শিরোনাম | সুত্র | তারিখ |
১৯৫৬ খশড়া শাসনতন্ত্র বিল পেশ ও তৎসংক্রান্ত বক্তব্য | পাকিস্তান গণপরিষদ | ৯ জানুয়ারী, ১৯৫৬ |
১৯৫৬ সালের ৯ জানুয়ারী তৎকালীন আইনমন্ত্রীর চতুর্থ খসড়া শাসনতন্ত্র বিষয়ক বক্তব্য থেকে উদ্ধৃতি
সম্মানিত জনাব আই. আই. চন্দ্রিগড়ঃ জনাব ডেপুটি স্পিকার, স্যার…আপনাদের সামনে উপস্থাপিত শাসনতন্ত্র বিলটি মূলত কোয়ালিশন পার্টির (জোট দলের) অভ্যন্তরে দীর্ঘমেয়াদী আলোচনার ফলাফল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী মুসলিম লীগের নেতাকে আমন্ত্রন জানিয়ে ছিলেন।
বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের নেতাকে, এই আলোচনায় যোগদান করার জন্য। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই দলটি সম্মানিত প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব গ্রহণ করেনি। সরকারের দৈনন্দিন পরিচালনায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো বিরোধী দলীয় ভূমিকায় অবতীর্ণ ছিল। সংবিধান রচনা এমন একটি বিষয় যা দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে এবং গণপরিষদের প্রত্যেক সদস্যের সংবিধান রচনাকে দলীয় ভিত্তিতে না, বরং জাতীয় ভিত্তিতে যাচাই করে দেখার চেষ্টা করা উচিত।
আমি নিশ্চিত যে এই পরিষদের সকল সদস্য এই উপলক্ষ্যে এগিয়ে আসবে এবং প্রকৃত জাতীয় চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে সংবিধান রচনার কাজটিতে অংশগ্রহণ করবে। যদি কোনো দল বা ব্যক্তি প্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দলের উপর ফায়দা লোটার মনোভাব নিয়ে সংবিধান রচনায় অংশগ্রহণ করে, তাহলে, আমার আন্তরিক মতামত যে তারা দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করবে। ভবিষ্যত সংসদীয় নির্বাচনসমূহ অনুষ্ঠিত হবে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচির ভিত্তিতে, সংবিধান-রচনা ক্ষেত্রে কোন দল কী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছিল, তার সাপেক্ষে নয়। আমার বক্তব্যে আন্তরিকতার স্মারক হিসেবে আমি পরিষদের সম্মানিত সদস্যদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যে যদি কোনো গণপরিষদ সদস্য বিলটিকে আরো উন্নত করতে কোনো কার্যকর প্রস্তাব পেশ করেন, তাঁর প্রস্তাব গ্রহণ করতে আমার কোনো দ্বিধা থাকবে না…
স্যার, একটি দেশের শাসনতন্ত্র এককেন্দ্রিক হতে পারে অথবা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় হতে পারে। এই বিলে আমরা একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র পেশ করেছি। আপনি যদি গভীরভাবে দেখেন তাহলে জানতে পাবেন যে এটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ধরণের শাসনতন্ত্র এবং আপনার সমালোচনা অবান্তর।
বিরোধী দলীয় নেতা বলেছেন যে, আমি যদি আরো গভীরভাবে তাকাই, তাহলে দেখবো এটি আসলে এককেন্দ্রিক ধরণে শাসনতন্ত্র। আচ্ছা, বিরোধী দলীয় নেতার সাংবিধানিক আইন সম্বন্ধে এত ব্যাপক অজ্ঞতার প্রকাশ আমি কখনোই আশা করিনি। একটি দেশের ক্ষেত্রে যেখানে নির্দিষ্ট বিধানিক ক্ষমতা এবং নির্দিষ্ট প্রশাসনিক ক্ষমতাসম্পন্ন কিছু প্রদেশ রয়েছে এবং যেখানে একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার বা কেন্দ্রীয় সরকার আছে, আপনারা যে নামেই একে ডাকুন না কেন-, যার বিধানিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতির সরকার হিসেবে পরিগণিত হয়।
সম্মানিত সদস্যের জানা উচিত যে ‘ভারত সরকার আইন, ১৯১৯’ একটি স্বাধীন দেশের শাসনতন্ত্র ছিল না। ১৯৩৫ সালের শাসনতন্ত্র একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় আঙ্গিকেই পাশ করা হয়েছিল।
এটি একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় ধরণের সরকার ছিল এবং এতে ফেডারেশন এবং প্রদেশের বন্দোবস্ত রাখা হয়েছিল।
আপনাদের খেয়ালখুশিমত আমার অভিব্যক্তি নকল করে কোন লাভ নেই।
১৯৩৫ সালের আইনে ফেডারেশন-বিষয়ে একটি পরিচ্ছেদ ছিল এবং প্রাদেশিক সরকার সম্বন্ধেও একটি পরিচ্ছেদ ছিল। যেহেতু ১৯৩৫ সালের ‘ভারত সরকার আইন’-এ এমন একটি বন্দোবস্ত ছিল যে, শাসনতন্ত্রের ফেডারেল অংশটা সক্রিয় হবে কেবল যদি ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে দেশীয় প্রদেশগুলো ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট যখন আমরা স্বাধীন হয়েছিলাম; তার আগে উল্লিখিত হয়, সুতরাং যখন যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসনতন্ত্র কাযর্কর হয়নি।
কিন্তু যদি সেই অংশটা কার্যকর করা হত, যদি এটাকে সক্রিয় করা হত, সেটা এখন আমরা যেমন যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতি বিবেচনা করছি, প্রায় সেরকমই হত (সম্মানিত বিরোধী দলীয় নেতার বাধা প্রদান)। আমি জানি বিরোধী দলীয় নেতা কীভাবে চিন্তা করছেন। এই পর্যায়ে আমি এমন কোনো খসড়া থেকে কিছু উদ্ধৃত করতে চাই না, যার তিনিও একজন অংশীদার।
কিন্তু যথাযথ ক্ষেত্রে আমি সেখান থেকে কিছু অংশ উদ্ধৃত করবো যদি আপনি সানন্দে আমাকে সুযোগ দেন। এবং আমি প্রমাণ করে দেখাবে যে এই বিলের মাধ্যমে আমরা যে যুক্তরাষ্ট্রীয় পদ্ধতির শাসনতন্ত্র বিবেচনা করছি প্রকৃতিগতভাবে তা আরো বেশি যুক্তরাষ্ট্রীয় এবং এটি ইতঃপূর্বে রচিত খসড়ার চেয়ে অনেক ভালভাবে ফেডারেশন এবং প্রদেশগুলোর মধ্যে সরকারের ভূমিকা বন্টন করে।
আমি কেবল বলছিলাম যে শাসনতন্ত্র এককেন্দ্রিক হতে পারে অথবা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় হতে পারে। এই শাসনতন্ত্র যুক্তরাষ্ট্রীয় ধরণের এবং ‘এটা নিখিল ভারত মুসলিম লীগ’-এর অধিবেশনে পাশকৃত ও গৃহীত রেজোলিউশন, যেটিতে স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশ সম্পর্কে বন্দোবস্ত ছিল, তার সাথে সংগতিপূর্ণ এবং যা প্রদেশগুলোর স্বায়ত্তশাসন অনুমোদন করে এবং খসড়া শাসনতন্ত্রের পঞ্চম তফসিল থেকে প্রতীয়মান হয় যে এখানেও প্রদেশ গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়েছে।
আপনি/আপনারা যদি পঞ্চম তফসিল বোঝার চেষ্টা করেন, এটি কী কী উন্নয়ন সাধন করেছে তা আপনারা উপলব্ধি করতে পারবেন।
আপনারা আবিষ্কার করবেন যে এটি আমার দেখা যে কোনো শাসনতন্ত্রে উল্লিখত বণ্টন-অপেক্ষা উন্নত ধরণের ক্ষমতা বণ্টন……
১৯৫৬ সালের প্রস্তাবিত শাসনতন্ত্রের উপর দৈনিক সংবাদ ১৬ই জানুয়ারী, ১৯৫৬ মওলানা ভাসানীর বক্তব্য খসড়া শাসনতন্ত্র পাকিস্তানের নির্যাতিত জনসাধারণকে শৃংখলিত করার এক মহাষড়যন্ত্রঃ পল্টনের সভায় মওলানা ভাসানীর ঘোষণা…….. (ষ্টাফ রিপোর্টার) “প্রস্তাবিত খসড়া শাসনতন্ত্র পাকিস্তানের সাত কোটি নির্যাতিত জনসাধারণকে চির-শৃঙ্খলাবদ্ধ করার এক মহাষড়যন্ত্র। কিন্তু সংগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জাগ্রত পূর্ব বাংলার জনসাধারণ গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে শাসকগোষ্ঠীর এই হীন চক্রান্তকে বরদাশত করিবে না। আমরা জীবনের বিনিময়েও কায়েমী স্বার্থবাদীদের রচিত এই গণরিরোধী শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ প্রাচীর গড়িয়া তুলিতে বদ্ধপরিকর।” নির্যাতিত জননেতা মওলানা ভাসানী গতকল্য অপরাহ্নে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় সভাপতির ভাষণে উপরোক্ত ঘোষণা করেন। মওলানা ভাসানী অগণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রের প্রতিবাদে ১৬ই জানুয়ারী হইতে ২২শে জানুয়ারী পর্যন্ত সাতদিন প্রদেশের ছাত্র, যুবক, হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ সকল সম্প্রদায়ের জনসাধারণকে কালোব্যাজ ধারণ করিতে বলেন এবং আগমী ২৯শে জানুয়ারী প্রদেশব্যাপী অগণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র প্রতিরোধ দিবস’ পালনের আহবান জানান। প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা আতাউর রহমান খান এই খসড়া শাসনতন্ত্রকে কেন্দ্রীয় শাসকচক্রের মুখে রচিত পূর্ব বাংলায় মৃত্যুপরওয়ানা বলিয়া অভিহিত করেন। সভায় গ্রহীত এক প্রস্তাবে এরূপ দফর ভিত্তিতে জনগণের স্বার্থের অনুকূলে একটি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র দাবী করা হইয়াছে-ইহাতে স্পষ্টতঃ বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষারূপে স্বীকৃতি দান, যুক্ত নির্বাচন, আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন এবং সংখ্যাসাম্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ব্যাপারে সামঞ্জস্য বিধান করিতে হইবে। সভায় আওয়ামী লীগ, গণতন্ত্রী দল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র লীগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্মপরিষদ ও যুবলীগ প্রভৃতি বিভিন্ন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ খসড়া শাসনতন্ত্রের তীব্র সমালোচনা করিয়া বক্তৃতা করেন। বক্তাগণ সকলেই প্রস্তাবিত শাসনতন্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব বাংলার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জীবনের কথা উল্লেখ করিয়া আশঙ্কা প্রকাশ করিয়াছেন। মওলানা ভাসানী কর্তৃক শাসকচক্রের বিরুদ্ধে জীবনমরণ সংগ্রামের আহবানে উপস্থিত জনসাধারণ সমস্বরে হাত তুলিয়া সম্মতি জ্ঞাপন করেন। মওলানা সাহেব তাঁর ভাষণে শাসকচক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, গত আট বৎসরের কেন্দ্র পূর্ব বাংলাকে শোষণ করিয়া এবং ন্যায্য প্রাপ্য হইতে বঞ্চিত করিয়া অর্থনৈতিক দিক হইতে পঙ্গু করিয়া রাখিয়াছে। ইহার ফলে পূর্ব বাংলায় বেকারত্ব বাড়িয়াছে, শিক্ষিত যুবক রোজগার হইতে বঞ্চিত। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা লোপ পাইতে চলিয়াছে। কৃষক শ্রমিকের রোজগারের পথ রুদ্ধ হওয়ায় তাহারা বর্তমানে বাড়ীঘর বিক্রয় করিতে আরম্ভ করিয়াছে; এমনকি আজ তাহারা একসংগে দশ সের ধান ক্রয় করার ক্ষমতা রাখে না। সরকার একশ দফায় ওয়াদা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত বিনা খেসারতে জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের চেষ্টা করেন নাই। যে ব্যবস্থা করা হইয়াছে তাহাতে সরকার গরীব জনসাধারণের নিকট হইতে ৬০ কোটি টাকা শোষণ করিয়া জমিদারদের খেসারত দিবেন, বর্তমানে এই প্রদেশে আশি লক্ষ ভূমিহীন কৃষক পরিবার রহিয়াছে।
মওলানা সাহেব শাসনতন্ত্র সম্পর্কে অভিযোগ করেন যে, কেন্দ্রের হাতে সমস্ত অর্থকরী ক্ষমতা দেওয়া হইয়াছে। পূর্ব বাংলার সেলট্যাক্স, সুপারি, তামাক ও পাটের উপর ট্যাক্স, ইনকাম ট্যাক্স ও পাৰ্চেজ ডিউটি ব্যবসায় বাণিজ্য সমস্তই কেন্দ্রের হাতে দিয়া পূর্ব বাংলা প্রদেশকে অর্থনৈতিক দিক হইতে আচল করিয়া দেওয়া হইয়াছে। তিনি আরও বলেন, নৌ-সদর দফতরের ডেপুটি প্রধান সেনাপতির অফিস এই প্রদেশে স্থাপনের দাবী আমরা করিয়াছিলাম- আনসার বাহিনীকে নিয়মিত সৈন্য বাহিনীতে সংযুক্ত করা হয় নাই। সবদিক বিবেচনা করিয়া দেখা যাইবে পূর্ব বাংলাকে সর্বদিক দিয়া স্বায়ত্তশাসন হইতে বঞ্চিত করা হইয়াছে। মাওলানা সাহেব দাবী করেন যে, যতদিন পর্যন্ত পূর্ব বাংলার বঞ্চিত অর্থ দেওয়া না হইবে ততদিন পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য কেন্দ্র হইতে কোন অর্থ মঞ্জুর করা চলিবে না। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের গত আট বৎসরে কেন্দ্র হইতে ব্যয়ের একটি সমতাহীন তুলনা বর্ণনাকালে শ্রোতৃবর্গ শেম শেম ধ্বনি তুলিতে থাকেন। তিনি শাসনতন্ত্রে বাংলা ভাষার স্বীকৃতি না থাকায় সমালোচনা করিয়া বলেন যে, আমি ইউরোপেও বাংলা ভাষার মর্যাদা ও গৌরব দেখিয়াছি। পূর্ব বাংলার জনসাধারণ প্রাণের রক্ত দিয়া যে ভাষাকে ভালবাসিয়াছে, শ্রদ্ধা করিয়াছে তাহাকে কোনক্রমেই ত্যাগ করিতে পারে না। মওলানা সাহেব সর্বজনগ্রহণযোগ্য একুশ দফার ভিত্তিতে একটি গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র রচনার উদ্দেশ্যে ঢাকায় একটি “সর্বদলীয় কনভেনশন’ আহবানের জন্য প্রস্তাব করেন। তিনি উদাত্ত কষ্ঠে আহবান জানাইয়া বলেন, আসুন আমরা গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্রের জন্য একটি যুক্ত বৈঠকে বসি- যুক্তফ্রন্ট, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবর্গ আপনারা আসুন একত্রে মিলিয় আমরা একটি মীমাংসামূলক শাসনতন্ত্র রচনা করি। তিনি নেতৃবর্গকে সতর্ক করিয়া বলেন যে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আগুন লইয়া খেলা করিবেন না। জনমত আগ্রাহ্য করার ফলে ফ্রান্স, চীন, রাশিয়া প্রভৃতি দেশের নেতাদের যাহা ভাগ্যে ঘটিয়াছে তাহা ইতিহাস- পাঠে প্রত্যক্ষ করা উচিত। আমি আশঙ্কা করিতেছি, পূর্ব বাংলার উপর যদি নির্যাতন ও শোষণ অব্যাহত থাকে তবে হয়ত দূর ভবিষ্যতে এই প্রদেশের জনসাধারণের ভবিষ্যৎ বংশধর নিজেদের স্বাতন্ত্র্য সম্বন্ধে চিন্তা করিবে।