You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.18 | কলিকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন প্রধান ও কর্মীদের পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনে অস্বীকৃতি | এশিয়ান রেকর্ডার - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
কলিকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন প্রধান ও কর্মীদের পাকিস্তান প্রত্যাবর্তনে অস্বীকৃতি এশিয়ান রেকর্ডার আগস্ট

১৩-১০-১৯৭১

১৮ জুলাই,১৯৭১

 

জনাব হোসেন আলী, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশন প্রধান, ১৮ জুলাই ঘোষণা দিয়েছেন যে তাঁর মোটমাট ৬৩ জন কর্মীবৃন্দ একটি অফিশিয়াল জিজ্ঞাসাবাদকারী কমিটিকে ইঙ্গিত করেছে যে তারা পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করবে না। জিজ্ঞাসাবাদকারী কমিটিতে ছিলেন নয়াদিল্লিতে অবস্থিত সুইস এম্বাসির কাউন্সিলর ড. বোনার্ড, কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব মেহেদী মাসুদ এবং কলকাতাস্থ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জনাব এ. কে. রায়। পূর্ব সম্মতিক্রমে, সুইস কূটনীতিক সাবেক পাকিস্তান ডেপুটি হাই কমিশনের কর্মীবৃন্দকে পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে, যারা কিনা বাংলাদেশ প্রজান্ত্রিক জোটে আবদ্ধ হয়েছে। তাদের একই প্রশ্ন করা হয়েছিল যে তারা কি পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন করবে কিনা এবং যদি তারা হ্যাঁ-সূচক উত্তর দিয়ে থাকে তবে তাদের ইচ্ছা মোতাবেক ভারত সরকার কর্তৃক যে কোনো নিরাপদ জায়গা দেবার ব্যবস্থা ছিল।
জনাব হোসেন আলী জানিয়েছেন যে কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে কেউ কেউ বাংলায় এবং কেউ কেউ ইংরেজিতে লিখিতভাবে না-সূচক উত্তর দিয়েছে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম প্রজাতন্ত্রের মিশন প্রধান হিসেবে এহেন জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হওয়া মর্যাদাগত দিক থেকে সাজে না, তাই জনাব হোসেন আলী জিজ্ঞাসাবাদ কমিটির সম্মুখীন হননি। প্রস্তাব করা হয়েছিল যে জনাব হোসেন আলী নিজে জিজ্ঞাসাবাদ কমিটিকে এমন কোনো স্থানে আমন্ত্রণ জানাবেন যেন তিনি প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারেন। কিন্তু এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হননি এবং এর কারণস্বরূপ বলেছেন, তিনি পাকিস্তানী প্রতিনিধি জনাব মেহেদী মাসুদকে আমন্ত্রণ জানাবেন না। সবশেষে তিনি সম্মতি দেন যে তার কর্তৃত্বাধীনে একটা গোছালো-ফাঁকা বাসায় তিনি কমিটিকে আমন্ত্রণ জানাবেন। এমন ব্যবস্থাপনায় জনাব হোসেন আলী একই প্রশ্নের জবাবে না-সূচক উত্তর দিয়েছিলেন।
Mr. Hossain Ali told newsmen that the Bangladesh Mission staff would have had
nothing to do with the Pakistani representative and would not have gone to see the Swiss representative but for their consideration for the personnel or the Indian Deputy High Commission in Dacca.
জনাব হোসেন আলী বলেছিলেনঃ “তারা তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে এবং তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করছে। আমরা দ্রুত তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা করতে চেয়েছিলাম। আমি আশা রাখতে পারি তারা শীঘ্রই ফিরে যাবে।
“একটি নিরপেক্ষ দেশের আস্থাবান প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে আমরা সন্দেহের ঊর্ধে, স্বেচ্ছায়, স্বানন্দে এবং মন থেকে আমাদের জোট বাংলাদেশ সরকারে স্থানান্তর করেছি।
“এটা একদম পরিষ্কার যে আমরা চাপে পড়ে কোনো কিছু করিনি। আমাদের উপর যা ছিল তা কেবল মাত্রই পাকিস্তান সরকারের গা-জোয়ারি। আমরা সর্বদা বিশ্বাসী ছিলাম এবং পাকিস্তানের সেবক হিসেবে নিজেদের উৎসর্গ করেছিলাম কিন্তু এই ব্যাপারটি আমাদের এমনভাবে কাজ করিয়েছে যেন আমাদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।