You dont have javascript enabled! Please enable it! 1972.01.15 | ওয়াশিংটন, স্পেশাল একশন গ্রুপের ৮ ডিসেম্বর’৭১-এ অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্য বিবরণী | নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন;উদ্ধৃতিঃ রবার্টজ্যাকশন লিখিত ‘সাউথ এশিয়ান ক্রাইসিস’ - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
ওয়াশিংটন, স্পেশাল একশন গ্রুপের ৮ ডিসেম্বর’৭১-এ অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্য বিবরণী নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন;উদ্ধৃতিঃ রবার্টজ্যাকশন লিখিত ‘সাউথ এশিয়ান ক্রাইসিস’ ১৫ জানুয়ারী, ১৯৭২

৮ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকের কার্যবিবরনী
গোপনীয়তা সংবেদনশীল
দি জয়েন্ট স্টাফ
দি জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ
ওয়াশিংটন, ডি. সি. ২০৩০১
৮ই ডিসেম্বর, ১৯৭১
নথিভুক্ত করার জন্য বিবরণী
বিষয়ঃ ওয়াশিংটন স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের ইন্দো-পাকিস্তান লড়াই সংক্রান্ত বৈঠক; ৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১।
১. এন.এস.সি. ওয়াশিংটন স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ ৮ই ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১১ টায়, হোয়াইট হাউসের সিচুয়েশন রুমে, ইন্দো-পাকিস্তান পরিস্থিতি বিষয়ক এক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ডঃ কিসিঞ্জার।
২. বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এ. মুখ্য ব্যক্তিবর্গঃ ডঃ হেনরী কিসিঞ্জার, মিঃ রিচার্ড হেমস, সি.এল.এ., জেনারেল জন রায়ান, জে.সি.এস., মিঃ ডোনাল্ড ম্যাকডোনাল্ড, এ.আই.ডি., মিঃ ডেভিড প্যাকার্ড, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, রাষ্ট্রদূত ইউ. এলেক্সিস জনসন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বি. অন্যান্যঃ মিঃ মরিস উইলিয়ামস, এ.আই.ডি., মিঃ জন ওয়াকার, সি.আই.এ., কর্নেল রিচার্ড কেনেডি, এন.এস.সি., মিঃ স্যামুয়েল হস্ক্যান্সন, এন.এস.সি., মিঃ হ্যারল্ড সন্ডার্স, এন.এস.সি., মিঃ আর্মিস্টেড সেল্ডেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মিঃ জেমস নয়েজ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, মিঃ ক্রিস্টোফার ভ্যান হলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিঃ স্যামুয়েল ডি পামা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিঃ ব্রুস ল্যানিগেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিঃ ডেভিড স্নাইডার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মিঃ জোসেফ সিসকো, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রিয়ার এডমিরাল রবার্ট ওয়েল্যান্ডার, ও.জে.সি.এস., ক্যাপ্টেন হাওয়ার্ড কে, ও.জে.সি.এস.।
৩. সারাংশঃ ডঃ কিসিঞ্জার ধারণা প্রকাশ করেন ভারত হয়তো চেষ্টা করছে, পাকিস্তানের সাঁজোয়া এবং বিমান বাহিনীকে সুপরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করার মাধ্যমে, পাকিস্তানকে অক্ষম করে তুলতে। তিনি অনুরোধ করেন পাকিস্তানকে সহায়তা করার ব্যপারে জর্ডানের আগ্রহকে নিরুৎসাহিত না করে, বরং আপাতত স্থগিত করে রাখা হোক। তিনি কাশ্মীরে পাকিস্তানের সক্ষমতা যাচাই করার আদেশ দেন।
৪. মিঃ হেমস বর্তমান পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ননা দিয়ে বৈঠকের সূচনা করেন। পূর্ব বঙ্গে, ভারতীয়রা কুমিল্লাতে সীমানা অতিক্রম করেছে। শুধুমাত্র প্রধান নদী পারাপারের অসুবিধা তাদেরকে ঢাকায় পৌঁছতে বাঁধা দিচ্ছে। ভারতীয়রা পুরো পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে। পূর্ব বঙ্গে, পাকিস্তানের সব প্রধান সামরিক নিয়ন্ত্রণ রেখা এখন অরক্ষিত। পশ্চিম দিকে পাকিস্তানীরা পুঞ্চ দখল করে নিয়েছে বলে দাবী করছে, ভারতীয় সীমান্তের ভেতরে। তবে, যুদ্ধে পাকিস্তানীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সিন্ধ/রাজস্থান এলাকায় ট্যাঙ্ক যুদ্ধ হচ্ছে। মিসেস গান্ধী ইঙ্গিত দিয়েছেন যে জাতিসংঘের যুদ্ধ-বিরতির আহ্বানে সাড়া দেয়ার আগে, তিনি আজাদ কাশ্মীরের দক্ষিণ সীমান্তটি ঠিক করে নিতে চান। এরকম প্রতিবেদন পেশ করা হয়েছে যে, চলমান যুদ্ধবিগ্রহ বন্ধ করার আগে, মিসেস গান্ধী পাকিস্তানের সাঁজোয়া এবং বিমান বাহিনীর সক্ষমতা নিঃশেষ করার চেষ্টা করতে চান। তাই শুধুমাত্র ভারত এবং ভুটান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে সোভিয়েতরা স্বীকৃতি প্রদান থেকে বিরত রয়েছে প্রধানত পাকিস্তানের সাথে তাদের সম্পর্ক বিনষ্ট না করার স্বার্থে। তবে স্বীকৃতি প্রদান বিষয়ে সোভিয়েত পদক্ষেপ, সম্ভবত, খুব শীঘ্রই আসছে অদূর ভবিষ্যতে।
৫. মিঃ সিসকো জানতে চান পাকিস্তানীরা পূর্ব পাকিস্তানে আর কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবে বলে আশা করা যায়, যার উত্তরে মিঃ হেমস জানান ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা। নদী পারাপারের সময় কি কি প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হবে তার উপর অন্তিম সময়ে পোঁছানো নির্ভর করবে।
৬. পশ্চিমের পরিস্থিতি যাচাই করে, জেনারেল রায়ান ইঙ্গিত দেন যে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে খুব বেশী বলপ্রয়োগ করছে বলে তাঁর মনে হচ্ছে না, বরং তারা দখলকৃত এলাকার দখল বজায় রেখেই সন্তুষ্ট বলে মনে হচ্ছে।
৭. ডঃ কিসিঞ্জার জানতে চান ভারতীয় বাহিনী গুলোকে পূর্ব দিক থেকে সরিয়ে পশ্চিমে আনতে কত সময় লাগতে পারে। জেনারেল রায়ান বলেন সব বাহিনীগুলোকে সরিয়ে আনতে যথেষ্ট লম্বা সময়ের প্রয়োজন হবে, তবে ছত্রীসেনা ব্রিগেড গুলোকে খুব দ্রুতই সরানো সম্ভব, হয়তো পাঁচ বা ছয়দিনের মধ্যেই।
৮. ডঃ কিসিঞ্জার শরনার্থি সাহায্যের ব্যপারে জানতে চান। মিঃ উইলিয়ামসের সাথে আলোচনার পর এটাই প্রতীয়মান হয় যে শরনার্থিদের সাহায্যার্থে আলাদা করে রাখা ডলারের একটি খুবই নগন্য অংশ ভারতীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বিগত বৈঠকের আলোকে সম্পুর্ন বিপরীত, শরনার্থিদের দেখভাল করতে গিয়ে ভারতীয়রা বরং বৈদেশিক মুদ্রা হারিয়েছে। যাই হোক, পুরো ত্রাণ তৎপরতাই আপাতত স্থগিত রয়েছে ভারত এবং পাকিস্তান উভয় দেশেই।
৯. ডঃ কিসিঞ্জার এরপর জোর দেন যে প্রেসিডেন্ট এটি একদম পরিস্কার করে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের অনুমোদন ছাড়া ভারতের জন্য আর কোন বৈদেশিক মুদ্রা, পিএল-৪৮০ পণ্যসামগ্রী, বা উন্নয়নমূলক ঋণ বরাদ্দ করা হবে না। মিঃ উইলিয়াম জানান যে এর মধ্যে কোনোকিছু পিছলে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
১০. ডঃ কিসিঞ্জার জানতে চান চাপ প্রয়োগের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে। মিঃ উইলিয়ামস বলেন যে অন্য আর একমাত্র সম্ভাব্য উপায় রয়েছে যেসব ত্রাণ সামগ্রী এখনো চুক্তিবদ্ধ রয়েছে সেগুলোর ব্যপারে কোন অবস্থান নেয়া। তবে এটি একটি খুবই নোংরা সমস্যা হবে কতকটা অপ্রত্যাহারযোগ্য ঋণপত্র নিয়ে কাজ করার মতো। মিঃ উইলিয়ামস আরো বলেন যে, আমাদেরকে সেইসব পণ্যের অধিগ্রহন করতে হবে যেগুলো মার্কিন ঠিকাদাররা ভারতীয়দের জন্য পাঠাচ্ছে এবং তাই মার্কিন ঠিকাদারদেরকে মূল্য পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে, ফলশ্রুতিতে মার্কিন সরকারের প্রতি দাবী উত্থাপিত হবে।
১১. মিঃ প্যাকার্ড জানান যে এর সবকিছুই করা যাবে, কিন্তু এটাও স্বীকার করেন যে এটি খুবই শ্রমসাধ্য এবং কঠিন সমস্যা। তিনি আরো বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন যে যতগুলো সামগ্রী এতে জড়িত রয়েছে তার সবগুলোর অবস্থান নিরূপণ করতে হবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে, সেগুলোর মালিকানা গ্রহণ করতে হবে, সরবরাহকারীদেরকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে, মালামালগুলোকে গুদামজাত করতে হবে, ইত্যাদি। তবুও চাইলে এরকম করা যাবে। মিঃ উইলিয়ামস জানান যে খুবই সীমিত আকারে এই ধরণের পদক্ষেপ মধ্য-প্রাচ্যের কিছু দেশের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু দাবীগুলো নিষ্পত্তি করতে কয়েক বছর সময় লেগেছিল।
১২. ডঃ কিসিঞ্জার জানতে চান ভারত কিভাবে তার আগামী বছরের উন্নয়নমূলক ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছে, যার উত্তরে মিঃ উইলিয়ামস জানান এই মুহুর্তে কোনোকিছু আলাপ-আলোচনার আওতায় নেই।
১৩. ডঃ কিসিঞ্জার আগামী বছরের [এ.আই.ডি.] বাজেট সম্পর্কে জানতে চান। মিঃ উইলিয়ামস জানান বাজেটে যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা কোন প্রতিশ্রুতির প্রতীক নয়। ডঃ কিসিঞ্জার বলেন বর্তমান আদেশ হচ্ছে যে এ.আই.ডি. বাজেটে ভারতের জন্য কোন বরাদ্দ না রাখা। এই কথা ফাঁস করা যাবে না যে এ.আই.ডি. বাজেটে ভারতের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল, শুধুমাত্র দুষ্ট হোয়াইট হাউসকে তা সরিয়ে নেয়ার সুযোগ দেয়ার জন্য।
১৪. ডঃ কিসিঞ্জার ইঙ্গিত দেন যে ভারত যদি পশ্চিম পাকিস্তানের উপর চড়াও হয় তাহলে আজাদ কাশ্মীর একটি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। ভারতীয়রা যদি পাক বিমান বাহিনী এবং সাঁজোয়া বাহিনী ধ্বংস করে দিতে পারে তাহলে পাকিস্তানকে বিভক্তিকরনের একটি সুচিন্তিত ভারতীয় চেষ্টা আমরা দেখতে পাব। তাদের বিমান বাহিনী এবং সাঁজোয়া বাহিনীর ধ্বংস হয়ে যাওয়া পাকিস্তানকে অরক্ষিত করে তুলবে। পশ্চিম পাকিস্তান একটি আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই সম্ভাবনা কয়েকটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা কি একটি মার্কিন মিত্র রাষ্ট্রকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস হয়ে যেতে দিতে পারি যেখানে আমরা ঐ অবরোধে অংশগ্রহণ করছি? আমরা কি ভারতীয়দেরকে এই ভয়ের মধ্যে রাখতে পারি যে, যদি মার্কিন সরবরাহ প্রয়োজন হয় তাহলেও তা প্রদান করা হবে না?
১৫. মিঃ সিসকো বলেন যে ডঃ কিসিঞ্জার যেরকম ইঙ্গিত দিচ্ছেন পরিস্থিতি যদি সেদিকেই মোড় নেয় তাহলে, অবশ্যই, পশ্চিম পাকিস্তানের সক্ষমতার উপর মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। মিঃ সিসকো সন্দেহ প্রকাশ করেন যে, ভারতীয়রা এমনটাই করবে বলে তাদের লক্ষ্য ঠিক করে রেখেছে। তিনি ইঙ্গিত দেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিঃ সিং রাষ্ট্রদূত কিটিং কে বলেছেন যে পাকিস্তানী এলাকা দখল করার কোনো ইচ্ছা ভারতের নেই। মিঃ সিসকো বলেন আমাদের এটা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে কাশ্মীর একটি সত্যিকারের বিতর্কিত এলাকা।
১৬. মিঃ হেমস তখন বলেন যে আগে তিনি জনাবা গান্ধীর কথা বলেননি, যিনি চীনকে উদ্দেশ্য করে, আশা প্রকাশ করেন যে পশ্চিমে চীন কোনধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। তিনি বলেন যে সোভিয়েতরা তাঁকে এব্যাপারে সাবধান করে দিয়েছে যে চীন তাদের লাদাখ সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করার চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু সোভিয়েতরা তাঁকে আশ্বস্ত করেছে যে এরকম হলে তারা পাল্টা-ব্যবস্থা নেবে। মিঃ হেমস জানান যে এই মুহূর্তে চীন কোন সৈন্যসমাবেশ করছে না তবে, তাসত্ত্বেও, সৈন্যসমাবেশ ছাড়াও তারা শক্তি প্রদর্শন করতে পারে।
১৭. এরপর পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা প্রদানের প্রশ্নে, ডঃ কিসিঞ্জার পাকিস্তানকে এফ ১০৪ জঙ্গিবিমান সরবরাহের ব্যপারে বাদশাহ হুসেইন-এর আগ্রহ প্রকাশের কথা উল্লেখ করেন এবং জানতে চান কিভাবে জর্ডানকে আপাতত অপেক্ষায় রাখা যায় যাতে করে প্রেসিডেন্ট এ বিষয়টি বিবেচনা করার সময় পান। ডঃ কিসিঞ্জার আরো জানতে চান আমাদের উচিত হবে কিনা ভারতীয়দের এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেয়া যে পশ্চিম পাকিস্তানের উপর বড়ধরণের কোন আক্রমণ করা হলে এ দেশে সেটিকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে নেয়া হবে।
১৮. মিঃ প্যাকার্ড ব্যাখ্যা করে বলেন যে আমরা জর্ডানকে এমন কিছু করার অনুমতি দিতে পারি না যেটা মার্কিন সরকার নিজেও করতে পারবে না। যদি মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে ১০৪ জঙ্গিবিমান দিতে না পারে, তাহলে আমরা জর্ডানকে তা করতে দিতে পারি না। যদি তৃতীয় পক্ষের কাছে এমন সামগ্রী থাকতো যেটা মার্কিন সরকারের কাছে নেই, তাহলেও এক কথা ছিল। কিন্তু আমরা জর্ডানকে ১০৪ জঙ্গিবিমানগুলো হস্তান্তর করতে দিতে পারি না যদি না আমরা এমন কিছু খুঁজে বের করতে পারি যাতে করে পাকিস্তানীরা, নিজেরাই, আমাদের কাছ থেকে সরাসরি এগুলো কেনার জন্য যোগ্য বিবেচিত হয়।
১৯. ডঃ কিসিঞ্জার মত প্রকাশ করেন যে আমরা যদি পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করে না দিতাম তাহলে আর এই চলমান সমস্যা থাকতো না। মিঃ প্যাকার্ড এব্যপারে সম্মতি প্রকাশ করেন।
২০. ডঃ কিসিঞ্জার বলেন যে আমরা হয়তো কখনোই সত্যিকার ভাবে পর্যালোচনা করে দেখিনি যে আসলেই সত্যিকার বিপদ কোনটি যখন আমরা পাকিস্তানের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করে দিই।
২১. মিঃ প্যাকার্ড মত প্রকাশ করেন জর্ডান বিষয়ে আরেকটি বিবেচনা হতে পারে যে জর্ডান যদি এই সরঞ্জামগুলো সরবরাহ করে তাহলে তারা আশা করবে যে আমরা এগুলো প্রতিস্থাপন করে দিব। রাষ্ট্রদূত জনসন জানান যে আমাদের আর কোনো এম.এ.পি. বাকি নেই।
২২. ডঃ কিসিঞ্জার বলেন যে আমরা এমন এক পরিস্থিত দেখছি যেখানে সোভিয়েত সহায়তাপুস্ট এবং সরঞ্জামে সজ্জিত একটি দেশ হয়তো পাকিস্তানের অর্ধেক অংশকে অক্ষম রাষ্ট্রে এবং বাকি অর্ধেককে প্রজা রাষ্ট্রে পরিণত করতে যাচ্ছে। অন্য দেশগুলো আমাদের কার্যক্রমের ব্যপারে কি চিন্তা করছে তা আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে।
২৩. মিঃ হেমস পাকিস্তানের সাথে আমাদের সিইএনটিও (CENTO) সম্পর্কের ব্যপারে জানতে চান। রাষ্ট্রদূত জনসন বলেন সিইএনটিও প্রসঙ্গে পাকিস্তানের প্রতি আমাদের কোন আইনগত দায়বদ্ধতা নেই। ডঃ কিসিঞ্জার ঐক্যমত প্রকাশ করেন কিন্তু আরো বলেন যে ১৯৬২ সালে আকাশ প্রতিরক্ষা চুক্তি করার সময় ভারতের প্রতিও আমাদের কোন আইনগত দায়বদ্ধতা ছিল না। বর্তমান পরিস্থিতি বৃহত্তর ক্ষেত্রে বৈশ্বিক বিষয়ে কি প্রভাব ফেলতে পারে তা আমাদের অবশ্যই বিবেচনা করতে হবে।
২৪. ডঃ কিসিঞ্জার বলেন যে আমাদেরকে সমস্যাটি নিরাপত্তা পরিষদের প্রদত্ত নিশ্চয়তার আলোকে দেখতে হবে মধ্য-প্রাচ্য এবং অন্যান্য এলাকায় তার কি প্রভাব পড়ছে। আমাদেরকে অবশ্যই সামরিক সরবরাহ পরিস্থিতিও দেখতে হবে। কেউ হয়তো বলতে পারে, তিনি যুক্তি দেখান, যে আমরা সব কিছুই করেছি কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দুই সপ্তাহ দেরী করে।
২৫. মিঃ প্যাকার্ড বলেন আমাদের জন্য হয়তো একমাত্র সন্তোষজনক পরিণতি এটাই হতে পারে যে আমরা আমাদের অবস্থানে অনড় থাকতে পারি, এই আশায় যে পশ্চিম পাকিস্তানীরা নিজেরাই নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে।
২৬. রাষ্ট্রদূত জনসন বলেন যে পাকিস্তানকে আরো সরঞ্জাম দিলে তার কি প্রভাব পড়তে পারে আমাদেরকে তা অবশ্যই পরখ করে দেখতে হবে। এরকম হতে পারে যে আটটি এফ ১০৪ জঙ্গিবিমান হয়তো কোন প্রভাবই ফেলতে পারবে না পশ্চিম পাকিস্তানে সত্যিকার যুদ্ধ শুরু হলে, এগুলোকে হয়তো শুধুমাত্র নিদর্শন হিসেবেই গণ্য করা হবে। যদি বাস্তবে, আমরা পশ্চিম পাকিস্তানে ঢুকে পড়ি তাহলে সেটা নতুন এক ভিন্ন কার্যক্ষেত্র হবে।
২৭. রাষ্ট্রদূত জনসন বলেন একটি সম্ভাবনা হতে পারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিঃ সিংয়ের প্রতি আমাদের জবাব, যেটিতে আমরা এলাকা দখল না করার ভারতীয় অঙ্গীকারকে মেনে নিতে পারি। তিনি আরো বলেন যে আমাদেরকে অবশ্যই এই বাস্তবতাও বিবেচনায় রাখতে হবে যে পাকিস্তানীরা নিজেরাই হয়তো কাশ্মীর দখল করার চেষ্টা করতে পারে।
২৮. ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ের প্রতি বিভিন্ন সম্ভাব্য প্রতিশ্রুতির বিষয়ে আলোচনার পর, মিঃ প্যাকার্ড বলেন বাস্তব সমস্যার সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন বিবেচনার বিষয় হচ্ছে হয় কার্যকর কিছু করা অথবা কিছুই না করা। যদি জেতার সম্ভাবনা না থাকে, তাহলে জড়িত হওয়া যাবে না। আমাদের যদি কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে এই নিশ্চয়তা নিয়েই করতে হবে যে ফলাফলের উপর এর প্রভাব থাকবে। আমরা যদি জানিই যে আমরা হেরে যাব তাহলে আমরা আর এর মধ্যে না যাই। জড়িত না হওয়ার উপায় খুঁজে বের করি।
২৯. মিঃ উইলিয়ামস মত প্রকাশ করেন যে আমরা এখন পশ্চিম পাকিস্তানে একটি যুদ্ধ-বিরতি কায়েম করার জন্য আমাদের চেষ্টা কেন্দ্রীভূত করতে পারি। রাষ্ট্রদূত জনসন বলেন এতে করে, হয়তো, পাকিস্তানীরা কাশ্মীরে প্রবেশ করতে বাধাগ্রস্থ হবে।
৩০. ডঃ কিসিঞ্জার কাশ্মীরে পাকিস্তানের সক্ষমতা এবং সম্ভাবনা যাচাই করার আদেশ দেন। তিনি সি.আই.এ. কে মিসেস গান্ধীর বর্তমান কর্মকান্ডের আন্তর্জাতিক প্রভাবের উপর একটি মূল্যায়ন করতে বলেন। তিনি ইঙ্গিত দেন যে সামরিক সরবরাহ প্রশ্নে আমাদের একটি প্রাথমিক অবস্থান প্রস্তুত করা উচিত। তিনি পুনরাবৃত্তি করেন যে তিনি বাদশাহ হুসেইন কে “অপেক্ষায়” রাখতে চান। এটি পাকিস্তানকে সাহায্য করার ব্যপারে তাঁর আগ্রহ প্রকাশের সাথে সম্পর্কিত এবং তাঁকে নিরুৎসাহিত করা ঠিক হবে না। মার্কিন সরকারের উচিত বাদশাহ হুসেইন কে এরকম ইঙ্গিত দেয়া যে এ বিষয়ে তাঁর অনুভুতিকে তুচ্ছ বলে গণ্য করা হচ্ছে না।
৩১. অবরোধ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জনসন বলেন যে ভারত এবং পাকিস্তান উভয়ই অবরোধমূলক কর্মসুচি নিয়েছে, যদিও পাকিস্তানী অবরোধটি কার্যত কাগুজে অবরোধ। ডঃ কিসিঞ্জার বলেন আমাদের পাকিস্তানের প্রতিও আপত্তি প্রকাশ করা উচিত। রাষ্ট্রদূত জনসন ইঙ্গিত দেন অবরোধের প্রতিবাদ জানানোর মতো আইনগত ভিত্তি আমাদের নেই। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে প্রতিপক্ষ দেশগুলো একে অপরকে অবরোধ করার অধিকার রাখে। আমরা হয়তো ভাবতে পারি যে এটি হঠকারী একটি কাজ এবং এটি কিভাবে সম্ভব হচ্ছে এব্যপারে প্রশ্ন তুলতে পারি। আমরা, অবশ্য, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। অন্যদিকে এস.এস. বাকআই স্টেট সংক্রান্ত ঘটনায় আপত্তি প্রকাশে কোন বাঁধা নেই।
৩২. ডঃ কিসিঞ্জার বলেন যে আমরা নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করছি না। প্রেসিডেন্ট কি চান এব্যপারে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না। প্রেসিডেন্ট নিরপেক্ষ থাকতে চান না। প্রেসিডেন্ট মনে করেন এক্ষেত্রে ভারত হচ্ছে আগ্রাসী রাষ্ট্র। আমরা এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছি যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাঁর সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ করেছে। ডঃ কিসিঞ্জার বলেন যে ভারতকে আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে দিতে পারিনা। এই ভদ্রমহিলা অত্যন্ত ঠাণ্ডা-মাথার ও অনমনীয় এবং সামান্য বিরোধিতায় সে সোভিয়েত পন্থা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে না। তাঁকে নিশ্চিন্তে থাকতে দেয়া আমাদের উচিত হবে না। তিনি এই বিষয় নিয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে যাওয়ার ব্যপারে কারো কোন আপত্তি থাকলে তা উত্থাপন করার আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত কিটিং, তিনি মত প্রকাশ করেন, তাঁর মতো করে পর্যাপ্ত আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছেন।
৩৩. পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক দ্বন্দ্বের প্রশ্নে সংক্ষিপ্তভাবে, ডঃ কিসিঞ্জার জানতে চান এমন কেউ আছে কিনা যে নিশ্চিত করে বলতে পারবে এই দ্বন্দ্বের কারণে সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। মিঃ হেমস ইঙ্গিত দেন যে আমরা হয়তো তাৎক্ষনিকভাবে তা জানতে পারবো না, কিন্তু গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার পর আমরা অবশ্যই জানতে পারবো।
৩৪. বৈঠকটি ১২ টা ১০ মিনিটে মুলতবী ঘোষণা করা হয়।
এস/এইচ. এন. কে
এইচ. এন. কে
ক্যাপ্টেন, ইউ.এস.এন.
দক্ষিন এশিয়া/এম.এ.পি. শাখা, জে৫
এক্সটেনশন ৭২৪০০

সূত্রঃ নিউ ইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন, প্যারিস সংস্করণ, ১৫ই জানুয়ারী ১৯৭২
বিঃদ্রঃ

এই দলিলে ব্যবহৃত নাম তালিকা
এ.আই.ডি. – এজেন্সী ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট।
এ.এস.ডি. (আই.এস.এ) – অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এফেয়ার্স।
আজাদ কাশ্মীর – মুক্ত কাশ্মীর, পাকিস্তানি-দখলে থাকা কাশ্মীরের অংশ।
সিইএনটিও (CENTO) – সেন্ট্রাল ট্রিটি অর্গানাইজেশন।
সি.আই.এ. – সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সী।
সি.জে.সি.এস. – চেয়ারম্যান, জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ।
ডি.এ.এস.ডি. এন.ই.এ.এস.এ. এন্ড পি.পি.এন.এস.সিএ. – ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স, নিয়ার ইস্টার্ন, আফ্রিকান এন্ড সাউথ এশিয়ান এফেয়ার্সঃ ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব ডিফেন্স, পলিসি প্ল্যানস এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এফেয়ার্স।
ডেপ. ডির. এন.এস.সি.সি. এন্ড পি.পি.এন.এস.সি.এ. – ডেপুটি ডিরেক্টর, পলিসি প্ল্যানস এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এফেয়ার্স।
ডেপসেকডেফ – ডেপুটি সেক্রেটারি অব ডিফেন্স।
এফ-১০৪ – স্টার ফাইটার জেট এয়ারক্রাফট।
আই.এস.এ. – ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এফেয়ার্স অব ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট।
জে.সি.এস. – জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ।
এল.ও.সি. – লাইন(স) অব কমিউনিকেশন।
এম.এ.পি. – মিলিটারি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম।
এন.এফ.এ. – নিয়ার ইস্টার্ন এফেয়ার্স, সেকশন অব স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
এন.ই.এস.এ. – নিয়ার ইস্ট এন্ড সাউথ এশিয়া।
এন.এস.সি. – ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
ও.জে.সি.এস. – অফিস অব জয়েন্ট চীফস অব স্টাফ।
পাকস – পাকিস্তানী।
পিএল ৪৮০ – পাবলিক ল ৪৮০, গভের্নিং সারপ্লাস সেন্ট আব্রড এজ এইড।
পি.ডি.এ.এস.ডি. (আই.এস.এ.) – প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অব ডিফেন্স, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এফেয়ার্স।
পি.ও.এল. – পেট্রোলিয়াম, অয়েল এন্ড লুব্রিকেন্টস।
পি.এল. – পাবলিক ল।
আর & সি ফাইলস – রেকর্ডস এন্ড কন্ট্রোল ফাইলস
সেকডেফ – সেক্রেটারি অব ডিফেন্স।
এস. এস. বাকআই স্টেট – আমেরিকান জাহাজ যেটির উপর পাকিস্তানী বন্দরে গুলিবর্ষন করা হয়।
ইউ.এস.জি. – ইউনাইটেড স্টেটস গবর্মেন্ট।
ডব্লিউ.এস.এ.জি. – ওয়াশিংটন স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপ, আর্ম অব ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
.
সি.জে.সি.এস চেয়ার‍ম্যান জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ
ডি.এ.এস.ডি..এনই.এস.এ পি.পি.এন.এস.সিএ ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স. নেয়ার ইস্টার্ন. আফ্রিকান এন্ড সাউথ এশিয়ান এফেয়ার্স: ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স. পলিসি প্ল্যান্স এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এফেয়ার্স.
ডিপ ডির… এন এস সি সি পি.পি.এন.এস.সিএ ডেপুটি ডিরেক্টর পলিসি প্ল্যান্স এন্ড ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল এফেয়ার্স.
ডিপসেকডেফ (Depsecdef) ডেপুটি সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স
এফ-১০৪ স্টার ফাইটার জেই এয়ারক্র্যাফট
আই.এস.এ. ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এফেয়ার্স অফ ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট
জে.সি.এস. জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ
এল.ও.সি. লাইন(স) অফ কমিউনিকেশন
এম.আ.পি. মিলিটারি এসিসট্যান্ট প্রোগ্রাম
এন.এফ.এ. নেয়ার ইস্টার্ন এফেয়ার্স. সেকশন অফ স্টেট ডিপার্টমেন্ট
এন.ই.এস.এ. নেয়ার ইস্ট এন্ড সাউথ এশিয়া
এন.এস.সি. ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল
ও.জে.সি.এস. অফিস অফ জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ
পাক্স পাকিস্তানিজ
পি.এল ৪৮০ পাবলিক ল ৪৮০ গভার্নিং সারপ্লাস সেন্ট এব্রোড এজ এইড
পি.ডি.এ.এস.ডি. ( আই.এস.এ) প্রিন্সিপাল ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট অফ ডিফ্যান্স ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি এফেয়ার্স
পি.ও.এল. পেট্রোলিয়াম, ওয়েল এন্ড লুব্রিকেন্টস
পি.এল. পাব্লিক ল
আর সি ফাইলস রেকর্ডস এন্ড কন্ট্রোল ফাইলস
সেকডেফ secdef সেক্রেটারি অফ ডিফেন্স
এস.এস. বুকেকেয়ে স্টেট আমেরিকান ভেসেল স্ট্র্যাফড ইন আ পাকিস্তান পোর্ট
ইউ.এস.জি. ইউনাইটেড স্টেট গভার্মেন্ট
ডাব্লিও.এস.এ.জি. ওয়াশিংটন স্পেশাল একশন গ্রুপ আর্ম অফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল

(পরিশিষ্ট ক)
পাক মার্কিন পারস্পারিক প্রতিরক্ষা চুক্তি সুত্রঃ শ্লোসিংগার সম্পাদিত
‘দি ডাইনামিক্স অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও পাকিস্তান সরকার।
জাতিসংঘের নীতিমালা অনুযায়ী কাঠামোগত পদক্ষেপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ইচ্ছুক এমন জাতিগোষ্ঠির দক্ষতা আরো বাড়িয়ে তুলবে যারা সনদের উদ্দেশ্য ও নীতিমালার প্রতি নিবেদিত, যেনো সেই উদ্দেশ্য ও নীতির সমর্থনে ব্যাক্তিগত ও সামষ্টিক আত্নপ্রতিরক্ষামূলক ব্যাবস্থাগুলিতে কার্যকর ভাবে অংশগ্রহন করতে পারে।
সনদ অনুযায়ী জাতিসংঘকে সশস্ত্র বাহিনী সরবরাহ করা এবং যৌথ প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা ও নিয়ন্ত্রনে জাতিসংঘে যোগদান এবং সর্বজনীন নীতিমালার উপর চুক্তি গ্রহন এবং সার্বজনীন নীতিমালার চুক্তি প্রত্যাহার এবং সৈন্য হ্রাসের মাধ্যমে কোন প্রকার খেলাপী ও ছল চাতুরীর বিপরীতে পর্যাপ্ত নিশ্চয়তার ভিত্তিতে তাদের পুর্ন সহযোগীতা প্রদানে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যাক্ত করা।
সংশোধিত; পারস্পারিক সহায়তা আইন ১৯৪৯ এবং সংশোধিত পারস্পারিক নিরাপত্তা আইন ১৯৫১ প্রনয়নের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই নীতি সমুহে যেসব সমর্থন এসেছে তা বিবেচনা করে এমন শর্তাদি নির্ধারন করতে চায় যে এই ধরনের সহায়তা প্রদানের জন্য শাষন করবে।
সম্মত হয়েছে;
ধারাঃ ১
শর্তাবলী অনুযায়ী সম্মত হলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার, পাকিস্তান সরকার এর জন্য যেমন সরঞ্জাম, উপকরণ সেবা বা অন্যান্য সহায়তা সরবরাহ করার অনুমোদন দিতে পারে। সৈন্যসজ্জা এবং এই ধরনের সহায়তা সমূহ জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সাদৃশ্য পূর্ন হতে হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এর অনুযায়ী এই ধরনের সহায়তা প্রদান করা হতে পারে এই চুক্তির ভিত্তিতে
এই চুক্তি অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার হয়তো এই সহায়তা প্রদান করবে যা বিধিমালা অনুসারে ১৯৪৯ সালের পারস্পারিক প্রতিরক্ষা আইন এর অধীনে সমস্ত শর্তাবলী এবং অবসানের বিধান এবং ১৯৫১ সালের পারস্পারিক নিরাপত্তা আইন সংশোধনী বা সম্পূরক হিসেবে সমস্ত শর্তাবলী, শর্তাদি এবং পরিসমাপ্তি বিধান মতে সাজানো হয় এমনকি, এটির অধীনে যে কোনও প্রযোজ্য বিধানিক বিধানগুলির অধীন উহা কার্যধারক থাকিবে।

উভয় সরকার সময়মত, এই অনুচ্ছেদের বিধানগুলি বহন করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আলোচনা করবে।
২. পাকিস্তান সরকার তাদের এই সহায়তা নিজেদের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, নিজেদের আত্মরক্ষা অথবা কোন এলাকার নিরাপত্তায় অথবা জাতিসংঘের সাথে থাকা যৌথ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ব্যবহার করবে এবং অন্য কোন দেশের উপর আক্রমণ করবে না। মার্কিন সরকারের সাথে চুক্তিবদ্ধ থাকা বিষয়গুলো ছাড়া অন্যকিছুতে তারা এইগুলো ব্যবহার করবে না।
৩. চুক্তিগুলোতে কি কি উপকরন এবং সামগ্রী আছে তাঁর উল্লেখ থাকতে হবে এবং প্রয়োজনহীন এবং অব্যবহৃত গোলাবারুদ মার্কিন সরকারকে ফেরত দিতে হবে।
৪. পাকিস্তান সরকার মার্কিন সরকারকে অবহিত করা ছাড়া কোন অফিসার বা এজেন্টের মাধ্যমে এই চুক্তির অধীনে প্রাপ্ত কোনও সরঞ্জাম, উপকরণ, সম্পত্তির, তথ্য, বা পরিষেবাগুলির অন্য কোনও দেশের শিরোনাম বা তাদের দখলে পূর্বের সম্মতি ছাড়াই হস্তান্তর করবে না।
৫. পাকিস্তান সরকারকে দুই সরকারের মতামত নিয়ে এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতেএই চুক্তি অনুযায়ী সজ্জিত সামরিক নিবন্ধ, পরিষেবা বা তথ্য প্রকাশ বা সংঘাত প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
৬. চুক্তি অনুযায়ী উভয় সরকারই জনগনকে তাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে অবহিত করবে।
৭. উভয় সরকার সম্মত হবে পাকিস্তান সরকার কোথায় তাদের তহবিল জমা রাখবে, বিতরন করবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিচালিত অন্য জায়গায় এই তহবিলগুলি ব্যবহার করা হবে। তবে কিছু কিছু বিষয় যেমন বাজেয়াপ্তকরণ কোন ব্যক্তি, খামার, সংস্থা, কর্পোরেশন, প্রতিষ্ঠান বা সরকার কর্তৃক সংযুক্তি, আটক বা অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া দ্বারা, সে সব বিষয়ে অমত থাকতে পারে।
নিবন্ধ ২
উভয় সরকার প্রয়োজনে তাদের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রতিরক্ষার অধিকার এবং প্রযুক্তিগত তথ্য বিনিময়ে এবং এই ধরনের বিনিময় দ্রুততর হবে এবং একই সময়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
নিবন্ধ ৩
১. এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য পূরণে পাকিস্তানের প্রশাসনিক ও অপারেটিং ব্যয়ের জন্য পাকিস্তান সরকার মার্কিন সরকারের এই অর্থ ব্যবহার করবে। উভয় সরকারই দ্রুততার সাথে এই অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করবে এবং এই ধরনের তহবিল পরিচালনার জন্য আলোচনা শুরু করবে।

২. কিছু ব্যতিক্রম বাদে উভয়ের সম্মতিক্রমে আমদানি বা রপ্তানির উপর শুল্কমুক্ত চাঁদা প্রদান এবং অভ্যন্তরীণ করদাতাদের পণ্য, যথোপযুক্তভাবে, উপকরণ বা সরঞ্জাম এই চুক্তির সাথে সংযুক্ত করা বা এই চুক্তির মধ্যে যে কোনও চুক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত তাদের ছাড় দেওয়া হবে যা যুক্তরাষ্ট্র সরকার এবং অন্য যেসকল দেশের সরকার থেকে সামরিক সহায়তা পাচ্ছে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ।
৩. পাকিস্তানে পাকিস্তান সরকার বা মার্কিন সরকার দ্বারা পরিচালিত সাধারণ প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন বিদেশী সাহায্যের জন্য খরচকে কর মুক্তি দেয়া হবে, পাকিস্তান সরকার উভয়ের জন্য সন্তোষজনক পদ্ধতি স্থাপন করবে সরকার যাতে এই ধরনের ব্যয় করের মাধ্যমে শোধ করা যায়।

নিবন্ধ ৪

১. পাকিস্তান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারের কয়েকজন কর্মীদেরকে এই বিভাগের অধীনে নিয়োগ দিবে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের দায়িত্ব পালন করবে এবং অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই চুক্তিতে,যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিক, যারা সাময়িকভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী , পাকিস্তানের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক রয়েছে, কূটনৈতিক মিশনের প্রধানের নির্দেশ ও নিয়ন্ত্রণের অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের অংশ হিসাবে কাজ করে তাদের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট পদমর্যাদা অনুযায়ী অন্যান্য কর্মচারীদেরকে একই সুবিধাদি এবং অনাস্থাভোগী হিসাবে গণ্য করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক যথাযথ বিজ্ঞপ্তিতে, পাকিস্তান সরকার পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক প্রদান করবে সিনিয়র সামরিক সদস্য এবং ঊর্ধ্বতন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের এবং তাদের নিজ নিজ আশু ডেপুটিসদের কাছে।
২. পাকিস্তান সরকার কর্মচারী বা তাদের পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আমদানি করা ব্যক্তিগত সম্পত্তি, আমদানি ও রপ্তানিকতে ছাড় প্রদান করবে এবং এই ধরনের ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও তাদের পরিবার সম্পত্তির আমদানি ও রপ্তানিকে সহজতর করার জন্য যুক্তিসঙ্গত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নিবন্ধ ৫
১. পাকিস্তান সরকার –
ক. আন্তর্জাতিক চিন্তাধারা এবং শুদ্ধতা প্রচার এবং বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে যোগদান করবে;
খ. আন্তর্জাতিক চাপ দূর করার জন্য পারস্পরিক সম্মতি হিসাবে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করবে;
গ. আত্মনির্ভরশীল শক্তি এবং মুক্ত বিশ্বের আত্মরক্ষামূলক শক্তি উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনশক্তি, সম্পদ, সুবিধা এবং সাধারণ অর্থনৈতিক অবস্থার দ্বারা পূর্ণ অবদান রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখবে;
ঘ. প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন হতে পারে এমন সমস্ত যুক্তিযুক্ত পদক্ষেপ নিবে; এবং
১.পাকিস্তানি সরকার হয়ত আপত্তি করবে নয়তো,পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আমদানি রপ্তানিতে শুল্ক সেবায় অনুমতি দিবে এবং পণ্যের উপর অভ্যন্তরীণ করারোপণ থেকে রেহাই দিবে।আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও সামরিক সহায়তা ভোগকারী অন্য যেকোন দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি বা অনুরুপ চুক্তি অনুযায়ী উপকরণ ও সামগ্রী বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।
২.ত্রাণের কর সকলের জন্য সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে,সাধারণ প্রতিরক্ষা প্রচেষ্টার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার কর্তৃক অথবা তার পক্ষ হতে পাকিস্তানে ব্যয়িত অর্থ যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোন বৈদেশিক দাতব্য কার্যক্রমে ব্যয়িত অর্থ,পাকিস্তান সরকার উভয় সরকারের সন্তোষজনক কার্যপ্রণালী প্রস্তুত করবে যেনো এমন ব্যয়িত অর্থের কর নেট হয়.
ধারা- ৪
১) পাকিস্তান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেইসকল সৈন্যদের নিয়োগ দিবেন যারা তার এলাকায় এই চুক্তির অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দায়িত্ব পালন করবেন এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের সহায়তা ও উন্নতি পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তাদের সুবিধা দিবে,কর্মীদের যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এমনকি অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীসহ পাকিস্তান সরকারের সাথে তাদের একটি সম্পর্ক হবে,মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের একটি অংশের কাজের দিকনির্দেশনা ও নিয়ন্ত্রণের কাজ পরিচালনা করবেন কূটনৈতিক মিশনের প্রধান এবং তার বিশেষ অধিকার ও স্বাধীনতা একই থাকবে যেমনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পদে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয়তার অন্য কর্মীদের দেয়া হয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উপযুক্ত ইশতিহারের পর পাকিস্তান সরকার নিযুক্ত জ্যেষ্ঠ সামরিক সদস্য ও সিনিয়র সেনা,নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা ও তাদের নিজ নিজ বর্তমান জ্যেষ্ঠ ডেপুটির অধীনে কূটনৈতিক নিবন্ধটি দান করবেন।

২) পাকিস্তান সরকার, ব্যক্তিগত কর্মী বা তাদের পরিবারের ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য আমদানি কৃত সম্পত্তি আমদানি ও রপ্তানি শুল্ক থেকে রেহাই দিবে এবং এই ধরনের ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তির সহজতর আমদানি ও রপ্তানি ত্বরান্বিত করতে যুক্তিগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।
ধারা – ৫
পাকিস্তান সরকার-
১)আন্তর্জাতিক সমঝোতা ও শুভেচ্ছা বিনিময় এবং বিশ্বশান্তি রক্ষায় যোগদান করবে
২)আন্তর্জাতিক সমস্যা নিরসনে উভয়পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করবে
৩)রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে এবং নিজস্ব প্রতিরক্ষা শক্তি ও উন্মুক্ত বিশ্বের প্রতিরক্ষা শক্তির উন্নতি ও ভরণপোষণে মানবসম্পদ,উৎস,সুবিধাদি ও সাধারণ অর্থ অবস্থার পূর্ণ অবদান অনুমোদন করবে
৪)প্রতিরক্ষা ক্ষমতার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সকল যৌক্তিক পদক্ষেপ নিবে, এবং
৫) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত অর্থনৈতিক এবং সামরিক সহায়তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিতকরণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
২(ক)পাকিস্তান সরকার, জাতিসংঘের সনদের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার বা এধরনের অন্যান্য সরকার তার প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত স্ব প্রতিরক্ষা বাড়ানোর জন্য এবং সমষ্টিগত নিরাপত্তায় তাদের কার্যকর অংশগ্রহণ এর জন্য এই ধরনের সরঞ্জাম, উপকরণ, সেবা কিংবা অন্যান্য সহায়তায় সম্মত হতে পারে।
( খ)পারস্পরিক সহায়তা নীতিকে সাথে নিয়ে, পাকিস্তান সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে এমন চুক্তি করবে যা কিনা উৎপাদন এবং হস্তান্তর সহজতর করবে, এবং যেখানে সময়,পরিমাণ এবং শর্তাদির উপর যেনো দুপক্ষই একমত হতে পারে অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সম্পদে ঘাটতি কিংবা সম্ভাব্য ঘাটতির জন্য প্রয়োজনীয় কাচামাল কিংবা আধা প্রক্রিয়াজাত উপকরণ যেগুলো পাকিস্তানে পাওয়া যায় তা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে সাংসারিক ব্যবহার এবং বাণিজ্যিক রপ্তানির মাধ্যমে পাকিস্তানের প্রয়োজনীয়তা মেটাবে।
ধারা – ৬

পারস্পরিক নিরাপত্তার স্বার্থে পাকিস্তান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের সাথে বিভিন্ন দেশে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সহযোগিতা করবে ,যা কিনা বিশ্ব শান্তি রক্ষণাবেক্ষণে হুমকিস্বরূপ।

ধারা – ৬

১.এই চুক্তিটি স্বাক্ষরের তারিখে কার্যকর হবে এবং একপক্ষ অন্যপক্ষের এটি বিনষ্ট করার অভিপ্রায়ের লিখিত নোটিশ সম্বলিত ফরমাশ জারি করার এক বছর পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে।এছাড়া নিবন্ধ 1, অনুচ্ছেদ ২ ও ৪ এবং নিবন্ধ 1 এর অধীনে যে বিলিব্যবস্থা করা হয়েছে, অনুচ্ছেদ ৩, ৫ ও ৭ এবং নিবন্ধ ২ এর অধীনে প্রবেশকৃত বিধান বহাল থাকবে যদি না অন্যথায় দুই সরকারের সম্মতি থাকে।

২.উভয় সরকার, যে কোন একজনের অনুরোধের ভিত্তিতে এই চুক্তিটির যে কোন সংযোজন অথবা সংশোধনী সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে পরামর্শ করবে।

৩.এই চুক্তিটি জাতিসংঘের সচিবালয়ের সাথে নিবন্ধিত হবে।

১৯৫৪ সালের ১৯ মে করাচিতে দুই কপিতে করা হয়েছে।

বিঃদ্রঃ

THE DYANAMICS OF WORLD POWER:
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিমালার তথ্যসংবলিত ইতিহাস ১৯৪৫-১৯৭৩
ভল্যুম- ৪
পৃষ্ঠা-৭৩৬-৭৪০
সম্পাদনায় এ.এম.শ্লেসিংগার,১৯৭৩,নিউ ইয়র্ক,চেলসিয়া হাউস প্রকাশন।

পরিশিষ্ট-খ

ভারত ও পাকিস্তানে
অস্ত্র পরিবহন নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি
গোল্ডবার্গের বিবৃতি*
(সারমর্ম)
১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৬৫

** ** ** ** ** **
ভারত পাকিস্তান উভয়ের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্র উপভোগ করে এবং ভবিষ্যতেও উপভোগের আশা রাখে, আমি জোর দিয়ে বলতে চাই যে, আমরা উভয় দেশেই অস্ত্র সরবরাহ স্থগিত করেছি, যেহেতু নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশনের সমর্থনে আমরা চাই যে, এই দ্বন্দ্বের একটি সমাপ্তি টানতে এবং এটাকে আর বাড়তে না দেওয়ার সাহায্যার্থে একটি যুদ্ধ-বিরতি ঘোষণা করা হোক। এটা নিরাপত্তা পরিষদের রেজল্যুশনের উদ্দেশ্য যে অবিলম্বে একটি সমাপ্তি ঘটুক এবং যুদ্ধ আরো ঘনীভূত না হোক।

আনুষ্ঠানিক চুক্তি লঙ্ঘন করে এই যুদ্ধে আমাদের সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করছি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিঃ বর্তমান দলিল ১৯৬৫, পিপি, ৮০৪-০৫, (পৃষ্ঠাঃ ৭৫৩)