You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.14 | পাকিস্তানে বিশেষ আদালত গঠনের বিরোধীতায় জেনেভাস্থ আন্তর্জাতিক আইনবিদ পরিষদের (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট) সংবাদ বিজ্ঞিপ্তির অনুলিপি | জাতিসংঘ - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
পাকিস্তানে বিশেষ আদালত গঠনের বিরোধীতায় জেনেভাস্থ আন্তর্জাতিক আইনবিদ পরিষদের (ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অব জুরিস্ট) সংবাদ বিজ্ঞিপ্তির অনুলিপি জাতিসংঘ ১৪ এপ্রিল, ১৯৭১

আন্তর্জাতিক জুরিস্টস কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি-
এপ্রিল ১,১৯৭১ : পাকিস্তানের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক জুরিস্টস কমিশন গতকাল নিম্নলিখিত শর্তসাপেক্ষে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছে একটি টেলিগ্রাম পাঠান।

অধিকতর আমার ২ এপ্রিলের টেলিগ্রাম জুরিস্টস কমিশনের আওয়ামীলীগ নেতাদের রিপোর্টড অভিব্যক্তিরর বিশেষ মিলিটারি ট্রাইব্যুনালকেকে শোচনীয় করে তোলে। সম্মানের সাথে গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে সভার কার্য বিবরণীর পূর্বে নিম্ন আদালত সন্তুষ্ট হবে, আন্তর্জাতিক মতামতের ভিত্তিতে যাতে আইনের শাসন পরিলক্ষিত হয়।
ম্যাকডারমেট
সেক্রেটারি এনারেল
জুরিস্টস আন্তর্জাতিক কমিশন সবসময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার নীতির বিরোধিতা করেছে। রাজনৈতিক বিরোধীদের হত্যার বৈধতা প্রদানে যথাযথভাবে গঠিত আদালতের বিজ্ঞ বিচারকদের প্রশিক্ষণ দ্বারা নিন্দিত না থাকায় স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে যে তারা এটি করবে তা সহজেই অনুমেয় ছিলো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের মধ্য দিয়ে। যদি শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা আওয়ামীলীগের অন্য কোন নেতা পাকিস্তানের আইনের ভেতরে কোনো অপরাধ করতো তবে কেনো তাদেরকে দেশের সম্মানিত বেসামরিক আদালতে আনা উচিত হবে না ।
উপরের টেলিগ্রামের একটি নিম্নরূপ টেলিগ্রাম ২ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়।

আন্তর্জাতিক কমিশন অফ জুরিস্টস গভীরভাবে উদ্বিগ্ন পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনা নিয়ে আইনের সংযম ও সম্মানের তাড়নবোধ থেকে সম্ভাবপর সকল পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ কিতা হয় মৃতের সংখ্যা কমাতে ও রাজবন্দীদের চিকিৎসার জন্য।

ম্যাকডারমেট
সেক্রেটারি এনারেল
জেনেভায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক কমিশন অফ জুরিস্টস এর প্রধান কার্যালয়ে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সংস্থা,ইউনেস্কো এবং ইউরোপীয় কাউন্সলের সাথে একটি পরামর্শমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এটা আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের এনজিওগুলোর একটি বিশেষ তালিকা।মূলত এর কাজ হচ্ছে বিশ্বের সর্বত্র আইনের শাসন রক্ষা করা এবং বিশ্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্র প্রতিষ্ঠা করা। এটি পুরোপুরি একটি বেসামরিক সংস্থা যা বিগত ১৫ বছর যাবত নিষ্ঠার সাথে তাদের কাজ করে যাচ্ছে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে। এটি এমন একটি কর্তৃপক্ষ যা আইনত এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডল থেকে সব মহাদেশের জুরিস্টদের সমর্থন কুড়াতে সক্ষম হয়েছে।