রনাঙ্গন সংবাদ
চিলমারী-রনাঙ্গন (রংপুর) রৌমারী ১৮ই অক্টোবর- আমাদের বিশেষ প্রতিনিধি পরিবেশিত সংবাদে প্রকাশ গত ১৬ অক্টোবর অতি প্রতুষ্যে বাংলার কৃতিসন্তান, মাতৃভূমির নিস্বার্থ সেবকও অন্যতম ত্রানকর্তা মেজর আবু তাহেরের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার মুক্তি পাগল সন্তানের ছােট্ট একটি দল অতিসামান্য কিছু অস্ত্র-শস্ত্র সহকারে চিলমারী গমন করে এবং সেখানে গিয়ে আরও ক্ষুদ্র দলে বিভক্ত হয়ে চিলমারী বাজার রসনা থানার হাট ও বালাবাড়ী হাটে অবস্থিত দু পাক বাহিনীর বর্বর ঘাটিগুলি আক্রমণ করে এবং ৭২ জন পাক সেনা [সি, এন, এক) ও ১৬ জন রাজাকারকে নিহত করে তারপর ৬৩ জন রাজারকারকে বন্দী করে ৫৩ টি রাইফেল দুইটি স্টেন গানও প্রায় দুয়শত গুলি হস্তগত করে। এই সব সদ্য মুক্তাঞ্চলে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করার সঙ্গে সঙ্গে হাজার হাজার লোেকই মুক্তি ফৌজের নিকট ছুটে আসে এবং শেখ মুজিব ধ্বনি দিতে থাকে। বন্দী রাজাকারগণকেও তাদের প্রধান পরিচালক কুখ্যাত পাক দালাল ও অত্যাচারী ওয়ালী মােহাম্মদকে এই অভিযানে প্রাপ্ত অস্ত্র-সস্ত্রসহ মুক্তি ফোজের আঞ্চলিক সদর দফতর রৌমারীতে বেলা ১১ ঘটিকার সময় আনয়ন করা হলে হাজার হাজার লােক ছুটে আসে ও বাংলার এই বৈরী সন্তানদের দেখার জন্য ঘিরে ফেলে। ওয়ালী মােহাম্মদের অত্যাচার ও কুকীর্তির আলােচনা করতে করতে দর্শক জনতা কিছুক্ষণের মধ্যে-মার মুখাে হয়ে উঠে। অবস্থার বেগতকি বুঝে কর্তৃপক্ষ তাকে ও অন্যান্য রাজাকারদের জনতার অগােচার প্রেরণ করেন। | একই দিনে নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে আর একদল মুক্তি ফৌজ রাজার ভিটায় আক্রমণ চালিয়ে তিনজন পাক সেনাকে [সে, এ. এফ ও ১৫জন রাজাকারকে খতম করে এবং কুখ্যাত পাক দলাল পঞ্চ মিয়াসহ ছাব্বিশ জন রাজাকারকে গ্রেপ্তার করে। এই অভিযানে ৩৫টি রাইফেল ও তিন সহস্রাধিক গুলি বারুদ মুক্তি বাহিনীর অস্তগত হয়। সংবাদে আরও প্রকাশ অদ্য দুপুরবেলা অন্য একজন রাজাকার চিলমারীর অন্য এক শত্রু ঘাটি থেকে ছয়টি রাইফেলসহ পলায়ন করে। এবং সন্ধ্যার কিছু পূর্বেই মুক্তিফৌজ অধিনায়কের নিকট আত্মসমর্পণ করে।
অগ্রদূত ১: ৮
২০ অক্টোবর ১৯৭১
সূত্র: গণমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ -খন্ড ০৯