শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৯৭। পাক প্রতিনিধিদলের চীন সফরের ফলাফল বর্ণনা | দৈনিক পাকিস্তান | ৯ নভেম্বর, ১৯৭১ |
অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্ব্যর্থহীন ভাষায় চীনের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন’
আলোচনার ফল সন্তোষজনকঃ চৌ
পিকিং, ৮ই নভেম্বর (এপিপি)। -প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই গতরাতে বল্রন যে, চীনের নেতৃবৃন্দ ও বন্ধুত্বমূলক সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক চীনে প্রেরিত পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেছে।
চীন থেকে ফিরে আসার আগে চীনা নেতাদের সম্মানে পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলের নেতা জনাব জুলফিকার আলী ভুট্টো এক ভোজসভার আয়োজন করেন,
ভোজসভায় এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই উক্ত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই আলোচনার সাফল্যে দু দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও আন্তরিকতাপূর্ণ বন্ধুত্বেও পরোপুরি পরিচয় রয়েছে।
তিনি বলেন, অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চি পং ফেই তার ভাষণে চীনের ভূমিকা পরিষ্কার ভাষায় ব্যক্ত করেছেন।
তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া সরকার ও জনগনের কাছে চীনা সরকার এবং জনগনের শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানানর জন্য পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলকে অনুরোধ জানান।
হংকং থেকে রয়টার পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, চৌ এন লাই ও ইয়াহিয়ার বিশেষ দূত জনাব ভুট্টো তাঁদের আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে সিনহুয়ার খবরে বলা হয়েছে। গতরাতে জনাব ভুট্টো প্রদত্ত ভোজসভায় তাঁরা ভাষণ দেন।
মিঃ চৌ এন লাই বলেন, ইয়াহিয়ার কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে পাকিস্তানী প্রতিনিধিদল চীনে বন্ধুত্বমূলক সফরে এসেছেন এবং সাধারণ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চীন সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের আলোচনায় সাফল্যজনক ফল পাওয়া গেছে।
গত শুক্রবার পিকিং আগমনের পর মিঃ চৌ এন লাই ও অন্য চিনা নেতাদের সঙ্গে ভুট্টোর প্রতিনিধিদলের আলোচনা হয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে যে সম্পর্কে সিনহুয়া কোন বিস্তারিত বিবরণ দেয়নি।
যাই হোক, ভুট্টো গতরাতে পিকিং-এ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন যে, আলচনার ফল এশিয়ার হামলা প্রতিরোধ করবে। চীনের অস্থায়ী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চী পেং ফেই পাকিস্তানী প্রতিনিধিদলের জন্য প্রদত্ত ভোজসভায় অভিযোগ করেছেন যে, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারত হস্তক্ষেপ করছে।
জনাব ভুট্টো গতরাতে চীনা নেতাদের সম্মানে প্রদত্ত ভোজসভায় বলেন যে, চীনা নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা করে তাঁর প্রতিনিধিদল দেশে ফিরছে।
এশিয়ায় পাকিস্তানের ভূমিকা হচ্ছে শান্তি, বন্ধুত্ব, অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা ও মানবজাতির অগ্রগতি। পাকিস্তান ও চীনের জনগন এই সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে।