You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.05.11 | জয় বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয় | জয় বাংলা - সংগ্রামের নোটবুক

শিরোনামঃ সম্পাদকীয়
সংবাদপত্রঃ জয় বাংলা ১ম বর্ষঃ ১ম সংখ্যা
তারিখঃ ১১ মে, ১৯৭১

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশের মুক্তিপাগল মানুষ আজ ইয়াহিয়া ও তার জঙ্গিচক্রের দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মরণপণ করে রুখে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত পাক ফৌজের বিরুদ্ধে চলছে মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড লড়াই। অস্ত্র বলে বলীয়ান খান-সেনাদের নায়ক টিক্কা খান ভেবেছিল মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভেঙ্গে দেয়া যাবে বাঙ্গালির প্রতিরোধ, তাদের পরিণত করা যাবে গোলামের জাতে। কিন্তু তাদের সে আশা সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিদিন বাড়ছে মুক্তিবাহিনীর শক্তি। বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন যোগ দিচ্ছে মুক্তিবাহিনিতে। স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী নিচ্ছে খান সেনাদের খতম করার চূড়ান্ত প্রস্তুতি। শত্রুর কামান চিরতরে স্তব্ধ না করা পর্যন্ত থামবে না এ যুদ্ধ। কিন্তু এছাড়া কি অন্য কোন পথ খোলা ছিল সাড়ে সাত কোটি বাঙালী ও নেতাদের জন্যে ?
এ প্রশ্নের জবাব দিতে গেলে পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে নানা বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে হয়। গনতন্ত্রের পথেই হয়েছিল পাকিস্তানের জন্ম, এবং তা অর্জনের উদ্দেশ্যই ছিল আপামর দেশবাসীর সার্বিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি। কিন্তু বাঙালী জাতি কি কোনদিন পেয়েছে মুক্তির স্বাদ ? বারবার বাঙ্গালীর রাজনৈতিক, অর্থনীতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের উপর হানা হল একটানা হামলা।
গোড়াতেই চলল বাঙ্গালীর মাতৃভাষার উপর গোড়াতেই চলল বাঙ্গালীর মাতৃভাষার উপর আক্রমণ-যদিও পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার মধ্যে বেশিরভাগ ছিল বাঙালী। বাংলাভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার জন্য প্রাণ দিতে হল আমাদের সন্তানদের, কিশোর তরুণের তাজা রক্তে লাল করতে হল ঢাকার রাজপথ। অনেক খুন, অনেক রক্তে ও অনেক সংগ্রামের বিনিময়ে বাংলা রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি পেলেও কোনদিন তার ন্যায্য মর্যাদা পেল না।
বাংলাভাষার বিরুদ্ধে ওদের কত ঘৃণা কত বিদ্ধেষ, বাংলাদেশব্যাপী শহীদ মিনারগুলো কামান দাগিয়ে ধ্বংস করা থেকেই পাওয়া যায় তার প্রমাণ।
শুধু ভাষা নয়, বাংলার সংস্কৃতির প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা চালাল হামলা। আমাদের সংস্কৃতিকে গলা টিপে মারার প্রচেষ্টা চলল সুপরিকল্পিতভাবে।
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও চললো একটানা শোষণ বঞ্চনা। বাংলাদেশকে শোষণ করে গড়ে তোলা হল পশ্চিম পাকিস্তান। ফলে একদিকে সোনার বাংলা পরিণত হল শ্মশানে অন্যদিকে মরুময় পশ্চিম পাকিস্তান হয়ে উঠলো শস্য শ্যামলা। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকুরী বাকুরী সশস্ত্রবাহিনী কোথাও হল না বাঙ্গালিদের স্থান। আজাদীর চব্বিশ বছর পরও সশস্ত্রবাহিনীতে বাঙ্গালীদের সংখ্যা শতকরা দশজনও ছিল না। বিদেশী সাহায্য, ঋণ প্রভৃতি ক্ষেত্রেও পেল না বাংলাদেশ তার ন্যায্য হিস্যা। সাড়ে বার কোটি পাকিস্তানীর নামে এসব বিদেশী সাহায্য ঋণ ও মুঞ্জুরী এনে তা ভোগ করলো দেশের মাত্র একটি অংশের মানুষ। বাংলাদেশের পাট বেচা টাকা থেকে আয় হত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার মোট শতকরা ষাট ভাগ। কিন্তু কোনদিন বাঙালী এর অর্ধেকও নিজের ব্যবহারের জন্য পায়নি। বাংলাদেশের উদ্ধৃত্ত বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে পূরণ করা হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তানের ঘাটতি । কেনা হয়েছে দেশের সেই অঞ্চলের জন্য কলকারখানা ও শিল্পের যন্ত্রপাতি, আর আনা হয়েছে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাঙ্গালীর অর্থে কেনা অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে আজ নির্বিচারে খুন করা হচ্ছে বাঙ্গালীদের।
আওয়ামী লীগ যখনই এসব অন্যায়, অবিচার ও শোষণ বঞ্ছনার প্রতিকার দাবী করেছে তখনই তাদেরকে আখ্যায়িত করা হয়েছে ভারতের দালালরূপে, ইসলাম ও সংহতির দুশমনরূপে। তবু নির্ভেজাল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব চেয়েছিলেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় সমস্যাবলী সমাধান করতে, কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যকার তথা দেশের দুই অংশের মধ্যকার সম্পর্ক নির্ধারণ করতে।ভাই ভাই হিসেবে একসাথে বাস করতে। কিন্তু বেইমান ইয়াহিয়া ও তার সামরিক চক্র রুদ্ধ করে দেয় গণতন্ত্রের পথ। গণতন্ত্রের সব পথ বন্ধ হয়ে যাবার পরই শুরু হয়েছে আজকের এই যুদ্ধ। এ যুদ্ধের জন্য বাঙ্গালিরা দায়ী হয়। এ যুদ্ধ ইয়াহিয়া ও তার জঙ্গী চক্রের চক্রান্তেরই ফলশ্রুতি।
বাংলাদেশের মানুষ সব সময়ই শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্যার সমাধান চেয়েছে। তাই যখনই দেশে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সমস্যা সমাধানের সামান্যতম সুযোগ এসেছে তাকে তারা গ্রহণ করেছে সযত্নে। ১৯৫৪ সালে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবরূপ দানের জন্যে ঐক্যবদ্ধ হয়। যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। যুক্তফ্রন্ট বাংলাদেশে বিপুল ভোটাধিক্যে জয়লাভ করে। পরাজিত হয় পশ্চিম পাকিস্তানের দালাল নূরুল আমিন ও তার মুসলিম লীগ। কিন্তু যুক্তফ্রন্ট সরকারকে ৯২ক ধারা প্রয়োগ করে ১৪ দিনের বেশী মন্ত্রিত্ব করতে দেয়া হয় না। এরপরে চলে নানা চক্রান্ত। শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে সাজান হল ডাকাতির মামলাসহ অনেকগুলো মামলা। কথা ছিল ১৯৫৯ সালে সারা পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে। আওয়ামী লীগ নির্বাচন অনুষ্ঠানের শর্তে সেদিন কেন্দ্রে মন্ত্রী সভায় যোগ না দিয়েও ফিরোজ খান নুন মন্ত্রী সভাকে সমর্থন করছিল। কারণ সেদিন বাঙ্গালীরা ভেবেছিল এই নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের আশা- আকাঙ্ক্ষা পূরণের কথা। পশ্চিমা স্বার্থ যখন বুঝতে পারল যে নির্বাচন হলেই হলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হবে তথা বাঙ্গালীদের হাতে কেন্দ্রের ক্ষমতা চলে যাবে তখন আইয়ুব খান করলেন ক্ষমতা দখল। পাকিস্তানে চালু হল সামরিক রাজ। সামরিক রাজ মানেই পাঞ্জাবী রাজ। বাংলাদেশের গনতন্ত্রকামী সব নেতাদের জেলে পাঠান হল। আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকে করা হল বছরের পর বছর কারাবরণ। তাদের অপরাধ ছিল, তারা পাকিস্তানে চাচ্ছিলেন সত্যিকার গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। আর চাচ্ছিলেন বাঙ্গালীদের ন্যায্য অধিকার। ১৯৬৬ সালে শেখ মুজিব ঘোষণা করেন তার বিখ্যাত ছয় দফা কর্যসূচী।আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আইয়ুব শাহীর বিরুদ্ধে দানা বাধতে থাকে গণ-আন্দোলন। ঢাকার রাস্তায় নিরস্ত্র মিছিলের উপরে চলে গুলি। অবশেষে শেখ সাহেবকে গ্রেপ্তার করা হয় ও কুখ্যাত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা সাজান হায়। এই মামলা চালাকালীন সারা দেশে সৃষ্টি হয় বিরাট গণ-আভ্যুত্থান। আইয়ুব শাহী বাধ্য হয় তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা তুলে নিতে।
আইয়ুবের জাইগায় আসেন ইয়াহিয়া খান তার নির্বাচন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বুলি নিয়ে। ইয়াহিয়া নির্বাচন দেন জনসাধারণের চাপে পড়ে। কিন্তু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল জয় দেখে শংকিত হয়ে উঠেন ইয়াহিয়া সামরিক চক্র, পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাতন্ত্র ও কায়েমি স্বার্থবাদীর দল। নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে শতকরা ৭৯টি পপুলার ভোট পেয়ে ৩১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে বাংলাদেশের জন্য নির্ধারিত ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১৬৭টি দখল করে। আওয়ামী লীগ নিজেকে প্রমাণ করে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলরূপে এবং বাংলাদেশের একমাত্র মুখপাত্ররূপে। গণতন্ত্রের সার্বজনীন নিয়মরীতি আনুসারে আওয়ামী লীগেরই ছিল মন্ত্রী সভা গঠন করার, গঠনতন্ত্র প্রণয়ন করার অধিকার। কিন্তু সে পথে না গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক চক্র, আমলাতন্ত্র ও কায়েমী স্বার্থবাদীর দল নতুন করে চক্রান্ত শুরু করে বাংলার বিরুদ্ধে। অনেক টালবাহানার পর ৩রা মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করা হয়। আওয়ামী লীগ এগিয়ে চলল তার শাসনতান্ত্রিক বিল নিয়ে।কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানী পুঁজিপতিদের দালাল ভুট্টো সামরিক বাহিনীর ইঙ্গিতে দাবী তুললেন জাতীয় পরিষদের বাইরেই শাসনতান্ত্রিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। এটাকে ছুতো হিসেবে ব্যবহার করে ইয়াহিয়া জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বন্ধ করে দিলেন অনিদির্ষ্টকালের জন্য। সারা বাংলাদেশ ফেটে পড়ল গণ-বিক্ষোভে । সামরিক চক্র চাইল ছুড়ে এই বিক্ষোভ দমন করতে। কিন্তু পারল না। শত শত শহীদের রক্তে রাঙা হল বাংলার রাজপথ। শেখ সাহেব ঘোষণা করলেন তার অসহযোগ আন্দোলনের কথা। সারা বাংলাদেশ সাড়া দিল তাতে। ইয়াহিয়া সরকার প্রমোদ গুণলেন। ইয়াহিয়া এলেন ঢাকায়। আলাপ-আলোচনা আরম্ভ করলেন শেখ সাহেবের সাথে। কিন্তু এই আলোচনা ছিল আসলে এক বিরাট ষড়যন্ত্রের অংশ মাত্র।
আলোচনার উদ্দেশ্য ছিল কেবল সময় নেওয়া। আলোচনার উছিলায় সেনাবাহিনীকে প্রস্তত করা। ইয়াহিয়া যখন ঢাকার আলোচনায় বসেন তখন বাংলাদেশে যা সৈন্য ছিল তাকেই যথেষ্ট ভাবতে পারেনি ইয়াহিয়া চক্র। আরো বিপুল রণসম্ভার আনা হতে থাকে এই সময়। আনা হল কমপক্ষে আরো বিশ হাজার সৈন্য। বাঙ্গালীরা যা সামান্য কিছুসংখ্যক সেনাবাহিনীতে ছিল তাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হতে থাকল অস্ত্রপাতি। ই, পি, আরকে নিরস্ত্র করার চেষ্টা চলল। এমনকি পুলিশ বাহিনীর কাছ থেকেও অস্ত্র-শস্ত্র সব নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হল।
যাতে লোকের সন্দেহ না হয় তাই ইয়াহিয়া বলতে থাকে বিভিন্ন মন ভোলান কথা। কিন্তু আলোচনা শেষ হবার আগেই ২৫শে মার্চ রাত্রিতে ইয়াহিয়ার সেনাবাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে ঢাকার নিরস্ত্র ঘুমন্ত বাঙ্গালীদের উপর। সাড়া দেশে আরম্ভ হয়ে যায় ফৌজি বিভীষিকা। পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে এমনি ভয়াবহ জঘন্য বেইমানির নজির আর নেই। হিটলারের নিষ্ঠুরতাও হার মেনেছে এদের কাছে।
আওয়ামী লীগ ছয় দফার ভিত্তিতে নির্বাচনে জয়ী হয়। ছয় দফার গোড়ার কথা ছিলঃ পাকিস্তানকে হতে হবে একটি গণতান্ত্রিক ফেডারেল প্রজাতন্ত্র। এই প্রজাতন্ত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকবে পররাষ্ট্র ( বৈদেশিক বাণিজ্য বাদে ) ও দেশ রক্ষার ভার। অন্যান্য সমস্ত ক্ষমতা থাকবে প্রাদেশিক সরকারের হাতে। ছয় দফার মধ্যে পাকিস্তানকে ধ্বংস করার কোন পরিকল্পনা ছিল না। ইয়াহিয়া শেখ মুজিবের সাথে আলোচনায় এর সব কিছুই বাহ্যতঃ স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু পরে দেখা গেল এ সবই ছিল ভাওতা। তার আসল লক্ষ্য ছিল সময় নেওয়া। আলোচনার নামে আক্রমণের প্রস্তুতি চালান।
ইয়াহিয়া ও পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের বিশ্বাসঘাতকতা, সেনাবাহিনীর নরঘাতী আক্রমণ বাঙ্গালিকে বাধ্য করেছে অস্ত্র ধারণ করতে। স্বাধীন সরকার গঠন করতে। বাঙালী এর কোন ষড়যন্ত্রে পতিত হইতে চায় না। ওদের সাথে একসাথে বসবাস করা যাবে না – এটা প্রতিটি বাঙালী আজ বুঝতে পেরেছে। অস্ত্রের ভাষার জবাব বাঙালী আজ দিতে প্রস্তুত অস্ত্রের ভাষায়। বাংলাদেশের লক্ষ কোটি ভাই বোন এগিয়ে আস, অস্ত্রধর, বাংলার মাটি থেকে শোষক, অত্যাচারী, নিপীড়ক ও স্বৈরাচারী খান সেনাদের খতম করতে। খুনের উত্তর খুন। রক্ত দিয়েই আমরা রক্তের বদলা নেব। বাংলাদেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছে এক নতুন পতাকা। বাংলাদেশের সবুজ প্রান্তরে পড়েছে লাল রক্তের দাগ। এ রক্তের কথা আমরা ভুলব না। বাঙ্গালীর রক্ত বৃথা যেতে দেব না। পূত পবিত্র এ রক্ত আমাদেরকে যুগ যুগ ধরে দেবে অনুপ্রেরণা।আবার বলি এ যুদ্ধ আমরা চাইনি। বাধ্য হয়েই আমরা স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ ঘোষণা করেছি। নিজেদের সরকার গঠন করেছি আর পশ্চিম পাকিস্তানী জল্লাদদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করেছি। কারণ তারা আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা রাখেনি।
জয় বাংলা।

[ জয় বাংলাঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাপ্তাহিক মুখপত্র। সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতিঃ আহমেদ রফিক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ মতিন আহমেদ চৌধুরী। মুজিবনগর, জয়বাংলা প্রেস থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে আহমদ রফিক কর্তৃক মুদ্রিত ও প্রকাশিত। ]