You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.10.10 | ইয়াহিয়ার মোমের প্রাসাদ | বাংলাদেশ নিউজলেটার শিকাগো - সংগ্রামের নোটবুক

শিরোনামঃ সম্পাঃ ইয়াহিয়ার মোমের প্রাসাদ
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশ নিউজলেটার শিকাগোঃ নং ১০
তারিখঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৭১

সম্পাঃ ইয়াহিয়ার মোমের প্রাসাদ
যদি মোমের পুতুল দেশ চালাতে পারতো, উপনিবেশিকতা একটি সম্প্রসারণশীল ব্যবসা হত। দক্ষ উপনিবেশিক শক্তিগুলো জেনারেল ইয়াহিয়ার মতই যথেষ্ট দক্ষতা ও যোগ্যতা রাখে আঞ্চলিক তথাকথিত “নেতৃত্ব” তৈরিতে। ইতিহাস অনেক উদাহরনে পরিপূর্ণ কিভাবে এই গৃহনির্মিত “নেতারা” তাদের বিপুল বিস্তৃত রাজকীয় সম্ভার নিয়ে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় বাংলাদেশে বিদ্যমান অবস্থা থেকে আরও শিথিল পরিস্থিতিতে। কিন্তু, হয়তো উপনিবেশিক মানসিকতা এমন ভাবে কাজ করে যাকে ইতিহাস সুস্থ করতে পারে না।
ইয়াহিয়ার পর্দার আড়ালের কারখানা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছে আমাদের সময়ের অন্যতম বৃহৎ মোমের জাদুঘর তৈরিতে। একজন “গভর্নর”, হাতের পুতুল “কেবিনেট সদস্য” এমনকি সম্পূর্ণ সংসদ সদস্য! উপহাস হচ্ছে এই খেলার নাম। খুবই উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি উপহাস। জেনারেলের থামার কোনো ইচ্ছা নাই যতক্ষণ পর্যন্ত সে পূর্ব-রচিত “গনতন্ত্র” এই নাটিকার কেন্দ্রবস্তু হিসেবে না বসাচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে সব দেশ পাকিস্তানী সামরিক জান্তার এই চেষ্টা দেখছে এবং হয়তো সামান্য আমোদিত তার এই হতাশায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের জন্য সামান্যই রয়েছে আমোদিত হওয়ার মত। “পরিবর্তনের” এই মহা নাটক যখন মঞ্ছে উন্মোচিত হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর বিনোদনের জন্য, হাড় কঙ্কালের স্তুপ আগের থেকেও দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে পর্দার আড়ালে। দখলকৃত বাংলাদেশে জীবন হয়ে উঠেছে আরো এবং আরো অনিরাপদ।অন্যত্র
এই পাতায়, ধারাবাহিকতা এবং পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর বর্বরতার তীব্রতা নিয়ে আমরা রিপোর্ট বর্ণনা আছে।যখন সামরিক প্রধানরা মার্কিন সিনেটরদের শান্ত এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনকে আশাবাদী রাখার জন্যে মিষ্টি-কথা বলছেন।
যেহেতু ইতিহাস ঔপনিবেশিক মনের অদ্ভূত কাজগুলোকে দূর করতে পারে না, তাদের সাথে আচরণের নিজস্ব উপায় ইহা উন্নত করেছে।ইহা ইহাদের চাকার নিচে তাদের পিষ্ট করছে।বাংলাদেশের মানুষ ইতিহাসের এই চাকাগুলো দ্রুত ঘুরিয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
* * *
গুরুত্তপূর্ণ ঘোষণা
স্যাক্সবি-চার্চ সংশোধনী হতে বিদেশী সহায়তা বিল আশা করা হচ্ছে যে খুব শীঘ্রই বৈদেশিক সম্পর্কের উপর কমিটি বের হবে।ইহা “ফ্লোর আকশন” এর জন্যে অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে তৈরী হবে।
আপনি যত পারেন চিঠি ও টেলিগ্রাম আপনার সিনেটরকে দিতে পারেন।আপনার বন্ধুদের জানান অবিলম্বে তাদের সিনেটরকে লিখতে।আরো ভালো হয়, যদি আপনি পারেন, ব্যাক্তিগতভাবে ওয়াশিংটন ডি সি সিনেটের লবিতে আসেন।আমরা আমাদের প্রতিটি পাঠককে অনুরোধ করছি তদবির সংঘটিত করার যোগাযোগ বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার,৪১ সেওয়ার্ড স্কোয়ার এসই, এপিটি ৪, ওয়াশিংটন ডি সি ২০০০৩ (ফোন (২০২)৫৪৭ ৩১৯৪)