শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
১৮৬। পাকিস্তানের যুদ্ধ প্রস্তুতির মোকাবিলার প্রশ্নে আসাম প্রাদেশিক কংগ্রেস (বার্ষিক) কমিটির প্রস্তাব | দৈনিক হিন্দিস্তান স্ট্যান্ডার্ড | ২৪ অক্টোবর ১৯৭১ |
পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধকে APCC(R) গুরুত্ত্বের সাথে নিয়েছে
(গোয়াহাটি অফিস থেকে)
অক্টোবর, ২২- গতকাল দীর্ঘ বৈঠকের পর আসাম প্রদেশ কংগ্রেস ‘পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি’ কে গুরুত্ত্বসহকারে নিয়েছে এবং সরকার ও জনগণকে আহ্বান জানায় যেন ‘সতর্ক হয় এবং সাহস ও দৃঢ়তার সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নিতে পারে।
সেখানে বলা হয়, এই সংকটময় মুহূর্তে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে, বিশেষ করে আসাম কে সতর্কতার সাথে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কমিটির সভাপতি জনাব বি.সি ভাগাওয়াত সবাইকে এক হয়ে, দল-মত নির্বিশেষে ঐক্য বজায় রাখতে এবং জাতীয় নিরাপত্তার খাতিরে সরকারের সাথে কাজ করার জন্য সকলের কাছে আবেদন করেন।
সমাধানের জন্য আলোচনা চলার পাশাপাশি পাশের কক্ষে কমিটির সহ-সভাপতি ও ৩ জন AICC সদস্য নির্বাচন চলছিল।
আলোচনার অন্যতম বক্তা অর্থমন্ত্রী কে.পি ত্রিপাঠী বলেন, জেনারেল ইয়াহিয়ার নেতৃত্বের কারনে পাকিস্তানে যে বৃহৎ ‘ভারতে যুদ্ধ’ বিরোধী অংশ ছিল, তারা সবাই ধুয়ে-মুছে গেছে। কমিটি এখান থেকে এতোটুকুই বলতে পারে যে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং মূল বিষয় হচ্ছে যে, প্রতিটি নাগরিককেই সতর্ক হতে হবে।
কমিটি এখনো আশা করে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে এবং ১০ লক্ষ উদ্বাস্তুকে দেশে ফিরিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
কমিটি এটাও আশংকা করছে যে ‘পাকিস্তানি সামরিক নায়কের একগুয়েমির কারনে’ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় হস্তক্ষেপ নাও করতে পারে। কমিটি সরকার এবং জনগণকে আহ্বান জানায় বেসামরিক প্রতিরক্ষার জন্য যেন বিমান হামলা চালানো হয় এবং শত্রু পক্ষের এজেন্ট থেকে যেন সতর্ক হয়, বিশেষ করে গুপ্তচরদের নাশকতা থেকে।
কমিটি মনে করে যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, দেশরক্ষী বাহিনী, অগ্নি নির্বাপণ বাহিনী, শান্তিবাহিনী এবং ইমারজেন্সি রিলিফ কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব শক্তিশালী করতে হবে।
সরকারের উচিত এখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের যথেষ্ট সরবরাহ নিশ্চিত করা, যথেষ্ট মজুদ গড়ে তোলা এবং প্রয়োজন মত বন্টন করা।
সবাইকে যে কোন সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে এমং উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে।
আজকে কোন আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গ্রহন করা ছাড়াই NEC এর সংশোধন APCC এর দ্বারা সর্বসম্মতভাবে গ্রহন করা হয়েছে।
তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে ধরিন্ধর বসুমাতারায় (এমপি)সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে বাকি তিনটি পদের জন্য আটজন প্রার্থী থেকে রবিন কাকতি(এমপি), ডাঃ ভুমিধর বর্মন এবং প্রদেশ কুমার চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।