শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য রেডক্রস লীগের ত্রান তৎপরতা | রেডক্রসের তথ্যবিবরণী | ৯ আগস্ট, ১৯৭১ |
রেডক্রস সংবাদ ও বৈশিষ্ট্য
সোমবার, ৯ আগস্ট, ১৯৭১ প্রকাশিত
ভারতে উদ্বাস্তু শিশুদের অপুষ্টি নিয়ে রেড ক্রসের তৎপরতা
ভারতে পূর্ব পাকিস্তানের উদ্বাস্তু শিবিরের শিশুদের মধ্যে অপুষ্টি সংখ্যার নাটকীয় বৃদ্ধি রেড ক্রসের জন্য এখন এক নতুন চ্যালেঞ্জ।
ইতোমধ্যে শিবিরে ৮০০টি দুধ কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে, ইউনিসেফ ও ভারতীয় কর্তৃপক্ষের একান্ত সহায়তায় ভারতীয় রেড ক্রস অপর্যাপ্ত পুষ্টি ও অনূর্ধ্ব সাত বছরের শিশু ও দুগ্ধ্যদায়ী মায়েদের রোগের প্রকোপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের সম্পূরক খাদ্য ও চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০,০০০ জন অসুস্থ-অপুষ্টি-রোগাক্রান্তের জন্য যথাযথ চিকিৎসা সেবা ও ভিটামিন, উচ্চ আমিষ জাতীয় খাদ্য, দুধসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর লক্ষ্যমাত্রা বিশ লাখে পৌঁছেছে।
মধ্য আগস্টের দিকে, মোট এক মিলিয়ন প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য আরও ১,২০০ কেন্দ্র চলনা করতে হবে বলে ভারতীয় রেড ক্রস আশা করছে, তাই বর্তমান পরিকল্পনা মতে এখনের কেন্দ্র গুলোর সামর্থ্য দ্বিগুণ ও নতুন কেন্দ্র খুলতে হবে। ইউনিসেফ এই কার্যক্রমের জন্য সরঞ্জাম, আর্থিক ও যৌক্তিক সহায়তা প্রদান করছে। এটি তার সকল সামর্থ্য উদ্বাস্তুদের দ্রব্যাদি সরবরাহে প্রয়োগ করছে, যার সাত মিলিয়ন সদস্য যার মধ্যে ভারতীয় রেড ক্রসের ৫,০০০ কর্মী মাঠে রয়েছে। যদিও এই কার্যক্রম চালিয়ে নিতে ৪৩টি দেশের রেডক্রস লীগ ও জাতীয় সম্প্রদায় প্রায় ২০ মিলিয়ন সুইস ফ্রাংক সহায়তা দিয়েছে। এগুলো দুধ কেন্দ্র ছাড়াও চলমান ৩৮টি অস্থায়ী চিকিৎসা দলে ও তিনটি হাসপাতালে যুক্ত করা হয়েছে। রেড ক্রসের স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার ও সেবিকা প্রায় ৬০০,০০০ জনকে কলেরা ও অন্যান্য রোগের টিকা দান করেছে।
সিস্টার সোসাইটি থেকে পাওয়া সহায়তার মধ্যে ছিল ৮০টি এ্যাম্বুলেন্স, ৩০,০০০ মানুষের আশ্রয়ের জন্য টিন ও প্লাস্টিকের ছাউনি, গুঁড়োদুধ, শিশু খাদ্য, কলেরা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন, চিকিৎসা সামগ্রী, মাল্টিভিটামিন ট্যাবলেট, কম্বল ও কাপড় এবং স্থানীয় ব্যবহার, খরচ ও যাতায়াতের জন্য টাকা, একটি সাথে কলকাতা থেকে অন্য প্রান্তে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত যেখানে উদ্বাস্তুরা সংখ্যায় বেশী সেখান পর্যন্ত একটি বিমান।