যশোর সেনানিবাস ও অন্যান্য স্থানে
১ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের তৎপরতা
সাক্ষাৎকারঃ ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম
(সাক্ষাৎকারদাতা যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৩০ মাইল দূরে কোটচাঁদপুর ও জগদীশপুর এলাকায় কালেকটিভ ট্রেনিঙে ছিলেন )
২৮-০৯-১৯৭৩
২৫শে মার্চ ঢাকা সহ প্রদেশের অন্যান্য জায়গায় কি ঘটেছিল তা আমার সম্পূর্ণ অজানা ছিল। সেখানে কোন লোকজনের সাথেও আমার সাক্ষাত হয় নি। কেননা ঐ জায়গা টা ছিল জঙ্গলের মধ্যে। এমনকি ২৭শে মার্চ মেজর (বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী) জিয়াউর রহমান সাহেবের স্বাধীনতা ঘোষনা করার কথাও আমি জানতে পারিনি। আমার সৈন্যরা অনেক কিছু জানতে পারলেও আমাকে কিছু জানায়নি।
২৯শে মার্চ ১২ টার সময় অয়ারলেস এর মাধ্যমে পাকিস্তানী ১০৭ নং ব্রিগেডের ব্রিগেডিয়ার আব্দুর রহিম দুররানী আমাদেরকে যশোরে পৌছতে বলায় আমরা সঙ্গে সঙ্গে জগদীশপুর থেকে যশোরের অভিমুখে রওনা দেই। যশোর ক্যান্টনমেন্টে রাত ১২ টায় পৌছি। যদিও ব্যাটালিয়নে মোট ৭৫০/৮০০ সৈন্য থাকে, কিন্তু অনেক সৈন্য ছুটিতে থাকায় আআমদের ব্যাটালিয়নে সৈন্য ছিল ৪০০ জন। (ব্যাটালিয়নের পশ্চিম পাকিস্তানে যাবার কথা ছিল তাই প্রায় অর্ধেক ছুটিতে ছিল)
৩০শে মার্চ, ১৯৭১ তারিখে ব্রিগেডিয়ার দুররানী আমাদের ব্যাটালিয়ন অফিসে যান এবং কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল জলিল কে বলেন যে, আমাদের ব্যাটালিয়ন কে নিরস্ত্র করা হলো এবং আমাদের অস্ত্রশস্ত্র জমা দিতে বলেন। ব্রিগেডিয়ার দুররানী আমাদের ব্যাটালিয়ন অস্ত্রাগারে অস্ত্র জমা করে চাবিগুলি নিজ হাতে নিয়ে নেন। মুহুর্তের মধ্যে এ খবর আমাদের ব্যাটালিয়নের সৈন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ব্রিগেডিয়া দুররানী চলে যাবার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সৈন্যরাও তৎক্ষনাৎ “জয় বাংলা” ধ্বনি দিতে দিতে অস্ত্রাগারের তালা ভেঙ্গে অস্ত্র যার যার হাতে নিয়ে নেয় এবং আমরা চতুর্দিকে আমাদের পজিশন নিই। আমাদের বিদ্রোহের খবর পাওয়ার সাথে সাথে পাকিস্তানী দুই ব্যাটালিয়ন (২৫ বালুচ রেজিমেন্ট এবং ২২তম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স) সৈন্য তিনদিক থেকে আমাদের আক্রমণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু আমাদের জোয়ানেরা অত্যন্ত দৃঢ়তা ও দক্ষতার সাথে তাদের আক্রমণ কে প্রতিহত করে। এ সময় কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল জলিল আমাদের নেতৃত্ব দিতে অস্বীকার করেন ও অফিসে বসে থাকেন। তখন আমি ব্যাটালিয়নের নেতৃত্ব দেই এবং পাঞ্জাবীদের আক্রমণ প্রতিহত করার প্রস্তুতি নেই, সেভাবেই সৈন্যদের পুনর্গঠন করি। সেকেন্দ লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন ও আমার সঙ্গে বিদ্রোহে যোগদান করে।
এভাবে সকাল আটটা থেকে দুপুর দুইটা পর্যন্ত পাঞ্জাবীরা বার বার আমাদের উপরে আক্রমণ করে, কিন্তু প্রত্যেকবারই আমরা তাদের আক্রমনকে প্রতিহত করি। পাকিস্তানীরা আগে থেকেই আমাদের উপরে আক্রমনের প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা নিয়েছিল, কারণ তারা মর্টার আক্রমন করে এবং আমাদের ব্যাটালিয়নের উপরেই করে। যেহেতু তাদের পুর্ব পরিকল্পনা ছিল, তাই আমরা তাদের সাথে বেশীক্ষন যুদ্ধ চালাতে পারব না মনে করে আমি ব্যাটালিয়ন নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেই।
পাকিস্তানী সৈন্যরা আমাদেরকে উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিন দিক থেকে আক্রমন করেছিল। পশ্চিম দিক খালি থাকলেও তারা পশ্চিমের খোলা মাঠের দিকে অবিরাম বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন করছিল। আমরা পশ্চিম দিক থেকে কভারিং ফাইটের সাহায্যে বের হবার সিদ্ধান্ত নিলাম, সে উদ্দেশ্যে আমরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হই। (চৌগাছা যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ১০ মাইল দক্ষিন-পশ্চিমে) ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হবার সময় আমি আমার কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল জলিলকে আমাদের সাথে বিদ্রোহে যোগ দেবার জন্য বার বার অনুরোধ করি। কিন্তু তিনি মোটেই রাজি হন নি।
যশোর ক্যান্টনমেন্ট যুদ্ধের সময় সেকেণ্ড অফিসার লেফটেন্যান্ট আনোয়ার হোসেন শহীদ হন। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেন। তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে “বীর উত্তম” উপাধিতে ভূষিত করেন। সেকেণ্ড লেফটেন্যান্ট আনোয়ারই প্রথম অফিসার যিনি যুদ্ধে শহীদ হন। তাছাড়া এই যুদ্ধে আমার ৪০ জন সৈন্য শহীদ হন। পাকিস্তানী সৈন্যও প্রায় ৪০ জন শহীদ হয়।
চৌগাছায় একত্রিত হবার পরে আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলি। এসময় আমি একমাত্র অফিসার ছিলাম। দশজন জুনিয়র কমিশন অফিসার ও আমার সাথে প্রায় ২২৫ জন সৈন্য ছিল।
৩০শে মার্চ, ১৯৭১, এইদিন রাত্রে জনসাধারনের মারফতি প্রথম জানতে পারলাম যে, কেজর জিয়াউর রহমান সাহেব চট্টগ্রাম থেকে বিদ্রোহ ঘোষনা করেছেম এবং যুদ্ধের জন্য সকল বাঙালি সৈন্যদের আহবান করেছেন। কয়েকজন সাংবাদিক ও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিকট জানতে পারলাম যে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ইপিআর বাহিনীর সৈন্য ও অফিসাররা পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছে। এ খবর পাবার পর আমার এবং আমার সৈন্যদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ দেখা যায় এবং মনোবল অত্যন্ত দৃঢ় হয়।
৩১শে মার্চ, ১৯৭১, এইদিন আমার ব্যাটালিয়নে সমস্ত সৈন্যদের একত্রিত করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মুক্তি সংগ্রাম সম্পর্কে তাদের অবহিত করলাম। তাদের উদ্দেশ্য করে সংক্ষিপ্ত ভাষনে জানালাম যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হয়েছে। স্ব-ইচ্ছায় যে বা যারা দেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মবিসর্জন দিতে প্রস্তুত শুধু তারাই আমার ব্যাটালিয়নে থাকতে পারবে। এবং আরো বললাম, যদি কারো যুদ্ধ করার ইচ্ছা না থাকে তাহলে সে কেটে পড়তে পারে। আমার বক্তব্য শুনে প্রত্যেক জোয়ানের মুখে নতুন করে উদ্দীপনা দেখা দেয়। তারা সবাই দেশের জন্য আত্মবিসর্জন দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে শপথ গ্রহন করে।
চৌগাছায় আমার ও আমার ব্যাটালিয়নের যুদ্ধ করার মত কোন গোলাবারুদ ছিল না। আমাদের সঙ্গে যে সমস্ত গোলাবারুদ ছিল তা যশোর ক্যান্টনমেন্টের যুদ্ধেই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া সকলেরই একটা করে পোশাক ছিল। খাওয়া-দাওয়ার অসুবিধা দেখা দেয়। মোটকথা, বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হই। কিন্তু ছাত্র ও জনতার সক্রিয় সাহায্যে আমাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা হয়।
২রা এপ্রিল, ১৯৭১, চৌগাছা থেকে সলুয়া নামক গ্রামে নায়েক সুবেদার এ বি সিদ্দিকের কমান্ডে এক কোম্পানী সৈন্য পাঠাই প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থার জন্য।( সলুয়া গ্রাম যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৫ মাইল পশ্চিম দিকে) চৌগাছা তখন আমার হেডকোয়ার্টার। এখান থেকে যশোর ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিম ও উত্তর দিকের গ্রামগুলোতে পেট্রোলিং শুরু করি। হাবিলদার আবুল কাশেম (টি-জে) এবং হাবিলদার মোহাম্মদ ইব্রাহীমদের নেতৃত্বে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে প্রায় এক মাইল পশ্চিমে খিতিবদিয়া নামক গ্রামে অ্যামবুশ পার্টি পাঠাই। হাবিলদার আবুল কাশেম এবং হাবিলদার ইব্রাহীম একটি পাকিস্তানী পেট্রোল পার্টিকে অ্যাম্বুশ করে। এতে ৬ জন পাকিস্তানী নিহত হয় এবং ৮ জন গুরুতর আহত হয়।
ইতিমধ্যে ৭ই এপ্রিল খবর পেলাম যে, মেজর ওসমান চোউধুরী (বর্তমানে লেঃ কর্নেল) চুয়াডাঙ্গায় তার ইপিআর বাহিনী নিয়ে মুক্তিসংরামে যোগদান করেছেন। ওইদিন আমি একটা জীপ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় মেজর ওসমান চৌধুরীর সাথে দেখা করতে যাই। তার সাথে সাক্ষাৎ করে তার নিকট থেকে কিছু চাইনিজ এমুনিশন, এক্সপ্লোসিভ, কয়েকটি জীপ এবং কয়েকটি রিকয়েললেস রাইফেল নিয়ে চৌগাছায় ফিরে আসি।
১০ই এপ্রিল ১৯৭১, নায়েক সুবেদার আহমেদউল্লাহ এর নেতৃত্বে কয়েকজন সোইন্যকে পাঠালাম চোত হায়বতপুর গ্রামের ব্রীজ ধ্বংস করার জন্য। ব্রীজটি যশোর-ঝিনাইদহ বড় রাস্তায় যশর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৫ মাইল দূরে অবস্থিত ছিল। ভোর তিনটের সময় নায়েক সুবেদার আহমেদউল্লাহ উক্ত ব্রীজটি উড়িয়ে দেন। ব্রিজটি ভাঙ্গার ফলে এবং চতুর্দিকে আমার ব্যাটালিয়ন সৈন্যদের পেট্রোলিং এর দরুন পাকিস্তানী সৈন্যরা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ভয়ে কিছুদিন বের হতে পারেনি।
১১ই এপ্রিল, ১৯৭১, সিপাই ড্রাইভার কালা মিয়াকে পাঠাই কোটচাঁদপুর থানায় কয়েকটি জীপ ও ট্রাক সংগ্রহ করে আনতে। কালা মিয়া কোটচাঁদপুর যাবার পথে খবর পায় যে , পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটা কনভয় কালিগঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উক্ত খবর পাবার পর কালা মিয়া আশেপাশের গ্রাম থেকে দশজন মুজাহিদকে নিয়ে কালিগঞ্জের দিকে একমাইল দূরে এম্বুশ করে। উক্ত এম্বুশে তিনটা গাড়ি বিধ্বস্ত হয় এবং দশজন পাকিস্তানী সৈন্যও নিহত হয়। কালা মিয়া একটা হ্যাণ্ড গ্রেনেড নিয়ে যখন একটা গাড়ির দিকে ছুড়তে যায় তখন তার বুকে পাঞ্জাবীদের গুলি বিদ্ধ হয় এবং সে সাথে সাথে শহীদ হয়।
১৪ই এপ্রিল, ১৯৭১, ইতিমধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সৈন্যরা বেনাপোলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এ খবর পেয়ে ১৪ই এপ্রিল আমি আমার ব্যাটালিয়ন চৌগাছা থেকে তুলে নিয়ে বেনাপোলের ৩ মাইল পুর্বে কাগজপুকুর গ্রামে হেডকোয়ার্টার স্থাপন করি এবং যশোর-বেনাপোল রাস্তার দু’ধারে প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা নেই। এই সময় ইপিআর বাহিনীর দু’ট কোম্পানী যোগদান করে। আমাদের সৈন্যসংখ্যা প্রায় ৫৫০ জনে দাঁড়ায়। এ সময় শত্রুর শক্ত ঘাটি ছিল নাভারনে। (নাভারণ বেনাপোল থেকে ১২/১৩ মাইল পূর্ব দিকে)। আমি শত্রুর গতিবিধি লক্ষ্য করার জন্য নাভারণ এলাকায় পেট্রলিং শুরু করি।
২১শে এপ্রিল,১৯৭১, ঐদিন ভোর আড়াইটার সময় আমি নিজে ২০ জন্য সোইন্য নিয়ে নাভারণ মূল ঘাঁটিতে পাকিস্তানী সৈন্যদের উপরে রেইড করি। আমার রেইডে ১০ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত হয় এওবং ১৫ জন আহত হয়। উক্ত রেইডে আমরা মর্টার ব্যাবহার করি। আমার ৪ জন সৈন্য আহত হয়। উক্ত রেইডে যথেষ্ট কষ্ট সহ্য করতে হয় আমাদের, কেননা কাদামাটি এবং খালবিল পেরিয়ে আমাদের রেইড করতে হয়েছিল।
২৩শে এপ্রিল, ১৯৭১, (কাগজপুকুরের যুদ্ধঃ) ২৩শে এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য কাগজপুকুর গ্রামে আমাদের মূল ঘাঁটির উপর হামলা করে। তারা আর্টিলারীর সাহায্য নেয়। এখানে দীর্ঘ ছয়ঘন্টা যুদ্ধ চলে। আমি আমার সৈন্যদের কে নিয়ে পরে বেনাপোল কাস্টম কলোনি ও চেকপোস্ট এলাকায় বিকল্প প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা নিতে বলি। কাগজপুকুরের এই যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ৫০ জন্য সৈন্য নিহত হয় ও অনেক আহত হয়। আমার ২৫ জন সোইন্য শহীদ হয়। অনেক বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করায় বাংলাদেশ সরকার তাঁদের “বীরবিক্রম” উপাধি প্রদান করেন।
এর পরবর্তী পনেরদিন ধরে শত্রুপক্ষ বেনাপোল কলোনী ও চেকপোস্ট এলাকা দখল করার জন্য বহুবার আক্রমণ করে। কিন্তু প্রত্যেকবারই তাদের আক্রমনের পাল্টা জবাব দেই এবং প্রতিহত করি। উক্ত পনের দিনের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রায় ১০০ জন সৈন্য নিহত হয়। এই আক্রমনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তারা বেনাপোল দখল করে সেখানে পাকিস্তানী পতাকা উত্তোলন করবে। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। এবং বাংলাদেশের পতাকাই উড়তে থাকে। উপরন্তু এ এলাকা তারা কখনও দখল করতে পারে নাই। বেনাপোলের যুদ্ধে আমার দশজন সৈন্য শহীদ হন। এ সংঘর্ষে হাবিলদার আব্দুল হাই, হাবিলদার আবুল হাশেম (টি-জে), হাবিলদার মোহাম্মদ ইব্রাহীম, ল্যান্স নায়েক ইউসুফ আলী, লযান্স নায়েক মুজিবুর রহমান, সিপাই আব্দুল মান্নান অভূতপূর্ব দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে অসীম বীরত্বের পরিচয় দেয়। বড়আঁচড়া গ্রামে এম্বুশ করে হাবিলদার ফয়েজ ১৫ জন পাকিস্তানী সৈন্য নিহত করে।
—————————————-