শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পাকিস্তানের অস্ত্রের নতুন চালান- সিনেটর হার্টের মন্তব্য | সিনেটের কার্যবিবরণী | ২৩ জুন ১৯৭১ |
\\পাকিস্তানে অস্ত্রের নতুন চালান প্রসংঙ্গে সিনেটর হার্টের মন্তব্য//
কংগ্রেশনাল রেকর্ড-সিনেট
এস ৯৭৬৪ তারিখ ২৩ জুন, ১৯৭১
পাকিস্তানে পুনরায় মার্কিন সাহায্য প্রদান প্রসঙ্গে
সিনেটর হার্ট বলেন, “মিঃ প্রেসিডেন্ট, আজ প্রেস থেকে সংবাদ পেলাম, আমাদের প্রশাসন পাকিস্তানে মার্কিন সামরিক সরঞ্জামের চালান পুনরায় অনুমোদন করেছে।
এ খবর গভীর বেদনার ও হতাশার। সারা পৃথিবীর সামনেই এটি আর এখন কোন গোপন বিষয় নয় যে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের উপর পাইকারি হারে হত্যাকাণ্ড চালানো হচ্ছে। আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না যে, এই অবস্থায় আমাদের সরকার পাকিস্তান সরকারের হাতে আরো বেশী করে সামরিক সরঞ্জাম তুলে দিচ্ছে।
মিঃ প্রেসিডেন্ট, এটা অন্যান্যবারের মতো ‘স্বাভাবিক ব্যবসা’র সময় নয়। আমি জানি না কেন সরকার বুঝতে চাইছে না যে, বেশীরভাগ মার্কিন নাগরিক এই গণহত্যায় মার্কিন সরকারের সংশ্লিষ্টতায় অসুস্থ বোধ করছেন। নিশ্চিতভাবেই এটা এমন এক সংকটকালীন মুহূর্ত, যখন শুধু কিছু ত্রাণ সরবরাহ করে আমরা বসে থাকতে পারি না বরং বিশ্ব-বিশৃঙ্খলার বিপরীতে এবং বিশ্বশান্তির পক্ষে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া আমাদের দায়িত্ব।
এর সাথে সাথে এটাও আশংকার বিষয় যে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট বারবার তাদের বক্তব্যে সত্য গোপন করছে। তারা বিবৃতি দিয়েছিলো “২৫ মার্চ পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ শুরু হবার পর পাকিস্তান সরকার বা তার কোন এজেন্টকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয় নি এবং আগামীতেও এরকম কোন কর্মসূচি নেই।“
সরকারী নীতি নিয়ে গত সপ্তাহে এরকম সত্য গোপন ও ভুল তথ্য দেয়ার ঘটনাকে অত্যন্ত গভীরভাবে আলোকপাত করা হয়েছে। তার মানে এই দাঁড়ায় যে, পাকিস্তানে সামরিক সাহায্য বিষয়ে কংগ্রেস ও জনগণের উদ্বেগ জানা সত্ত্বেও স্টেট ও নিরাপত্তা ডিপার্টমেন্ট এটাকে পাত্তা দেয় নি। হয় তাঁরা এ বিষয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে এড়িয়ে গেছে অথবা এই চালান সংক্রান্ত অত্যন্ত প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়াদিকে তাঁরা গ্রহণ করেছে।
দু’টো ব্যাখ্যাই সমসাময়িকভাবে মার্কিন কংগ্রেস ও জনগণের প্রতি নির্বাহী বিভাগের বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এটি তথ্য উন্মুক্তকরণের বিষয়ে সর্বোচ্চ বিশ্বাস ও নির্ভরযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
গতকাল এ প্রসংঙ্গে আলোচনা উত্থাপন করায় আমি ইডাহোর সিনেটর মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং উনার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে এই অস্বস্তিকর ব্যাপার সম্পর্কে নির্বাহী বিভাগের পূর্ণ ব্যাখ্যা দাবি করছি।
ঠিক কোন নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলো যে, ২৫ মার্চের পর কোন অস্ত্র ‘সরবরাহ’ করা হয় নি এবং এরকম আর কোন চালান প্রেরণের জন্য ‘তালিকাভুক্ত’ করা হয় নি, তার ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।“