শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
মিঃ প্রেসিডেন্ট, পূর্ব পাকিস্তানে আমরা যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে পরেছি;সিনেটর টানি | সিনেটর কার্যবিবরণী | ৭ জুলাই,১৯৭১ |
প্রথম খন্ডঃপৃষ্ঠাঃ ৩৫৮ অনুবাদকঃ ইমরান খান ইমন।
জুলাই ৭,১৯৭১ মহাসম্মেলন সম্পর্কিত সিনেটর নথি S10541
পূর্ব পাকিস্তান যুদ্ধ
জনাব টানি:
জনাব রাষ্ট্রপতি, আমরা পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধে জড়িয়ে পরেছি। আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করিনি এবং পাকিস্তানে আমাদের কোন সৈন্যবাহিনী নেই তবুও পূর্ব পাকিস্তান ও ভারতের মতে আমরা যুদ্ধ করছি। এটা আমাদের নিজস্ব জাহাজ ছিল যা দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে পশ্চিমা সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ হয়। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল জীর্ণ, হতাশ,ক্ষতবিক্ষত পূর্ব পাকিস্তান খুজ করা এবং সর্বশেষ আমাদের অবশিষ্ট রাইফেল, বন্দুক, গুলি কম দামে পাইকারি দরে তাদের কাছে বিক্রি করা। আমাদের সাহায্য ছাড়া যুদ্ধে শক্তি তৈরিতে পাকিস্তান ব্যর্থ হবে এবং ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কারণ আমরা নিজেরাই একটি যুদ্ধমান গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পরেছি এবং আমাদের কার্যকলাপ যথেষ্ট সমালোচনার দাবিদার।
এই অবস্থায় যুক্তরাষ্টের জন্য করণীয় কাজ একটিই আর তা হচ্ছে শান্তি স্থাপনের জন্য মধ্যস্থতা করা। অসুস্থ ও ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য কঠোর শান্তিকামী মধ্যস্থতা করা। এই প্রেক্ষিতে পাকিস্তানকে শান্তি স্থাপনের পরিকল্পনায় আসার জন্য আমি সাক্সি-চার্চ সংক্রান্ত পররাষ্ট্র সহায়তা সম্পর্কিত সংশোধনী উত্থাপন করি। এই সংশোধনী পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করবে। এই সময়ের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানে কার্যকর ভাবে আন্তর্জাতিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম স্থাপন করতে হবে। জনাব, রাষ্ট্রপতি শান্তি স্থাপনের জন্য হস্তক্ষেপ করবে যুদ্ধের জন্য নয়। এই হস্তক্ষেপ হবে জীবনের জন্য ;মৃত্যুর জন্য নয়। এই হস্তক্ষেপ হবে খাদ্য ও ঔষধের জন্য বন্দুক বা বিমানের জন্য নয়। অত্র এলাকায় শান্তি কার্যক্রম চালানোর কোন সম্ভাবনা আমি দেখছিনা যেখানে আমরা নিজেরাই যুদ্ধে সরবরাহকারী হিসাবে নিয়োজিত। আমি বিশ্বাস করি, প্রকৃতপক্ষে ত্রাণ ব্যাবস্থা বল পূর্বক বন্ধ করে দিয়ে পাকিস্তান সরকারকে আমাদের সামর্থ অনুযায়ী চাপ প্রয়োগ করা যা ন্যায্য কাজ হবে।
কিন্তু এই সমস্যায় নতুন আরেকটি মাত্রা যুক্ত হয়েছে।
৫-ই জুলাই, ১৯৭১ সোমবার ওয়াশিংটন পোষ্ট পাকিস্তানের সাথে আমাদের বাণিজ্য নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সম্পাদকীয়র শিরোনাম হচ্ছে “পাকিস্তানের জন্য যুক্তরাষ্টের অস্ত্রঃ একটি লজ্জাজনক তথ্য। সম্পাদকীয় এইটাও উদঘাটন করেছে যে রাষ্ট্র কিভাবে এবং কি বলে যাচ্ছে দিনের পর দিন।এতে এটাও বর্ণনা করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় বিভাগ কিভাবে দিক পরিবর্তন করে আসছে। আমরা সবাই জানি এই পুরনো ইতিহাস।
এদিকে রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহকারী ডাঃ হেনরি কিসিঞ্জার নয়া দিল্লীতে তেমন একটা ভাল উষ্ণ সংবর্ধনা পায়নি। কারণ যাই হোক তা সুস্পষ্ট ছিল। ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধ ও শান্তির মাঝে সূক্ষ্ম বাণিজ্য করছে এবং একই সাথে আমরাও পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছি।এদিকে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হচ্ছে। একই সাথে আমরা সরঞ্জাম তুলে দিচ্ছি পূর্ব পাকিস্তানের লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করার জন্য। এতে করে কে লাভবান হচ্ছে? যুদ্ধ-বিগ্রহ নাকি পশ্চিম পাকিস্তান? বিয়াফ্রান বিপর্যয় থেকে কি আমরা কিছুই শিখিনি? আমরা নির্জীব বসে থাকবো?
প্রথম খণ্ডঃ পৃষ্ঠাঃ ৩৫৯ অনুবাদকঃ ইমরান খান ইমন
অনর্থক না কিন্তু আমরা অঘুষিতভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পরেছি,সাহায্য করছি পূর্ব পাকিস্তানের লাখো জনতার দুর্দশা ও মৃত্যুর জন্য?
পাকিস্তানে যদিও ক্রমাগত বলা হচ্ছে যে,কোন অস্ত্র জাহাজে আনা হচ্ছেনা কিন্তু আমরা অহরহ তারই উপস্থিতি পেয়েছি। আমাদের কি অধিকার আছে যে পশ্চিম পাকিস্তানকে অস্ত্র সজ্জিত করবো বাংলাদেশে যুদ্ধ করার? যেই কারণই থাকুক না কেনো ; আমরা কোন অধিকারে একটা সামরিক যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করছি মানবিক ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম ছাড়া? পররাষ্ট্র বিভাগ যদি প্রশ্নগুলির উত্তর দিতে পারে তবে আমি নিশ্চিত আমাদের সকলেই এই ব্যাপারে আগ্রহী হবে। কিন্তু এমনকি যদি পররাষ্ট্র বিভাগ প্রশ্নগুলির উত্তর দিতেও পারে তথাপি আমরা এটা কিভাবে আশা করবো যে আমেরিকান জনগণ তা শুনবে? আমরা এটা কেনো ভাববো যে আমরা সত্যটাই শুনছি? মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মূল সমস্যা হচ্ছে, এই জাতির বহির্বিশ্ব সংক্রান্ত কার্যাবলীর উপরে হয় পররাষ্ট্র বিভাগের নিয়ন্ত্রণ নেই অথবা তারা এটা কপ্রবে বলে ঠিক করেছে যে এক হাতে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং অন্য হাতে জনগণকে তথ্য সরবরাহ করবে।
আমাদের পররাষ্ট্র অধিদপ্তরের ক্ষমার অযোগ্য অদক্ষতার কারণে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক কোণঠাসা হয়ে পরেছে। ইতোমধ্যে মিসেস গান্ধী তার জনগণকে যুদ্ধে জড়িয়ে পরা থেকে প্রতিহত করে যাচ্ছে আর আমরা পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করছি যা পরিস্থিতিকে উত্তেজিত করে তুলছে। মাননীয় রাষ্ট্রপতি আমি একেবারেই বুঝতে পারছিনা পাকিস্তানে আমাদের কার্যক্রম দিয়ে আমরা আসলে কার হয়ে কাজ করছি। আমরা এটা করতে পারি যে, পাকিস্তান যুদ্ধ চালিয়ে যাক যা ভারতকে ধীরে ধীরে একটি যুদ্ধের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সব শেষে পূর্ব পাকিস্তানের লাখো মানুষ মারা যাবে বা উদ্ভাস্থু হবে। এটা এমন কোন কাজ নয় যার জন্য আমরা গর্ব করতে পারবো।
মাননীয়া রাষ্ট্রপতি, আমি চাই এই সম্পাদকীয়টি সর্ব সম্মতিক্রমে মুদ্রিত করে সংরক্ষণ করা হোক।
পাকিস্তানের জন্য ইউএস এর অস্ত্রসামগ্রীঃ একটি লজ্জাজনক দলিল/তথ্য/নথি
পাকিস্তান সেনাবাহিনী ২৫ এ মার্চ দায়িত্ব নেয় পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আন্দোলনকে পিষে ফেলার জন্য। তদপরবর্তী সময়ে সেনাবাহিনী ভয়াবহ ও নির্বিচারে হত্যাযগ্য শুরু করে। ওয়াশিংটন পোষ্টে প্রশ্ন করা হয়েছে, অস্ত্র কোথায় বিক্রি করা হয়েছে বা আমেরিকা কর্তৃক কাকে অস্ত্র ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে বা অস্ত্রের সরবরাহ চলছে কিনা। এই সকল প্রশ্নের উত্তর এখানে লিপিবদ্ধ রয়েছে।
এপ্রীল-২ঃ আমেরিকান পররাষ্ট্র অধিদপ্তর বলেছে যে প্রতিবেদন মোতাবেক এটা নিশ্চিত নয় বা অস্বিকার করা যাবেনা যে আমেরিকান সরঞ্জামাদি ব্যবহার হচ্ছে।
এপ্রীল ২০ তারিখ; ব্যপারটি আর অস্বিকার করা যায়না কারণ পররাষ্ট্র অধিদপ্তর সিনেটর কেনেডি কে নিশ্চিত করে যে, পূর্ব পাকিস্তানে আমেরিকান অস্ত্র ব্যাবহার সম্পর্কিত ব্যাপারে এই কথা যোগ করা হয়েছে যে,” অস্ত্র সরঞ্জাম বিভিন্ন দেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে চায়নাসহ,ইউএসএসঅার এবং যুক্তরাজ্যের অস্ত্রও ব্যবহার হচ্ছে”।
তিন দিন পরেই পররাষ্ট্র অধিদপ্তর সিনেটর ফুলব্রাইটের কাছে ব্যাপারটা স্বীকার করে নেয় যে, “বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু এম-২৪ ট্যাংক এবং এফ-৮৬ এয়ারক্রাফট পূর্ব পাকিস্তানে দেখা যাচ্ছে। এর দ্বারা এটা প্রতীয়মান হয়না যে এইসব ট্যাংক বা বিমান জীর্ণ বিক্ষুব্ধ অস্ত্রধারী বড়জোর রাইফেলধারী মানুষের উপরে প্রয়োগ করা হচ্ছে; যদি হয়
প্রথম খণ্ডঃপৃষ্ঠাঃ ৩৬০ অনুবাদকঃ ইমরান খান ইমন
এপ্রীল-৬ঃ জনাব ফুলব্রাইট পররাষ্ট্র সচিব রজার্সকে জিজ্ঞেস করেছিলেন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য সরঞ্জামাদীর “বর্তমান সরবরাহের অবস্থা” সমপর্কে।
ঐ সপ্তাহেই, পররাষ্ট্র অধিদপ্তরের একজন মুখপাত্র প্রতিবেদকের কাছে অস্বীকার করেন যে “পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার একটি দীর্ঘ সামরিক সহায়তা কার্যক্রম রয়েছে”। তিনি এটাও বলেন যে, ” অক্টোবর ১৯৭০ এর অস্ত্র চুক্তি অনুযায়ী পুনরায় কোন অস্ত্র বা সরঞ্জাম পাঠানো বা সরবরাহ করা হয়নি”। তিনি আরোও উল্লেখ করেন।যে, ১৯৬৭ সালে করা সাধারণ বিক্রয় চুক্তি অনুযায়ী “প্রাণঘাতহীন সামরিক সরঞ্জামাদি, যন্ত্রাংশ ও গোলাবারুদ পাকিস্তানের হাতে রয়েছে”। তিনি বলেন ” এই চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহের ব্যাপারটাতে তারা পর্যবেক্ষণ করছেন “।
এপ্রিল-১৪ঃ ওয়াশিংটন পোষ্টে প্রকাশিত একটি অসমর্থিত প্রতিবেদন হতে জানা যায় যে, অস্ত্রের চালান নিয়মিত হচ্ছে কিন্তু তেমন একটা প্রকাশ্যে নয়।” যাইহোক পরেরদিন পররাষ্ট্র অধিদপ্তরের একজন মুখপাত্র এই বিষয়ে তাদের পর্যবেক্ষণের সাড়াংশে বলেন ” এক কথায় সংকট চলাকালীন সময়ে পাকিস্তানে কোন অস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি এবং সরবরাহের বিষয়টি আপাতত অবস্থার উন্নতির সাথে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে”।
এপ্রিল-২০ঃ পররাষ্ট্র অধিদপ্তর সিনেটর কেনেডিকে জানায় যে,পূর্ব পাকিস্তানে ২৫-২৬ মার্চে চলা ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞের সময়ে কোন প্রকার সরঞ্জামাদি (১৯৬৭ সালের প্রাণঘাতহীন সামরিক সরঞ্জামাদি, যন্ত্রাংশ ও গোলাবারুদ) পাকিস্তান সরকার বা তাদের প্রতিনিধিকে সরবরাহ করা হয়নি এবং বর্তমানে সরবরাহের ব্যাপারে এখন কোন সময় ঠিক করা হয়নি”।
মে-৬ঃ সিনেটর ফুলব্রাইট বলেনঃ “সংকট চলাকালীন সময়ে কোন প্রকার অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করা হয়নি এবং সরবরাহের ব্যাপারটি পর্যবেক্ষণে আছে”।
মে-৮ঃ “সুন্দরবন ” একটি পাকিস্তানি অস্ত্রবাহী জাহাজ যা নিউইয়র্ক থেকে যাত্রা শুরু করে কোন কোনপ্রকার গণপ্রচার বা জনগণকে না জানিয়ে “।
জুন-১৭ঃ পররাষ্ট্র অধিদপ্তর প্রতিবেদককে যা জানায় তা পরেরদিন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ পায় তা হচ্ছে, ২৫-এ মার্চে শুরু হওয়া যুদ্ধের আগ পর্যন্ত আমেরিকা পাকিস্তানে কোন সামরিক সরঞ্জামাদি পাঠায়নি”।
জুন-২২ঃ নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র অধিদপ্তর স্বীকার যায় যে, অস্ত্রবাহী দুটি জাহাজ পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সেই সাথে উল্লেখ করে যে, জাহাজ দুটি ২৫-এ মার্চের পূর্বে অনুমতিপ্রাপ্ত। ঐদিনই দ্বিতীয় জাহাজ “পদ্মা” রওনা দেয়।
ছয় দিন পরে প্রশাসন জানায় যে, ২৫-এ মার্চের পূর্বে অনুমতিপ্রাপ্ত হলে সামরকি সরঞ্জামাদি জাহাজ পাঠানোর অনুমতি দেয়া হবে। এর প্রথম উদ্ভূত কারণ হচ্ছে উদ্দেশ্য সাধণের জন্য পাকিস্তান সরকারকে প্রভাবিত করা (১) পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক সহাবস্থান তৈরি করা (যা এখনো চলছে) ২। ভারতে ভেসে বেড়ানো ৬ লাখ উদ্বাস্তুদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা (যাত্রা অব্যাহত রয়েছে,প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন গড়ে ৪০,০০০)। প্রশাসন কর্তৃক উদ্ভূত দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত নিম্নমানের আমেরিকান অস্ত্রের সাথে সাথে বলা হচ্ছে সুভিয়েত,চাইনা ও ব্রিটিশ অস্ত্রও ব্যবহার হচ্ছে। পাকিস্তানকে অন্য সরবরাহির কাছে না যেতে নিরুৎসাহী করার জন্য।
জুন-২৯ঃ এটা উদঘাটিত হয়ে যায় যে আরোও ৪-৫ টার বেশি অস্ত্রবাহী জাহাজ তালিকাভুক্ত আছে। ‘কাপ্তাই ‘রওনা দেয় ২রা জুলাই।
দুটি কারণে আমরা এই বিষ্ময়কর ও লজ্জাজনক তথ্য প্রকাশ করেছি। প্রথমটি হচ্ছে, আমেরিকা রাজনৈতিক হীন স্বার্থের কারণে এই সামরিক সরঞ্জামাদি সরবরাহ কিরছে সেই বর্বর শাসকগুষ্ঠীকে যারা তাদের ২ লাখ নাগরিককে হত্যা করেছে এবং ৬ মিলিয়নেরও বেশি নাগরিককে দেশত্যাগ করিয়েছে।
প্রথম খণ্ডঃ পৃষ্ঠাঃ ৩৬১ অনুবাদকঃ ইমরান খান ইমন
দ্বিতীয় কারণটি অবশ্যই পড়তে হবে যা পেন্টাগন পত্রিকার বর্তমান বিতর্কিত বিষয় প্রসঙ্গে, এটি জনগণের জানার অধিকার এবং রাষ্ট্রের তা প্রকাশ করা কর্তব্য। এখানে আমরা পাই একটি ধ্রুপদী উদাহরণ কিভাবে লোকচক্ষুর সুবিবেচনার আড়ালে, প্রশাসনের কর্মচারীরা অস্ত্র সামগ্রী পাকিস্তানে সরবরাহ করছে অথচ তারা সরল এবং দৃঢ় ভাবে বলছে যে সরবরাহটি বাতিল করা হয়েছে। আমরা ধরে নিচ্ছি যে এই জোয়াচুরিটি একটি ভুল বুঝাবুঝির সাংগঠনিক যোগসাজশ এবং কুটিল কূটনৈতিক এবং ইচ্ছাকৃত প্রতারণা নয়। ঘটণা হচ্ছে যে,অস্ত্রবাহী জাহাজ এখনো সমুদ্রে বহমান। এটা বন্ধ করা এখন রাষ্ট্রপ্তির উপরে যদি সরকার তার ঘুষিত নীতির ব্যাপারে বদ্ধপরিকর হয়।