিবেশনে ইন্টার এজেন্সী এ্যাফেয়ার্সের সহকারী মহাসচিব মিঃ ইসমত টি. কিত্তানীর বিবৃতি জাতিসংঘ ডকুমেন্টস ১৬ জুলাই, ১৯৭১

১৬ জুলাই, ১৯৭১ এ ইকনমিক এ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল-এর ৫১তম অধিবেশনে ইন্টার এজেন্সী এ্যাফেয়ার্সের শককারী মহাসচিব মিঃ ইসমত টি. কিত্তানীর বিবৃতি

মি. প্রেসিডেন্ট

     পূর্ব পাকিস্তানে জাতিসংঘ ও এটির মহাসচিবের পরিষদের প্রচেষ্টার কথা জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

     বক্তব্যের শুরুতে এই উদ্যোগের পটভূমির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া আমার জন্য সহায়ক হতে পারে, যাতে অনেক সংগঠক ও প্রোগ্রামার সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ ও পূর্ব পাকিস্তানের জরুরী ত্রাণ প্রয়োজনীয়তা মেটাতে জাতিসংঘের অধিভুক্ত সংগঠনসমূহের পক্ষ থেকে বিশুদ্ধ মানবিক ভিত্তির উপর পাকিস্তান সরকারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তার প্রস্তাব দিয়ে ২২শে এপ্রিল মহাসচিব প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে চিঠি পাঠান। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের কল্যানের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়নপত্র (১২ মে প্রকাশিত হয়) তৈরি হচ্ছে বলে ৩রা মে গৃহিত একটি চিঠিতে জানায়। পরবর্তীকালে, ১৭ই মে, পাকিস্তান প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জাতিসংঘ মহাসচিবকে ফোন করেন এবং, আনুষ্ঠানিকভাবে তার প্রস্তাবটি গ্রহন করে ত্রাণ প্রয়োজনীয়তার দিকসমূহ ব্যাখ্যা করেন। জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধির যোগাযোগের মাধ্যমে এগুলোর বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়, যা অনুষ্ঠিত হয় ২২শে মে (প্রকাশিত হয় ২৬শে মে)। একই চিঠিতে পাকিস্তান সরকার মহাসচিবকে অবহিত করেন যে যেসব বিদেশি ও জাতিসংঘ প্রকল্প কর্মকর্তা পূর্ব পাকিস্তান ত্যাগ করেছে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যেতে ফিরে আসতে পারেন।

     এটা উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে একইস সময়ে, ১৯শে মে জাতিসংঘ মহাসচিব পূর্ব পাকিস্তান থেকে তার পার্শ্ববর্তী ভারতে উল্লেখযোগ্য ও ক্রমবর্ধমান উদ্বাস্তু প্রবাহের কষ্ট ও দূর্ভোগ দূরীকরণে আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। যদিও এটি আন্তর্জাতিক সহায়তা চেষ্টার ভিন্ন দুটি কার্য, অবশ্যই, পরিস্থিতি অনুযায়ী পাকিস্তানের অবস্থার উন্নতি হলে, সেখানে গ্রেপ্তারের ও উদ্বাস্তু প্রবাহ ফেরানোর ভাল সম্ভাবনা থাকবে।

     নিউ ইয়র্কে পাকিস্তানের স্থায়ী জাতিসংঘ প্রতিনিধির নিম্নোক্ত পরামর্শ, মহাসচিব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমার উচিত পূর্ব পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তায় কার্য জড়িত পাকিস্তান সরকারের প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শ করার জন্য পাকিস্তানে যাওয়া।  আমি ইসলামাবাদে ৩রা জুন পৌছাই এবং পরবর্তী সকালে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আমাকে গ্রহণ করেন। ত্রাণ কার্য কার্যক্রম কিভাবে সংগঠিত হবে তা নিয়ে পূর্ণ ঐক্য ছিল, এবং পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আমাকে অনুরোধ করেন যে জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে এই বার্তা পৌছাতে যে জাতিসংঘ তার থেকে ও তার মাধ্যমে আসা সকল ত্রাণ তার গন্তব্য তথা পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কাছে পৌছাবে এমন নিশ্চয়তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে দাতাদের প্রদান করার অবস্থায় থাকবে।

     এই চুক্তি অনুসারে ও ত্রাণ কার্য পরিকল্পনার প্রথম পদক্ষেপ রুপে মহাসচিব পূর্ব পাকিস্তানে একজন প্রতিনিধি নিয়োগ করেন, যিনি অবিলম্বে তার দ্বায়িত্ব গ্রহনের জন্য ঢাকা ভ্রমণ করেন। তার প্রধাণ কাজ হল কেন্দ্র রুপে এজেন্সি ও জাতিসংঘ পরিবারের প্রোগ্রামসমূহের সমন্বয় সাধন করা যা তাদের নিজ-নিজ ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করবে। একই সময়ে পরিপূরক হিসেবে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নিয়ে পাকিস্তান সরকারের আন্তঃবিভাগীয় কমিটি গঠন করা হয়, এবং এই দুই দল ত্রাণ কার্য পরিকল্পনা ও সংগঠন নিয়ে একসাথে কাজ করছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের ঢাকা, নিউ ইয়র্ক ও জেনেভা দপ্তরের মাঝে সরাসরি ও বিশ্বাসযোগ্য যোগযোগ পথ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮ই জুন জাতিসংঘ মহাসচিব সদর দপ্তর সমন্বয় সাধক নিয়োগ করেন যিনি আন্তঃ এজেন্সি বিষয়ক দপ্তরের কাঠামোতে তার কার্য সম্পাদন করেন। জুনের শেষ হতে তিনি জেনেভায় তার কার্য চালিয়ে যাচ্ছেন। স্থায়ী ইন্টার-এজেন্সি ইউনিটের গঠনের সাথে মিলিয়ে একটি ইন্টার-এজেন্সি ওয়ার্ক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা হয়। 

     ১৬ই জানুয়ারিতে জাতিসংঘ মহাসচিব সকল সরকার, আন্তঃসরকার ও বেসরকারি সংগঠনের কাছে ও ব্যাক্তিগত প্রতিষ্ঠান ও দাতাদের কাছে আবেদন পাঠান, অর্থ বা এ ধরণের কিছু দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানিদের উপর আরোপিত হওয়া দুর্ভোগ দূর করতে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দাতারা সর্বোচ্চ সম্ভাব্যভাবে জাতিসংঘ পরিবারের প্রতিষ্ঠিত প্রক্রিয়ায় নিজেদের জড়িত করবে, বিশেষ করে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফের সাথে। এবং তিনি আস্থা রাখেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও একবার মানবিক ঐক্য ও আন্তর্জাতিক সহযোগীতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে যা জাতিসংঘ সনদে সন্নিবেশিত আছে।

     ত্রাণ সহায়তার বিধিবিধানে মৌলিক কাঠামো এভাবে জাতিসংঘ থেকে এবং এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং মহাসচিবের আবেদন পাঠানোর একমাস পর মানবিক সহায়তার মাত্রা ও প্রকৃতি মূল্যায়ন পর্যালোচনা করতে সরকারের সাথে পারস্পরিক সহায়তায় একটি টেকসই প্রচেষ্টা হয়। পূর্ব পাকিস্তানে বিদ্যমান থাকা পরিস্থিতিতে খাদ্য, পরিবহন ও স্বাস্থ্য বিষয়ক জমা হওয়া তথ্যসমূহ এবং সেখানকার মানুষের কষ্ট দূর করতে প্রয়োজনীয় সহায়তার সূচকসমূহ এই রিপোর্টে আছে যা আজ প্রকাশিত হয়েছে। মহাসচিব নিজেকে মানবিক প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে  তার জরুরি আবেদন পুনরারম্ভ করার কাজে অবদান রাখায় নিয়োজিত করেন যা হল জাতিসংঘ প্রক্রিয়ার সংগঠন ও প্রোগ্রামসমূহের মুখোমুখি হওয়া সবচেয়ে বড় সমস্যাসমূহের মধ্যে অন্যতম।

যেহেতু উপরোক্ত প্রতিবেদন এখন সহজলভ্য, তাই আমার পূর্ব পাকিস্তানের খাদ্য, পরিবহন ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতির বিস্তারিত বর্ণনা ও সহায়তা প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব বোঝানোর প্রয়োজন নাই।   কিছু বিষয়, যাইহোক, গুরুত্ব অনুযায়ী বিশেষ মনযোগ আকর্ষণ করে এবং এগুলো উল্লেখ করতে আমার কিছু সময় নেয়া উচিত।

     পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ ১৯৭০ সালের ১১ ও ১২ মার্চ বদ্বীপ এলাকায় আঘাত হানায় বড় বন্যা ও সাইক্লোনে কষ্টে ভোগেছে এবং ভোগেছে মার্চ ১৯৭১ এ শুরু হওয়া গৃহবিবাদের ফলেও। পুর্ব পাকিস্তানে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রতিনিধির রিপোর্ট ইঙ্গিত দেয় যে শস্যের ক্ষতি, শক্তি ক্রয় ও পরিবহন বিচ্ছিন্নতার কারণ হয়ে গুরুত্বপুর্ণ সংখ্যক মানুষ গ্রাম্য এলাকায় যাচ্ছে। এখন ও নিকট ভবিষ্যতে এই অবস্থা খাদ্য ও ত্রাণ কার্যক্রম জটিল করবে কিন্তু উচ্ছেদ মানুষের বড় জমায়েত প্রতিবেদনে আসেনি।

     পরিস্থিতির প্রাথমিক পর্যালোচনা পরামর্শ দেয় যে প্রাথমিক সমস্যা হল খাদ্য ও অন্যান্য ত্রাণ সহায়তার বন্টন। পাকিস্তান সরকারের এই বিষয়ক পরিপুরক কমিটি মহাসচিবের প্রতিনিধিকে জানায় যে চট্টগ্রাম বন্দরকে পূর্ণ কার্যক্ষম ও কার্যকর করতে পাকিস্তান সরকার বড় বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাইহোক, রেল ও রোড পরিবহন ক্ষমতা উদ্বেগজনকভাবে কমে গেছে এবং এটি পরিস্কার যে খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহের জন্য অবশ্যই জলপথে আস্থা রাখতে হবে।

     পূর্ব পাকিস্তানের মহাসচিবের প্রতিনিধি ও ফুড ও এগ্রিকালচারে, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা এ বিষয়ক পাকিস্তান সরকারের কমিটির সাথে পূর্ব পাকিস্তানে বড় মাত্রার আন্তর্জাতিক মানবিক প্রচেষ্টার পরবর্তী পরিকল্পনা ও সংগঠনের জন্য কাজ করছে। সহায়তা প্রদানের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জাতিসংঘের খাদ্য মজুদ ও তহবিলের হিসাবনিকাশ ইঙ্গিত দেয় যে প্রাথমিকভাবে এখন মোট ২৮,২০০,০০০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন।  

FAO এর মহাপরিচালকের কাছে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আরও জরুরী খাদ্য সহায়তার পরামর্শ দিবেন কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার নির্বাহী পরিচালক পূর্ব পাকিস্তানে থাকা FAOA VFP দলের তথ্যের আশায় আছেন। ঢাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত FAO-এর জ্যেষ্ঠ কৃষি অর্থনীতিবিদ চট্টগ্রাম বন্দর ও তার সংরক্ষণ সুবিধার উপর কিছু পর্যবেক্ষণ করেছেন। তার মতে পরিবহন বিচ্ছিন্নতা এখনও একটি সীমাবদ্ধতা এবং ফলন ও বিলির অনিশ্চয়তার জন্য শস্য হিসাব করা কঠিন। পুষ্টির অভাবের কারণে স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার প্রবল আশংকা আছে। তার কাজ শেষ হওয়ার পর আরও ব্যাপক প্রতিবেদন তার কাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে।

 পূর্ব পাকিস্তান স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে মিলিতভাবে মহাসচিবের অনুরোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ক্যান্ডাউয়ের পাঠানো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরীপকারী দল একটি প্রাথমিক জরীপ সম্পন্ন করে এবং ২৯শে জুন থেকে ৯ই জুলাইয়ের মধ্যে চিকিৎসা সমস্যা হবে এই অনুমান করে। প্রগ্রামের প্রাথমিক অবস্থায় পূর্বানুমিত প্রধান সংক্রামক রোগ সমস্যা ও যথাসম্ভব পুষ্টি সমস্যা মোকাবেলা সামলাতে সহায়তার পাশাপাশি প্রধান রোগ প্রতিরোধ, চিকিৎসা সেবা ও স্বাস্থ্য সমস্যা  মোকাবেলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নেয়া হয়। সরকারের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও চাহিদার হিসাব এখন বর্ণনা হবে।

  সরকারের একটি নির্দিষ্ট আমন্ত্রণের সাড়ায়, ঢাকার ইউনিসেফ অফিস পূর্ব-স্কুল ও অল্পবয়সী স্কুল শিশুদের মাঝে খাদ্য বন্টনের যোগান প্রদান ও সংগঠনের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেন। সরকার প্রস্তাব দেয় যে স্কুল্গুলোকে খাদ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করতে এবং এটি ইঙ্গিত দেয় যে যদিও বর্তমান ব্যবস্থা এই কার্যক্রম সামলাতে পারবে, তবুও প্রস্তাবিত প্রোগ্রামের প্রাথমিক ১ বছর সময়ে পরিবহন ও বিশেষ খাদ্য যোগানের প্রয়োজন যাতে ইউনিসেফ সকল প্রাথমিক স্কুলের মদ্ধ্যে কমপক্ষে ২৫% স্কুলের মাধ্যমে পূর্ব-স্কুল ও স্কুলগামী বয়সের শিশুদের কাছে পৌছানোর লক্ষ্যে সংযুক্ত থাকবে। আশা করা হয় যে এটি ১,২০০,০০০ অল্পবয়সী শিশুদের কাছে পৌঁছাবে এবং প্রতিদিন প্রাক-রান্নার উচ্চ প্রোটিনযুক্ত ১০০ গ্রাম শিশু খাবারের পরিপূরক প্রদান করবে। ভোজন প্রোগ্রামে ঘটনা পরস্পরায় একটি পুষ্টি শিক্ষা উপাদান থাকবে, আশা করা হয় যে এটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দিকে নিয়ে যাবে যা প্রাথমিক জরুরী অবস্থা দূর হওয়ার পর সরকার ইউনিসেফ নয় এমন উৎসের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। একই বিশেষ খাদ্য প্রদান প্রোগ্রামে, ইউনিসেফ বর্তমানের সহায়তা প্রকল্পসমূহ বিশেষ করে স্বাস্থ্য, গ্রাম্য পানি সরবরাহ এবং শিক্ষা খাতের প্রকল্পসমূহ জোরদার করতে একমত হয়েছে। দেশের বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের জন্য অতিরিক্ত সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে এবং, পরবর্তী কোন পর্যায়ে, ভারত থেকে উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তনের জন্য, যদি, আশা অনুযায়ী, উদ্বাস্তু সংখ্যা বৃদ্ধি পায় ও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হওয়া অভ্যর্থনা কেন্দ্রসমূহ শক্তিশালী ও বিস্তৃত করার প্রয়োজন হয়।

অন্যান্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টাসমূহ যেমন লীগ অফ রেডক্রস সোসাইটিজ, যা তাদের সাইক্লোন দূর্যোগ প্রকল্পসমূহ অব্যাহত রাখবে এমন শর্ত দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের তাদের দুজন প্রতিনিধি পাঠিয়েছে যারা পাকিস্তান রেডক্রস সোসাইটির সাথে একটি জরিপ করবে। কেয়ার সহায়তা প্রোগ্রাম তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং গতিবেগ বাড়াচ্ছে। কিছু সংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের বর্তমান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে অথবা নতুন সহায়তা প্রোগ্রাম তৈরি করছে।

এটি, মি. প্রেসিডেন্ট, পূর্ব পাকিস্তানে হওয়া মানবিক ত্রাণ কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা। আমি পূর্বে যেমন বলেছি, পরিস্থিতি ও প্রয়োজন পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গ্রহণ করা অবদানসমূহ এই প্রতিবেদনে আছে যা আজ ইস্যু করা হয়েছে। আমি কি শুধুমাত্র এটি নির্দিষ্ট করে বলতে পারি যে এই কার্য এখনও বৃহতভাবে পর্যালোচনা ও পরিকল্পনার পর্যায়ে আছে। সহায়তা প্রয়োজনীয়তার সকল হিসাব, যাইহোক, ত্রাণ কার্যের জন্য বাহ্যিক উৎসসমূহের সংহতি বিধানের আশু প্রয়োজনীয়তার দিকে নজর দেয়।

উপসংহারে আমি এই পরিষদে মহাসচিবের গভীর কৃতজ্ঞতা ও উপলব্ধি গৌরবমণ্ডিতভাবে জানাতে চাই যাতে সকল জাতিসংঘ প্রোগ্রাম ও এজেন্সি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মসৃণ ও ঐক্যের সাথে কাজ করেছে।