তমদুন মজলিস-এর প্রতিষ্ঠা
১৯৪৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের তরুণ শিক্ষক আবুল কাসেমের নেতৃত্বে তাঁর বাসা ১৯নং আজিমপুরে ‘তমুদ্দন মজলিস’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ইসলামি তাহাজিব ও তমুদ্দন প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী এই সংগঠন রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সংগঠনের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু-এ শিরােনামে একটি বই বংশালের বলিয়াদি প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত এবং ১৯নং আজিমপুর থেকে প্রকাশিত হয়। বইটিতে তিনটি প্রবন্ধ এবং সংগঠনের উদ্দেশ্য, আদর্শ ও কর্মসূচি সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধ তিনটি লেখেন অধ্যাপক আবুল কাসেম, অধ্যাপক কাজী মােতাহার হােসেন ও আবুল মনসুর আহমদ।
রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে গ্রহণের যৌক্তিকতা এবং জনমত সৃষ্টিতে তমদুন-মজলিস ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে। ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তমদুন মজলিসের সাহিত্য সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন শাস্ত্রের
১২
অধ্যাপক এ.এস.এম নুরুল হক ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে প্রথম রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। তমদুন মজলিসের উদ্যোগে এ কমিটি গঠিত হলেও এতে অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধিও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
১৯৪৭ সালের ১৮ নভেম্বর দৈনিক আজাদ পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় পূর্ববঙ্গের প্রখ্যাত কবি, লেখক, শিল্পী, সাংবাদিক, পেশাজীবী, শিক্ষাবিদদের স্বাক্ষর সম্বলিত একটি স্মারকলিপি মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিনের নিকট প্রদান করা হয়। এই স্মারকলিপিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানাে হয়।
Reference – কালের ধ্বনি – গোলাম কুদ্দুস