শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
বাংলাদেশের প্রশ্নে সিনেটর মাস্কি | সিনেটের কার্যবিবরনী | ১৪ই এপ্রিল, ১৯৭১ |
কংগ্রেশনাল রেকর্ড, ১লা এপ্রিল, এস ৭৯
পূর্ব পাকিস্তান
জনাব মাস্কি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আমি ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের সাথে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত ঘটনা নিয়ে দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন গুলো পড়ছি এবং উপলব্ধি করছি। সেই হতভাগ্য অঞ্চলে সাম্প্রতিক মাস গুলোতে এটা দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রাণ নাশের ঘটনা। যেখানে দৃশ্যপট পুরোপুরি স্পষ্ট নয়। আমি বিশ্বাস করি যে, এই দুঃখজনক ঘটনার মাত্রার বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য আছে এটা স্পষ্ট করার জন্য যে, সংশ্লিষ্ট আমেরিকানদের মুখ খোলা উচিত।
আমাদের অর্থনৈতিক সহায়তা এবং পাকিস্তানে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থার মধ্যকার সম্পর্কটি আমার কাছে একটি চিন্তার বিষয়। এই প্রসংগে গত সপ্তাহে, আমি স্লেট সচিবকে একটি চিঠি প্রেরণে মিনেসোটার সিনেটর (জনাব মন্ডেল), ম্যাসাচুসেটস এর সিনেটর (জনাব ব্রুক) এবং ওরেগনের সিনেটর (জনাব হাটফিল্ড) এর সাথে যুক্ত হই। সেই চিঠিতে আমরা পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ ও হত্যাকান্ডে আমেরিকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সংশ্লিষ্টতার ব্যাপ্তি নিয়ে একটি ব্যাখ্যার অনুরোধ করেছি। আমরা এখন একটি উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি।
আমি নিউজার্সির বিশিষ্ট সিনিয়র সিনেটর (জনাব ক্যাসি) এর প্রস্তাবিত পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা সংক্রান্ত রেজল্যুশনকেও সমর্থন করি।
১৯৫০ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে ইউ. এস. সরকার পাকিস্তানে অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী। এ বিষয়ে খবর/প্রতিবেদন আছে যে আমেরিকার সরবরাহকৃত প্লেন, ট্যাংক, অস্ত্র, অন্যান্য শুষ্ক সামগ্রী কেন্দ্রীয় সরকারের বাহিনী কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের শহর এবং গ্রাম দুই জায়গাতেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আমেরিকার জন্য দ্ব্যর্থহীনভাবে ও অবিলম্বে পাকিস্তান সরকারকে এই পরিস্থিতিতে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহের যেকোন পরিকল্পনা বাতিলের সময় এসে গেছে – অস্ত্র যা শুধুমাত্র উত্তেজনা ও রক্তপাতকে বৃদ্ধি করবে। পাকিস্তান সরকারকে সকল প্রকার সামরিক্ সহায়তা অবিলম্বে স্থগিত করা উচিত। ভারত ও পাকিস্তানে প্রাণঘাতী সরঞ্জাম বিক্রয়ে আমাদের ১৯৬৫ সালের নিষেধাজ্ঞার “এককালীন ব্যাতিক্রম” ১৯৭০ সালের অক্টোবরে অনুমোদিত হয়। সাঁজোয়া বাহিনীর গাড়ি সরবরাহের প্রস্তাব করা হয়েছিল। স্টার ফায়ার জেট এবং বি৫৭ বোমারু বিমান। এই বিলিবন্টন গুলো সম্পন্ন করা উচিত হবে না।
আমাদের একটা দায়িত্ব আছে, বিশ্বে উত্তেজনা এবং সংঘাত নিরসনে আমাদের পক্ষে যা কিছু করা সম্ভব তা করার। যেহেতু আমরা নিজেদেরকে ইন্দোচায়না দ্বন্দ্ব থেকে বাঁচাতে চাই, আমরা কি আমাদের সামরিক সহায়তাকে দক্ষিন এশিয়ায় উত্তেজনা বাড়াতে ব্যবহৃত হতে দিতে পারি?
আমি বলি আমাদের সেটা করা উচিত হবে না। আমি ক্যাসি রেজল্যুশনের সমর্থন চাচ্ছি এবং আমি এর সহ-পৃষ্ঠপোষকতায় যুক্ত হতে পেরে গর্বিত।