শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার মেনে নেয়া উচিৎ : যুগোশ্লাভ লীগ ফর পীস, ইন্ডিপেন্ডেন্স এন্ড ইকুয়ালিটি অব পিপলস -এর বিবৃতি। | যুগোশ্লাভ লীগ উদ্ধৃত :বাংলাদেশ ডকুমেন্টস। | ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১ |
১৩ এপ্রিল,১৯৭১ যুগোশ্লাভ লিগ ফর পীস, ইন্ডিপেন্ডেন্স এন্ড ইকুয়ালিটি অব পিপলস এর ইস্যুকৃত বিবৃতি।
১৩ এপ্রিল পুর্ব পাকিস্তান স্টেশন থেকে যুগোশ্লাভ লীগ ফর পীস, ইন্ডিপেন্ডেন্স এবং ইকুয়ালিটি অব পিপলস এর সম্পূর্ণ বিবৃতি নিম্নে উল্লেখ করা হল।
সকল বিদেশি সাংবাদিককে বহিষ্কার ও কঠোর সেন্সরশিপ চালুর পর, পাকিস্তান সরকারের সরকারি বিবৃতিতে দাবি করা হয় যে, পুর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে।
যাই হোক, বিশ্ব সংবাদ সংস্থা ও প্রেস টিম প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতির উপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন তৈরী করে, এই মর্মে যে গৃহযুদ্ধ এখনও চলছে, যাতে জনগণের দুর্ভোগ দিনের পর দিন বাড়ছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সহিংসতা চলছাই এবং পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা বন্ধ হয়নি।
সাম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের ভোটের নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রকাশ এবং দ্ব্যর্থহীনভাবে তাদের ইচ্ছা পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে পাকিস্তানের উভয় অংশের স্বায়ত্তশাসন ও সমতার ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সম্পর্ক স্থায়ী করার।
জরুরী অবস্থা ঘোষনা এবং স্বায়ত্তশাসনের জন্য তাদের শ্বাসঘাত উপলব্ধি করা থেকে মানুষকে বিরত রাখার জন্য সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টা দ্বারা পূর্ব পাকিস্তানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তা বিশেষ গুরুত্বর উদ্বেগের কারন।
মিলিটারি ফোর্স জটিল অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যা সমাধানে কখনই সফল হয় নি বরং তারা পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। পূর্ব পাকিস্তানে সহিংসতা নতুন ঘৃণা ও শুন্যতা সৃষ্টি করে এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের সম্পর্কের সমস্যার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান অসম্ভব করে তোলে।
আত্ননিয়ন্ত্রণ প্রতিটি জাতির অধিকার সমর্থন করে যুগোশ্লাভ লীগ ফর পিস, ইন্ডিপেন্ডেন্স এন্ড ইকুয়ালিটি অব পিপলস বিবেচনা করে যে এই অধিকার পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রতি স্বীকৃত করতে হবে, তাছাড়া সামরিক বাহিনীর দ্বারা প্রচেষ্টা পাকিস্তানের জনগণের সম্পর্কের সমস্যা নিস্পত্তির জন্য একটি দীর্ঘস্থায়ী ও স্থিতিশীল বন্দোবস্ত হতে পারে না। কিন্তু খোদকার চলনশীল একটি বিপদ উদ্ভব করতে পারে যা বিশ্বের ঐ অংশে শান্তি বিপন্ন করতে পারে।