You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.10 | বাংলাদেশ সরকারের ওপর ভারত সরকারের প্রভাবের প্রশ্নে স্বতন্ত্র পার্টির বক্তব্য | যুগান্তর - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৮৪। বাংলাদেশ সরকারের ওপর ভারত সরকারের প্রভাবের প্রশ্নে স্বতন্ত্র পার্টির বক্তব্য যুগান্তর ১০ অক্টোবর ১৯৭১

স্বতন্ত্র পার্টি জানতে চায় ভারত কি বাংলাদেশ সরকারকে মস্কোমুখি করছে?
(নিজস্ব সংবাদদাতা)

বোম্বাই, ৯ অক্টোবর – বাংলাদেশ মুক্তি ফ্রন্টের বিভিন্ন কমিটিকে ‘সোভিয়েতের অনুকূল’ করে গড়ে তোলার জন্য ভারত সরকার কি বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছেন?

স্বতন্ত্র পার্টির সেক্রটারি শ্রী মধু মেহতা প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে এ প্রশ্নের সরাসরি জবাব চেয়েছেন। লন্ডন টাইমস এর নিয়াদিল্লিস্থ সংবাদদাতা এ সমপর্কে যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট পাঠিয়েছেন শ্রী মেহতার প্রশ্ন সেই রিপোর্ট কেন্দ্র করেই।

টাইমসের সংবাদ দাতা পিটার হেজেল হার্স্ট বাংলাদেশ সরকারের খুব একজন উচ্চপদস্থ ব্যাক্তির বক্তব্য উধ্রিত করে বলেছেন, ভারত সরকার সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষ থেকে পূর্ব বঙ্গের স্বাধীনতা আন্দোলনকে এমন একটি সংস্থায় পরিণত করতে চেষ্টা করছেন যে শেষ পর্যন্র মস্কোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে বাধ্য হবে।

বাংলাদেশ সরকারের এই সদস্যের মতে, ভারত সরকারের মস্কোমুখি ব্যাক্তি বা মুক্তি ফ্রন্টের বিভিন্ন কমিটিকে মস্কোর পক্ষে সুবিধাজনক সংস্থায় পরিণত করার জন্য দু দুবার বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন।

টাইমসের সংবাদদাতা প্রেরিত রিপোর্টে প্রধানত সোভিয়েতপন্থি বাঙ্গালী কমিউনিস্টদের নিয়ে আওয়ামীলীগ সদস্যদের উপদেষ্টা কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে, রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের দুজন বিশিষ্ট প্রবীণ কর্মকর্তা সর্বপ্রকার রাজনৈতিক মতামতের ব্যাক্তিদের নিয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠনের নাম করে মস্কো পন্থিঅধ্যাপক মুজাফর আহমেদ সমেত তিনজন কমিউনিস্ট নেতাকে ঐ কমটির অন্তর্ভুক্ত করতে সমর্থ হন। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে যে প্রফেসর আহমদ গত ডিসেম্বর নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

স্বতন্ত্র পার্টি কেন্দ্রীয় সরকারকে এসব ব্যাপার সম্পর্কে পূর্ন সত্য জনসম্মুখে উপস্থিত করার দাবী জানিয়েছেন।

মিঃ হেজেল হার্স্ট বলেছেন, রাষ্ট্র সঙ্ঘে সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে যে প্রতিনিধিদল যান প্রধানত শ্রী ডি পি ধরের হস্তক্ষেপেই সে দল থেকে বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোস্তাক আহমেদকে বাদ দেওয়া হয়।