You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.06.22 | বাংলাদেশের শরণার্থীদের সম্পর্কে ‘ফ্রেঞ্চ এপিসকপেট’- এর বিবৃতি | ডকুমেন্টস - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
বাংলাদেশের শরণার্থীদের সম্পর্কে ‘ফ্রেঞ্চ এপিসকপেট’- এর বিবৃতি বাংলাদেশ ডকুমেন্টস ২২ জুন, ১৯৭১

ফ্রান্স এপিসকপেট এর স্থায়ী পরিষদ মঙ্গলবার ১৯৭১ সালের ২২ শে জুন প্যারিসে একত্রিত হয়েছিল এবং পূর্ববঙ্গের শরনার্থী সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন অইদিনই প্রকাশ করেছিল।
এটা প্রতিবেদনের পূর্নাঙ্গ অংশ যেটা ক্যাথেলিক দৈনিক ‘la croix ‘ এ ২৪ শে জুন প্রকাশিত।
স্থানীয় সমস্যাগুলোর জন্য আমাদের দূরবর্তী ভাইদের কথা ভূলে গেলে চলবে না।বিশ্বের কোন এক এলাকা এই মূহূর্তে বিশেষভাবে চেষ্টা করছে পূর্ববঙ্গের একটি প্রদেশ। একটা মরনাপূর্ন ঘূর্নিঝড়ের পর একটা বেসামরিক যুদ্ধের কারনে ছয় লক্ষ শরনার্থী ভারতে চলে গেসে। কলেরার প্রাদুর্ভাবে আশা করা যাচ্ছে সামনের দীর্ঘ মাসগুলোতে পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হতে হবে। যেটা এই অঞ্চলকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ফেলবে। একই সাথে প্রতিটা মানুষের ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে।কিছু এলাকায় হত্যাকাণ্ডকে নিপীড়নের অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। অনেক বাঙালি অফিসারকে নিষ্পন্ন করা হয়েছে এবং দেশ পালাতে জোড়পূর্বক বাধ্য করা হয়েছে।
ফ্রেঞ্চ বিশপের স্থায়ী পরিষদ মনে হয়ে করে এইটা সব সচেতন খ্রিস্টানদের দায়িত্ব। এই মূহুর্তে প্রয়োজনীয় বিশেষ পদক্ষেপ নিয়ে লক্ষ শরনার্থী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে সাহায্য করা। যদিও সহায়তা করা একার বিষয় নয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার ব্যপকতায় প্রয়োজন রাজনৈতিক সমাধান।এটা বিভিন্ন জাতির কাছে আবেদন যে নিজেদের সম্পৃক্ত করে এই সমস্যা শেষ করে। এখন এমন অবস্থা পূনরুদ্ধার করা ,যেন শরনার্থীদের ফিরে যাওয়া সম্ভব হয়। এই দাবী পূর্ববঙ্গে বসবাসরত প্রতিটি নাগরিকের প্রতি সম্মান দেখানো ও তাদের মৌলিক অধিকার্।
এটাই কষ্টের যে বিভিন্ন দেশ যাতে ফ্রান্সও যুক্ত আছে ,পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে ,যেটা সম্ভবত এই ভয়ঙ্কর নিপীড়নে সাহায্য করছে।
ফ্রেঞ্চ নাগরিকের রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক তাদের দায়িত্ব নিজেদের জানানো ,সচেতনভাবে যুক্ত হওয়া ,এবং নিজেদের উপলব্ধি করা এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিপীড়িত মানুষের সাথে ,এবং গ্রহনযোগ্য সমাধান খুজতেক একত্রিত হওয়া।