শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৪২। বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তানের সাথে কোন আলোচনা হবেনা – জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির ঘোষণা | দৈনিক স্টেটসম্যান | ৭ অক্টোবর, ১৯৭১ |
বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তানের সাথে কোন আলোচনা নয় – জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধির ঘোষণা
ইউ.এন.এইচ.কিউ ৬ অক্টোবর – বাংলাদেশের সমস্যা শুধুমাত্র পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় – এই কথায় ভারত সকল দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা দৃঢ় ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
– ভাষ্য পিটিআই।
জাতিসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি, জনাব সমর সেন সাধারণ পরিষদে স্পষ্ট ভাবে গতকাল একটি সমুচিত জবাব দেন। তার আগে পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নেতা জনাব মাহমুদ আলী তার বক্তব্যে এমন অভিযোগ করায় তার উত্তরে তিনি একথা বলেন।
জনাব সেন বলেন, ‘বাংলাদেশের সমস্যা পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে। ’ তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমরা এর ভিতরে আসতে চাইনা। ’
“আমরা এটার ভেতরে ঢুকতে পারিনা এবং আমাদের আসা উচিত নয়। যারা মনে করে যে এক্ষেত্রে ভারতীয় সহযোগিতার প্রয়োজন তাদের উপলব্ধি করা উচিত যে, প্রতিবেশীর সঙ্গে সহযোগিতা সবসময় স্বাগত জানানো হয়। পাকিস্তান যে গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে মানবাধিকার বিলুপ্তির পথে, সেই কাজ করতে ভারত অংশীদারিত্ব করতে পারেনা। পাকিস্তান কাশ্মীর সম্পর্কে এবং সেখানকার নৃশংসতার ব্যাপারে কখনো কথা বলতে আসেনি।
ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব শরণ সিং উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু জনাব সেন ভারতের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেন।
জনাব সেন জনাব আলী কর্তৃক প্রণীত অভিযোগ অস্বীকার ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দেন। জনাব আলি প্রথমে একটি সংবাদ সম্মেলনে এবং পরে সাধারণ পরিষদে বলেন যে ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর আগরতলায় সীমান্ত জুড়ে ১০০০ শেল নিক্ষেপ করেছে। নয়া দিল্লির একটি টেলিগ্রাম তিনি পাঠ করেন, যাতে বলা আছে শেলিং আসলে পশ্চিম পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী ভারতীয় ভূখণ্ডের উপরে করেছে এবং গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিপুল মানুষ হত্যা করছে।
ভারত ৪০০ টি অভিযোগ করেছিল, টেলিগ্রামে উল্লেখিত।
জনাব সেন বলেন জনাব আলীর অভিযোগে প্রমাণিত হয় যে পাকিস্তান আগ্রাসী প্রয়াস চালাচ্ছে।
তার বক্তব্যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি কাশ্মীরের সাথে বাংলাদেশের পরিস্থিতি সমার্থক বোঝাতে চেয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১ মিলিয়ন উদ্বাস্তু ভারত থেকে কাশ্মীর পালিয়ে গেছে এবং তারা অভিযোগ করে যে ভারত তাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিবেশ তৈরি করছেনা।