You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.22 | কোলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে  বাংলাদেশের সমর্থানে পশ্চিম বঙ্গের পাচজন মন্ত্রী | দৈনিক ‘যুগান্তর’ - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সুত্র তারিখ
৮৩। কোলকাতার বুদ্ধিজীবী সমাবেশে  বাংলাদেশের সমর্থানে পশ্চিম বঙ্গের পাচজন মন্ত্রী দৈনিক ‘যুগান্তর’ ২২ এপ্রিল, ১৯৭১

 

 

বুদ্ধিজীবী সমাবেশে পাঁচজন জন মন্ত্রীর ভাষণ
(স্টাফ রিপোর্টার)

কোলকাতা, ২১শে এপ্রিল- পঃ বঃ লেখক, শিল্পী, শিক্ষাব্রিতি, সমাজসেবী সংঘের এক বৈকালিক আসরে আজ রাজ্য সরকারের পাছজন মন্ত্রী তাঁদের বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত করেন শ্রীমনোজ বসু।

স্বাস্থ্যমন্ত্রি ডাঃ জয়নাল আবেদিন বলেছেন, বাংলাদেশের সংগ্রামে পশ্চিম বাংলা মানুষের পুরো সমরথন আছে। শরণার্থীদের জন্য সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে যত তাড়াতাড়ি হানাদারদের হটানো যায় ততই ভাল। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে গরীবী এবং বেকারী হটাবার যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা রক্ষা করা হবেই। বাংলাদেশের এই পরিস্থিতির উদ্ভব হবে বলে ভাবা যায়নি।

বিচার মন্ত্রী শ্রী অজিত পাঁজা বলেন, সমাজের কাঠামো যদি ভাল করে গড়া যেত তাহলে সমাজবিরধী সমস্যায় আমাদের পড়তে হত না। সমাজের যুবকদের জন্য চাকুরীর ব্যবস্থার করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী অধক্ষ্য শান্তি দাশগুপ্ত বলেন, রাজ্য সরকারের সকল কাজ যাতে বাংলায় হয় তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ কাজে তিনি বুদ্ধিজীবী সমাজসেবীদের সহযোগীতা আহবান করেছেন। স্বায়ত্তশাসন মন্ত্রী মহঃ রউফ আনসারী বলেন, সিএমডি’র মাধ্যমে কলকাতার ১০০টি ওয়ারদের ১০০টি বস্তীতে আধুনিক জীবনযাত্রায় সুযোগ করে দেওয়া হবে। রাষ্ট্রমন্ত্রী (পরিকল্পনা) শ্রী রথীন তালুকদার বলেন, বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করে সমাজবাদী চীন তার আসল রুপ প্রকাশ করেছে।

আজের বৈকালিক আসরের আলোচনায় শ্রী প্রবোধ সান্যাল, ডাঃ বিজনবিহারী ভট্টাচার্য, ডাঃ আশুতোষ, ভট্টাচার্য, শ্রী দক্ষিনারঞ্জন বসু, শ্রী সন্তোষকুমার ঘোষ, শ্রী রঞ্জিত সেন প্রমুখ ব্যাক্তিরা অংশগ্রহণ করেন। স্বাগত ভাষণ দেন শ্রী বিনয় সরকার।