You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.04.21 | সরকারী কর্মচারীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ | দৈনিক পাকিস্তান - সংগ্রামের নোটবুক

শিরোনামঃ ১৪৬। কাজে যোগদানের নির্দেশ
সূত্রঃ দৈনিক পাকিস্তান
তারিখঃ ২১ এপ্রিল ১৯৭১

সরকারী কর্মচারীদের কাজে যোগদান সম্পর্কে প্রেসনোট
পূর্ব পাকিস্তান সরকারের এক প্রেসনোটে বলা হয়েছে যে, সংবাদপত্র এবং বেতার ও টেলিভিশনে ঘোষণা করা হয়েছিলো যে, সরকারী বিভাগ, ডাইরেক্টরেট, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাসমূহের সকল কর্মচারীকে সর্বশেষ ১৯৭১ সালের ২১শে এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগদান করতে হবে অন্যথায় ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জারীকৃত ১২০ নম্বর সামরিক আইন আদেশ অনুযায়ী শাস্তিদান ছাড়াও তাদের বরখাস্ত করা হবে। এটা অনুধাবন করা হয়েছে যে, বিশেষ আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও কোন কোন এলাকায় যোগাযোগের অসুবিধার জন্য কোন কোন কর্মচারীর পক্ষে নিজ নিজ অফিসে কাজে যোগদান সম্ভব নাও হতে পারে। এই সকল কর্মচারীকে নিকটবর্তী জেলা বা মহকুমা সদর দফতরে কোন বিভাগের কোন অফিস না থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের নিকটবর্তী ডেপুটি কমিশনার বা মহকুমা অফিসারের কাছে হাজির হতে হবে। এতে ব্যর্থ হলে তাদের উল্লিখিত ব্যবস্থা অনুযায়ী শাস্তিদান করা হবে।
উল্লিখিত নির্দেশ অনুযায়ী যে সকল কর্মচারী নিজেদের স্বাভাবিক কাজে স্থান ছাড়া অন্য ষ্টেশনে কাজে যোগদান করবেন, তারা তাদের স্বাভাবিক কাজ পুনরায় শুরু করার জন্য শীঘ্রই নিজেদের অফিসে হাজির হবেন। এটা পরিষ্কার করে বোঝা দরকার যে, নিজেদের অফিসে কাজে যোগদান না করা পর্যন্ত তাদের বেতন দেয়া হবে না।
২৪ জন নবনিযুক্ত জুট এক্সটেনশন অফিসারকে কাজে যোগদানের নির্দেশ
ইতিপূর্বে এসডিএও (জুট) পদে চাকুরীতে ২৪ জন নবনিযুক্ত জুট এক্সটেনশন অফিসারকে তাদের নামের পাশে উল্লিখিত স্থানে অবিলম্বে যোগদান করতে বলা হয়েছে। এপিপির খবরে প্রকাশ, প্রাদেশিক সরকারের এক হ্যান্ড আউটে বলা হয় যে তাঁদেরকে তাঁদের আনুষ্ঠানিক নিয়োগপত্রের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। নবনিযুক্ত অফিসাররা তাদের কর্মস্থলে কাজে যোগদানে যাতে কোন অসুবিধার সম্মুখীন না হয়, সেদিকে দৃষ্টি রাখার জন্য কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট সহকারী ডাইরেক্টর (পাট উৎপাদন) ও জেলা কৃষি অফিসারদের উপদেশ দেওয়া হয়েছে। উপরোক্ত অফিসাররা ৩০০-৬৭৫ টাকা স্কেলে (তৎসঙ্গে প্রতিমাসে কারিগরি ভাতা ৫০ টাকা) বেতন পাবেন।
নিচে নবনিযুক্ত ২৪ জন জুট এক্সটেনশন অফিসারদের নাম দেওয়া হলোঃ
১। জনাব মাইজুদ্দীন আহমদ, টাঙ্গাইল।
২। জনাব এইচ, এম, আনিস আলম সিদ্দিক, নড়াইল, যশোর।
৩। জনাব মোঃ আনসার আলী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর।
৪। জনাব মোঃ লুৎফর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা।
৫। জনাব মোঃ মোফাজ্জল হোসেন প্রামাণিক, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর।
৬। জনাব মোঃ আলাউদ্দীন খান, জামালপুর, ময়মনসিংহ।
৭। জনাব মোঃ আবুল মনসুর, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা।
৮। জনাব মোঃ মতিউর রহমান, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা।
৯। জনাব মোঃ তৌফিক উদ্দীন, চাঁদপুর, কুমিল্লা।
১০। জনাব মোঃ মহসিন মিয়া, জামালপুর, ময়মনসিংহ।
১১। জনাব মোঃ আবু বকর সিদ্দিক, নওগাঁ, রাজশাহী।
১২। জনাব আব্দুল মুহিত, দিনাজপুর (সদর)।
১৩। জনাব মোঃ মতিউর রহমান শিকদার, মুন্সীগঞ্জ, ঢাকা।
১৪। জনাব মোঃ এ, এইচ, এম মহিউদ্দীন, কুমিল্লা (সদর উত্তর)।
১৫। জনাব মোঃ শাহজাহান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা।
১৬। জনাব আব্দুর রাজ্জাক, রাজশাহী (সদর)।
১৭। জনাব মোঃ ওসমান গনি, নওয়াবগঞ্জ, রাজশাহী।
১৮। জনাব মোঃ নজমুল হোসেন, নাটোর, রাজশাহী।
১৯। জনাব নজরুল ইসলাম, নাটোর, রাজশাহী।
২০। জনাব মোঃ ফজলুল হক রিকাবদার, চাঁদপুর, কুমিল্লা।
২১। জনাব মোঃ জহীরউদ্দীন ভূঁইয়া, নাটোর, রাজশাহী।
২২। জনাব মোঃ রমজান আলী, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর।
২৩। জনাব মোঃ হজরত আলী, ঢাকা (সদর উত্তর)।
২৪। জনাব মোঃ ইউনুস, নরসিংদী, ঢাকা।