শিরোনামঃ পাকিস্তানের দিল্লী মিশন ইয়াহিয়ার কসাইখানা
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশ ভলিউম ১ নং ২০
তারিখঃ ১০ নভেম্বর ১৯৭১
পাকিস্তানিরা পরদেশে নয়াদিল্লীতে তাদের হাই কমিশনে বাংলাদেশি
কর্মকর্তাদের উপর বর্বরতা ও পশুত্বের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল ২ নভেম্বর,১৯৭১ তারিখে।
বাঙালি কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা স্বাধীনতার দাবি জানালে এবং বাংলাদেশের প্রতি অনুগত্য শিকার করায় তাদের নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়।ভারতে তাদের ইন্টেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক এর চিফ মিআব্দুল গণির ব্যক্তিগত সহকারী বাংলাদেশি জনাব হুসাইন আলী খানকে জোরপূর্বক হাই কমিশনে আটকে রাখা হয় এবং মারধর করা হয়।হুসাইন আলী খান আর বেচে আছেন কিনা সেটা এখনো অজানা।বাঙালি কর্মকর্তাদের স্বাধীনতা আন্দোলনের আশ্বাস ও নিশ্চয়তা দেওয়া সত্ত্বেও তাদের উপর নির্মমভাবে কুৎসিত অসদাচরণ করা হয়।হাই কমিশন কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের জন্য পূর্বঘোষিত কারাবাসীর মত যারা হাইকমিশনে ছিলেন সেই বাঙালি কর্মকর্তাদের সকল নিষেধাজ্ঞ তুলে দেন।তাদের বলা হয় যে যদি তারা চায় তবে তারা হাই কমিশন ছেড়ে চলে যেতে পারে।তবে তারা হুসাইন আলীকে তাদের আটকে রাখে কেননা তিনি ভারতে তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক এর চীফের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন।ভারতে পাকিস্তানের
হাই কমিশন যাকে বলা হত ইয়াহিয়া খানের ঘর সেখান থেকে অপেক্ষারত এবং রক্তাক্ত মানুষের অবস্থাই সংবাদ মাধ্যম এবং হাইকমিশনের বাইরের সকলের কাছে ভেতরের পরিস্থিতিকে বর্ণনা করে!এরপর পশ্চিম পাকিস্তান সমগ্র বাংলাদেশের উপর নৃশহংস এবং ঘৃণামিশ্রিত ক্রোধ পোষণ করে।বাংলাদেশ সরকার এবং নেতাগণ খুব শক্তভাবে বাঙালি কর্মকর্তাদের প্রতি এই অত্যাচারের নিন্দা জানায় এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপে জনাব হুসাইন আলি খানের মুক্তি চায়!