শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
পশ্চিম জোন কাউন্সিল সভার কার্যবিবরণী | বাংলাদেশ সরকার পশ্চিম জোন | ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর এবং ১৮ অক্টোবর, ১৯৭১ |
৫/৯/৭১ এর ১১টায় কোর্ট-কাচাড়ি, বালুরঘাটের পশ্চিমাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত সদস্যবৃন্দ:-
১.জনাব শাহ মোতালেব আহমেদ MNA
২. ডা:ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডলMNA
৩. প্রিন্সিপাল এ. বি. এম. মোকছেদ আলীMNA
৪. জনাব আজিজার রহমান MNA
৫. জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী MNA
৬. জনাব আব্দুর রহীম MPA
৭. জনাব সরদার মোশাররফ হোসাইনMPA
৮. জনাব খতিবুর রহমান MPA
৯. জনাব কাজী আব্দুল মজিদ চৌধুরী MPA
১০.জনাব মো: গোলাম রহমান MPA
১১. জনাব শাহ মো: ইউসুফ MPA
১২.জনাব মো:একরামুল হকMPA
১৩. জনাব মো: ফজলুল করিম MPA
১৪. জনাব সিরাজুল ইসলাম MPA
১৫. জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ মোক্তার MPA
১৬. জনাব জাহিদুর রহমান MPA
১৭. জনাব কসিমুদ্দিন আহমেদ MPA
১৮. জনাব সাইদুর রহমান MPA
১৯. জনাব আবুল হাসনাত চৌধুরী MPA
২০. জনাব মোজাফফর হোসাইন MPA
২১. জনাব হাসান আলী সরকার MPA
২২. জনাব জামিলুর রহমান প্রধান MPA
২৩. জনাব মো:আজিজুর রহমান সরকার MPA
২৪. জনাব প্রোফেসর আবু সাঈদ MNA
২৫. জনাব বাইতুল্লাহMNA
২৬. জনাব ইয়াজউদ্দিন প্রামাণিক MPA
২৭. কাজিমদার খাইবুদ্দিন আহমেদ MPA
২৮. জনাব গিয়াসউদ্দিন, সরদার MPA
২৯. জনাব ইমদাদুল হকMPA
৩০.জনাব আজিজুল ইসলাম খান MPA
৩১.জনাব আব্দুল হাদি
৩২.জনাব আশরাফুল ইসলাম
৩৩.জনাব মোহাম্মদ মেজবাউল হক
৩৪.জনাব হামিদুর রহমান
৩৫.জনাব রিয়াজউদ্দিন আহমেদ
৩৬.জনাব সরদার আমজাদ হোসাইন
৩৭.জনাব মুজিবুর রহমান
৩৮.জনাব আবুল কাশিম খান
জনাব রিয়াজউদ্দিন আহমেদ,MPA, রাজশাহী প্রবিত্র কোরান থেকে তেলওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু করেন।
জনাব আশরাফুল ইসলাম MPA রাজশাহী, জনাব আজিজার রহমান MNA, দিনাজপুর কে সভাপতিত্ব করার জন্য আমন্ত্রন জানান। জনাব আজিজার রহমান সরকার এমএনএ, রংপুর এই আহ্বানে সমর্থন জানান।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য আত্মোৎসর্গকারি সকল শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য জনাব আশরাফুল ইসলাম MPA আহ্বান জানালে সকল সদস্য দাঁড়িয়ে একমিনিট নিরবতা পালন করেন। জনাব সরদার আমজাদ হোসাইন MPA সকল বাংলাদেশীদের প্রানের বন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবৈধভাবে বিচারের সম্মুখীন করার জন্য পাক সামরিক জন্তার প্রতি নিন্দা প্রকাশ করেন। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নিরাপত্তা চান।
সম্মেলনের শুরুতেই স্মারকলিপি নং-GA/8IO(345) তাং ২৭/০৭/৭১ অনুসারে প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের পুরো ব্যবস্থাপনা পাঠ করেন এবং বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাঙ্খিত সময়ের আগেই বাংলাদেশ স্বাধীন হবে।
সম্মেলনের এ পর্যায়ে জনাব শাহ মোতালেব আহমেদ উল্লেখ করেন পশ্চিম এলাকা অনেক বড় হবার দরুন যোগাযোগ ব্যবস্থায় সমস্যা হচ্ছে এবং এখানকার প্রায় বিশ লক্ষ উদ্বাস্তুদের উন্নত ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য কয়েকটি বিশেষ অঞ্চলে ভাগ করা দরকার এতে করে সকল কর্মচারী এবং ভয়ানক কষ্টে থাকা উদ্বাস্তুদের অবস্থার উন্নতি হবে। পূর্বাঞ্চলের আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের পূর্বেই পশ্চিম এলাকাকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্তির সমাধান বাস্তবায়নের জন্যে তিনি প্রস্তাব করেন।
জনাব সরদার আমজাদ হোসাইন এবং ডা: মেসবাউল হক তার এ প্রস্তাবে সমর্থন জনান। মেসবাউল হক বলেন রাজশাহী এলাকার সদস্যরা যারা কিনা বেরুবাড়ি থেকে জলপাইগুড়ি থেকে ইসলামপুর থেকে লালগোলা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে তারা একটি এলাকার অধিনে থেকে বালুরঘাট হেডকোয়াটারের সাথে কাজ করতে পারছে না। জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন বলেন যদি আঞ্চলিক প্রশাসনিক শাসনতন্ত্র প্রনয়ন আরো দেরি হয় তাহলে মানুষের ভোগান্তি ও কষ্ট বর্তমান সময়ের চেয়ে আরো বেশি হবে। এজন্য, তিনি মত দেন আগে আঞ্চলিক শাসনতন্ত্র প্রনয়ন হোক তারপর যদি প্রয়োজন হয় হয় তখন আঞ্চলিক বিভক্তিকরন করা যাবে।
জনাব বাইতুল্লাহMNA বলেন রাজশাহী অঞ্চলের MNA এবংMPA সাবাই পশ্চিম অঞ্চল বিভক্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জনাব জাহিদুর রহমান MNA, মত দেন যে পশ্চিম অঞ্চলের তিন ভাগে বিভক্তি গ্রহনযোগ্য তাতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই কিন্তু এ সকল পদক্ষেপ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা সে ব্যাপারে তিনি অনিশ্চিত। যেহেতু এ সকল অঞ্চলগুলো সরকারের যত্নশীল বিবেচনার মাধ্যমে স্থাপিত হয়েছে এবং এমনকি চারটি জেলা নিয়ে একটি অঞ্চল গঠিত হলেও এখানে মাত্র তিনটি জেলা নিয়ে এ অঞ্চলটি গঠিত। তিনি আরো বলেন আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের শাসনতন্ত্র খুব দ্রুত প্রনয়ন করে এ অনুসারে স্বাধীনতার জন্য কাজ শুরু করতে হবে। জনাব সরদার আমজাদ হোসাইন একমত হলেও তিনি উল্লেখ করেন একটি ভুল দিয়ে যে নীতিমালার শুরু তা কখনো সন্তোষজনক এবং ভালো ফল দিবে না।
জনাব রিয়াজউদ্দিন আহমেদ MPA বক্তব্য দেন তিনি পাক সেনাদের নির্যাতনের কারনে সৃষ্ট কিছু সমস্যা এবং ডাকাতির কারণে সৃষ্ট কিছু সমস্যা ও মুক্তিফৌজের কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য মন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলেন কিন্তু মন্ত্রী তো দুরে থাক প্রশাসন ও উপ-প্রশাসনের কেউ তার সাথে আলোচনা করেন নি এবং তার সমস্যাগুলো সমাধাবিহীন রয়ে গিয়েছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যদিনা পশ্চিম এলাকাকে বিভক্ত না করা হয় তাহলে এমন অবস্থা বজায় থাকবে এজন্য ZAC এর সংবিধান প্রনয়নের পূর্বেই বিভক্তিকরন আবশ্যিক। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে অতিরিক্ত উদ্বেগ ও অস্থিরতার জন্য উত্তরবঙ্গের নেতা ও মন্ত্রীরা আমাদের সমস্যার প্রতি দৃষ্টিপাত করতে পরছে না এবং এছাড়া মাত্র একজন চেয়ারম্যান ও একটিমাত্র পরিষদের পক্ষে সর্বদা সবজায়গায় যথাযথ কাজ করা সম্ভবপর হচ্ছে না।
জনাব সিরাজুল ইসলাম MPA তার বক্তব্যে বলেন প্রশাসনের যুক্তিসঙ্গত এবং সফল কাজ ও ৪০০ মাইলের বিশাল মুক্ত এলাকাকে একটিমাত্র বিশেষ অঞ্চলের আওতায় এনে সমন্বয় সাধন ব্যতিরেকে শাসনতন্ত্র, চেয়ারম্যান ইত্যাদি নির্ধারনের কোন বাস্তব প্রয়োজন নেই। ক্যাবিনেট প্রথমে অবশ্যই সকল এলাকাকে তিন অথবা চারটি অঞ্চলে ভাগ করবে তারপরে নির্বাচন হলে সাধারণ মানুষ ও উদ্বাস্তুরা মুক্তি পাবে তাদের কষ্ট থেকে। তা নাহলে তড়িঘড়ি নির্বাচন ও স্থূল সমস্যাগুলো বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিপদ ও দুর্দশা বয়ে নিয়ে আসবে। উপরন্তু, চেয়ারম্যান ও শাসনতন্ত্র নির্ধারণের পরে ক্যাবিনেট ওপারের ও উত্তরবঙ্গের ২০ লক্ষ উদ্বাস্তুর আঞ্চলিক প্রশাসনিক বিভাজন করতেই পারবে না এবং তারা এখন যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সেভাবেই বঞ্চিত হতে থাকবে এবং চারটি অঞ্চলের প্রশাসনিক পরিষদের ধারণাটি গ্রহনযোগ্য কিন্তু ৬০ লক্ষ উদ্বাস্তু নিয়ে তিনটি আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ হলে সমস্যাগুলো সমাধানহীন রয়ে যাবে এবং আমরা আশা করি আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদকে ক্যাবিনেট বিভক্ত করবে এবং এসব এলাকার সদস্যদের মাধ্যমে ২-৩ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা যাবে।
জনাব কামারূদ্দিন মুক্তারMPA এবং গিয়াসউদ্দিন সরসার, এমপিএ বিভক্তি করনের পক্ষে সমর্থন দেন সম্মেলনের মুলতবি ঘোষণা চান।
প্রফেসর আবু সাইদ MPA প্রথমে অঞ্চলগুলো বিভক্তির পক্ষে মত দেন এবং বলেন এটি আরো ভালো ও কার্যকর প্রশাসনের জন্যে বাস্তবসম্মত আচরণ হবে। জনাব হাসান আলী সরকার পাক আর্মিদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন সকল MPA ও MNA যেন স্বাধীনতার জন্য পদক্ষেপ নেয়। তিনি আরো বলেন আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের শাসনতন্ত্র প্রনয়ন হয়ে গেলে পরে বিভক্তি করা যাবে।
জনাব ওয়াকিলউদ্দিন মন্ডল বলেন তিনি আমরা যে বিভক্তকরন চাচ্ছি সেটা সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা সে ব্যাপারে তার অনিশ্চয়তা রয়েছে।
জনাব ওয়াকিল মন্ডল,এম.এন.এ- তার অভিমত ব্যক্ত করেন যে, জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল সবাই চেয়েছে কিন্তু তিনি সন্দিহান ছিলেন যে এই পদক্ষেপ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেকিনা।জনাম আবুল হাসনাত চৌধুরী, এম.এন.এ বলেন যে, আদেশ সম্পন্ন করা উচিত,আই.ই. জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে এবং জোনের বিভাজনে পদক্ষেপ এগিয়ে নেয়া হবে।
জনাব আব্দুর রহিম,এম.পি.এ, দিনাজপুর -উল্লেখ করেন যে, ১০-১৫ জনের একটি প্রতিনিধিদল কিছুদিন আগে জোন বিভাজনের পদক্ষেপ নিয়ে মুজিবনগর এসেছিলেন কিন্তু কিছুই করতে পারেনি।তিনি আরও বলেন,জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন হওয়া উচিত মানুষের অবস্থা খুবই গুরুতর ছিল।তিনি আরও প্রশ্ন রাখেন যে,জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠনের জন্য সভা জমায়েত হয়েছিল এবং এটি চূড়ান্ত শক্তি হিসেবে ছিল অন্যথায় জোনাল বিভাজনের প্রশ্ন তুলতে ঐ একই গঠন ছাড়া সভার অনুমোদিত কর্তৃপক্ষ ছিলনা,বৈধতার প্রশ্ন থেকে অথবা অন্যথায় জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন না করতে জনাব আ.রহিম,এম.পি.এ-র কর্মসূচি অনুযায়ী সভাপতির মাধ্যমে ভোট দিতে।জনাব আ.রহিমের পক্ষে ১০ ভোট পড়ে,বিপক্ষে ২০ টি এবং ৮ সভাপতি সহকারে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল বিরতির।
জনাব খাতিবুর রহমান, এম.পি.এ বলেন যে, জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল তখনি সেখানে গঠন হওয়া দরকার ছিল এবং জোনের বিভাজন অগ্রসর হয়ে মোকাবিলা করা দরকার ছিল।জনাব মোজাফফর হোসেন,এম.পি.এ, বগুড়া, তার জেলার জন্য আলাদা জোন চেয়েছিলেন।
দীর্ঘ আলাপচারীতার পর সভাপতি সদস্যদেএ অভিমত জানতে চেয়েছিলেন এগিয়ে নিতে অথবা জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল প্রশাসক দের মুলতবি চেয়ে এবং ওই সময় জোনের বিভাজন নিয়ে।
সদস্যরা হাত উচিয়ে তাদের মতামত দেন।সেখানে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন মুলতবি এবং জোন বিভক্ত করার পক্ষে ১৯ ভোট পড়ে, ১৫ টি এর বিপক্ষে এবং ১৩ টি ভোটবিরতি যা সভার সভাপতি সহকারে এবং সভার আঞ্চলিক প্রশাসনিক অফিসার । মোট ৩৫ ভোট অনুকূলে এবং মুলতবির বিপক্ষে, জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল বিভাজন বাংলাদেশের জনগণ এবং শরণার্থী দের আগ্রহে চেয়েছেন।
সভাপতি জানতে চেয়েছেন কে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল এর অনুকূলে আছেন এবং কে বিপক্ষে। ৩২ সদস্যের মতো বড় হিসাব জোন বিভাজনের অনুকূলে পাওয়া যায়।উভয়ের প্রত্যেকে পূর্ব জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল গঠন অথবা এগিয়ে নিতে জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন এম.পি.এ বিভাজনের বিরুদ্ধে ছিলেন।
জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল এটি পরবর্তীতে সমাধান হয় চেয়ারম্যান এবং উপ-কমিটির বাছাইয়ের মাধ্যমে সাথে তাদের চেয়ারম্যান মুলতবি হবেন এবং কেবিনেট অনুগ্রহ করে সবচেয়ে বড় বিভক্তি এবং নিয়ন্ত্রণের অসাধ্য পশ্চিম জোন চারশত মাইল বেড়েছে বড়বাড়ি থেকে কৃষ্ণনগর ৬ টি জোনের সীমান্ত হিসেবে,প্রতি ১ টি দিনাজপুর, রাজশাহী এবং বগুড়া জেলার জন্য বড় আয়তন বিশিষ্ট এবং নিয়ন্ত্রণযোগ্য জনগণের আগ্রহের জন্য এবং স্বাধীনতার প্রচেষ্টাকে চাঙ্গা করতে এবং স্বাধীন এলাকাসমূহে কার্যকর সমন্বয় সাধনের জন্য।
সভাটি সভাপতির প্রতি একটি ধন্যবাদ ভোটের মাধ্যমে শেষ হয়।
(স্বাক্ষর)
মো. আজিজুর রহমাব,এস.পি.এ
ও
সভার সভাপতি
অনুলিপি প্রেরণ করা হয় সচিব,কেবিনেট ডিভিশন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার,মুজিবনগর এর কাছে দরকারি তথ্য এবং প্রয়োজনীয় কর্মসূচির জন্য।
(স্বাক্ষর)
জোনাল প্রশাসন অফিসার
পশ্চিম বঙ্গ
জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল সভার কার্যবিবরণী, পশ্চিম জোন-১ অনুষ্ঠিত হয় ২৬.৯.৭১ সকাল ১১ টায়,বাগেরহাট কোর্টকাছারি তে।
উপস্থিত সদস্যতালিকা :
১. জনাব আজিজুর রহমান,এম.এন.এ
২. জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এম.এন.এ
৩.জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম.এন.এ
৪.জনাব ড.ওয়াকিলউদ্দিন মণ্ডল,এম.এন.এ
৫. জনাব এ.বি.এম মুকছেদ আলী,এম.এন.এ
৬. জনাব মো.আব্দুর রহিম,এম.পি.এ
৭. জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম.পি.এ
৮.জনাব মো. খাতিবুর রহমান,এম.পি.এ
৯.জনাব কাজি আব্দুল মজিদ চৌধুরী,এম.পি.এ
১০.জনাব মো.গোলাম রহমান, এম.পি.এ
১১.জনাব শাহ মো.ইউসুফ, এম.পি.এ
১২.জনাব একরামুল হক, এম.পি.এ
১৩.জনাব সিরাজুল ইসলাম, এম.পি.এ
১৪.জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ, এম.পি.এ
১৫.জনাব মো. আজিজুর রহমান সরকার, এম.পি.এ
১৬.জনাব জামিলুর রহমান প্রধান, এম.পি.এ
১৭.জনাব প্রফেসর আবু সায়্যেদ, এম.এন.এ
১৮.জনাব মুজিবুর রহমান, এম.এন.এ
১৯. জনাব কাশিমুদ্দিন আহমেদ, এম.পি.এ
২০.জনাব ড.সাইদুর রহমান এম.পি.এ
২১.জনাব আবুল হাসনাত চৌধুরী, এম.পি.এ
২২.জনাব মোজাফফার হোসেন, এম.পি.এ
২৩.জনাব হাসান আলী সরকার, এম.পি.এ
২৪.জনাব তাহেরুল ইসলাম খান, এম.পি.এ
২৫.জনাব আবুল কাশেম খান,জোনাল প্রশাসনিক অফিসার,পশ্চিম জোন-১
শুরুর দিকে জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম.পি.এ- সভার সভাপতিত্ব করতে জনাব মুজিবুর রহমান,এম.এন.এ-এর নাম প্রস্তান করেন।প্রস্তাবটি দ্বিতীয় বার করেন জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম.এন.এ।এর প্রতিক্রিয়ায় সেখানে আর কোনো প্রস্তাব ছিলনা।
জনাব মুজিবুর রহমান,এম.এন.এ সভায় চেয়ারম্যান হিসেবে আসন গ্রহণের পূর্বে বলেন যে, সকল সদস্য ভাই-ভাই এবং যদি একজন ব্যথিত হয় তবে প্রত্যেকেই একই পন্থায় আক্রান্ত হবে। তিনি আবারো আশা ব্যক্ত করেন যে, সেখানে কোনো সংকীর্ণতা বা স্বার্থপরতা থাকা উচিত নয় এবং সব সম্ভাব্য চেষ্টা সকলের সহযোগীতায় তৈরি হবে সব চিন্তার মানুষের নিজের মতো উভয় রাজনৈতিক আভিমতে আমাদের কাঙখিত লক্ষ্য বাংলার স্বাধীনতা অর্জন।
→ তারপর পবিত্র কুরান তেলাওয়াত এর মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়।সভাপতির দৃষ্টান্তে বাংলাদেশের জন্য জীবনদানকারী শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন স্বরূপ ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন পর্যবেক্ষণ করা হয়।
সভার দাবিসমূহ :
(১) শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারকার্যে লজ্জাজনক বিলম্ব এবং অবিলম্বে তাঁর নিঃশ্বর্ত মুক্তি।
(২) বিশ্বের সব রাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সমর্থনে দাবি উত্থাপন।
(৩) বাংলাদেশ কে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করতে জাতিসংঘে বাংলাদেশের কারণ দর্শানো।
সভায় অন্তর্নিহিত প্রশংসা করা হয় এবং দেশের সেবায় চালিত ‘মুক্তিফৌজ’ এর প্রতি উচ্চসম্মান প্রদর্শন করা হয়।
সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং ভারতে এর শরনার্থীদের অকৃত্রিম সহযোগীতা এবং সহানুভূতির জন্য ভারতের ৫৫ কোটি জনগণ এবং ভারত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ এবং এর মানুষের প্রতি সহযোগীতায় এগিয়ে আসার জন্য সভায় অন্যান্য দেশসমূহের প্রতিও একইভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।
পূর্বেকার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে দুই জোনে বিভক্ত করার জন্য সভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।
এরপর সভাপতি তীব্র ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে,রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভিন্নতা,যদি থাকে সবকিছুই বন্ধুত্বপূর্ণ মীমাংসায় সম্পন্ন হওয়া উচিত।এ পর্যায়, জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল সভাপতি নির্বাচন সংক্রান্ত সদস্যদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নিতে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আধা ঘণ্টার জন্য সভা বিরতি দেন।
সভা পূনঃআরম্ভের পর জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম.পি.এ-জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান হতে জনাব আব্দুর রহিমের নাম প্রস্তাব করেন। এটিই দ্বিতীয় বার প্রস্তাব করেন জনাব আজিজুর রহমান,এম.এন.এ,জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম.এন.এ,জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম.পি.এ এবং জনাব আজিজুর রহমান সরকার,এম.পি.এ।
জনাব মোজাফফর হোসেন,এম.পি.এ জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান হিসেবে ডা. ওয়াকিলউদ্দিন মণ্ডল,এম.এন.এ-এর নাম প্রস্তাব করেন যা দ্বিতীয় বার প্রস্তাব করেন জনাব তাহিরুল ইসলাম খান,এম.পি.এ,বগুড়া। আর কোনো প্রস্তাব ছিলনা। ডা. ওয়াকিলউদ্দিন আহমেদ প্রস্তাবকারীর প্রতি অনুরোধ করেন তার নাম প্রত্যাহার করে নিতে যা প্রস্তাবকারী কর্তৃক পতিত হয়। ডা. ওয়াকিলউদ্দিন আহমেদ পরে প্রার্থীতা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করেন।সেখানে আর মাত্র একজন প্রার্থি ছিলেন;জনাব আব্দুর রহিম,এম.পি.এ জোনাল প্রশাসন কাউন্সিল চেয়ারম্যান হিসেবে।
যাইহোক পরে এটি সর্বসম্মতিক্রমে সমাধান হয় যে, জনাব আব্দুর রহিম,এম.পি.এ-যথাযথভাবে জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিল পশ্চিম জোন-১ এর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত ঘোষিত হন।
অর্থ উপ-কমিটি:
জনাব শাহ মুহাম্মদ ইউসুফ এম পি এ অর্থ উপ-কমিটির সদস্য হতে জনাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ -এর নাম প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবটি জনাব মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন এম পি এ উপ-কমিটির সদস্য হতে জনাব কাশিমুদ্দিন আহমেদ এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা জনাব গোলাম রহমান কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সিরাজুল ইসলাম এম পি এ জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ-এর নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি জনাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব জামিলুর রহমান প্রধান এম এন এ এর নাম জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ কর্তৃক প্রস্তাবিত হয় এবং কাজী আব্দুল মজিদ চৌধুরী এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়
জনাব আবুল হাসনাত চৌধুরী এম পি এ-র নাম জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ কর্তৃক প্রস্তাবিত হয় এবং জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ এম পি এ, জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব কাশিমুদ্দিন আহমেদ এম পি এ এবং জনাব আবুল হাসনাত চৌধুরী এম পি এ তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী জনাব মোজাফফর হোসেন এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা জনাব শাহ মোহাম্মদ ইউসুফ এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব মোজাফফর হোসেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ এম এন এ সদস্য হিসেবে জনাব এম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এম এন এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা জমাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব খাতিবুর রহমান এম পি এ সদস্য হিসেবে জনাব মুজিবুর রহমান এম এন এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং তৎক্ষণাৎ জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
মুজিবুর রহমান এম এন এ কৃতজ্ঞতার সাথে অস্বীকৃতি জানান এবং সদস্য হিসেবে তার অক্ষমতার জন্য মিনতি করেন।
এটি সমাধান হয় যে জনাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ,জনাব জামিলুর রহমান প্রধান এম পি এ এবং জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এম এন এ অর্থ উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
উপ-কমিটির অব্যাহতি :
জনাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ জনাব আজিজুর রহমান এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন।প্রস্তাবটি জনাব একরামুল হক এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ এম এন এ জনাব সিরাজুল ইসলাম এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং জনাব এবিএম মুকছেদ আলী এম এন এ, জনাব আজিজুর রহমান এম পি এ সদস্য হিসেবে সমর্থন করেন।
জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী এম এন এ জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা সরদার মোশাররফ হোসেন এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ জনাব মোজাফফর হোসেন এম পি এ,তাহিরুল ইসলাম খান এম পি এ এবং কাশিমুদ্দিন আহমেদ এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন। এটি জনাব জামিলুর রহমান প্রধান এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সিরাজুল ইসলাম এম পি এ জনাব গোলাম রহমান এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি জনাব আজিজুর রহমান এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন এম পি এ ডা.ওয়াকিল উদ্দিন মন্ডল এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং জনাব এবিএম মোকছেদ আলী এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব কাশিমুদ্দিন আহমেদ এম পি এ,তাহিরুল ইসলাম খান এম পি এ এবং মুজাফফর হোসেন এম পি এ তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
এটা সমাধান হয় যে নিম্নোক্ত সদস্যগণ নির্বাচিত ঘোষিত হয় অব্যাহতি উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে।
১. জনাব আজিজুর রহমান সরকার,এম পি এ
২. জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ
৩. জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ
৪. জনাব গোলাম রহমান,এম পি এ
৫. ডা.ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল,এম এন এ
৬. জনাব এস এম ইউসুফ,এম পি এ
৩. স্বাস্থ্য উপ-কমিটি
জনাব এস এম ইউসুফ এম পি এ জনাব একরামুল হক এম পি এ এবং জনাব মজিদ চৌধুরী,এম পি এ এর নাম প্রস্তাব করেন যা জনাব গোলাম রহমান কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,এম পি এ জনাব ফজলুল করিম,এম এন এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব একরামুল হক,এম পি এ জনাব খাতিবুর রহমান, এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি জনাব এবিএম মুকছেদ আলী,এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব এবিএম মুকছেদ আলী,এম এন এ জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম এন এ -এর নাম প্রস্তাব করেন যা সরদার মোশাররফ হোসেন,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব খাতিবুর রহমান উপ-কমিটির সদস্য হতে অস্বীকৃতি জানান।
এটা সমাধান হয় যে নিম্নোক্ত সদস্যগণ
নির্বাচিত ঘোষিত হয় স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে।
১.জনাব একরামুল হক,এম পি এ
২. জনাব আব্দুল মজিদ চৌধুরী, এম পি এ
৩. জনাব জনাব ফজলুল করিম,এম পি এ
৪. জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম এন এ
৪.জনসংযোগ উপ-কমিটি:
জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি জনাব এবিএম মোকছেল আলী,এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম পি এ জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা তাৎক্ষণিকভাবে জনাব খাতিবুর রহমান,এম এন এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব ম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এম এন এ জনাব ডা.ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল,এম পি এ এবং গোলাম রহমান,এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ জনাব আজিজুর রহমান সরকার,এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি সরদার মোশাররফ হোসেন,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব এবিএম মোখছেদ আলী,এম এন এ জনাব আজিজুর রহমান,এম এন এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি তাৎক্ষণিক ভাবে জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
এটা সমাধান হয় যে নিম্নোক্ত সদস্যগণ নির্বাচিত ঘোষিত হয় জনসংযোগ উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে।
১. জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন,এম পি এ
২. জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ
৩. জনাব ডা. ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল,এম এন এ
৪. জনাব গোলাম রহমান,এম পি এ
৫. জনাব আজিজুর রহমান সরকার, এম পি এ
৬. জনাব আজিজুর রহমান,এম এন এ
৫.শিক্ষা উপ-কমিটি
জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ জনাব খাতিবুর রহমান,এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা জনাব একরামুল হক,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ প্রস্তাব করেন জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম এন এ এবং জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ -র নাম। এটি জনাব এস এম ইউসুফ, এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।জনাব গোলাম রহমান,এম পি এ জনাব এস এম ইউসুফ, এম পি এ-র নাম প্রস্তাব করেন যা সমর্থন করেন জনাব একরামুল হক,এম পি এ
জনাব এস এম ইউসুফ, এম পি এ প্রস্তাব করেন জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ এবং জনাব মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এম এন এ-র নাম,সমর্থিত হয় জনাব গোলাম রহমান,এম এন এ কর্তৃক।
ডা. ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল,এম এন এ জনাব এবিএম মোখছেদ আলী,এম এন এ-র নাম প্রস্তাব করেন এবং এটি সমর্থিত হয় জনাব একরামুল হক,এম পি এ দ্বারা।
জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ তার নাম প্রত্যাহার করেন।
এটা সমাধান হয় যে নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ নির্বাচিত ঘোষিত হয় স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে।
১. জনাব খাতিবুর রহমান,এম পি এ
২. জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ,এম এন এ
৩. জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ
৪. জনাব এস এম ইউসুফ,এম পি এ
৫. জনাব এম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এম এন এ
৬. ডা. ওয়াকিল উদ্দিন মণ্ডল,এম এন এ
জনাব সিরাজুল ইসলাম,এম পি এ প্রস্তাব দেন যে, (১) বাণিজ্য ও ব্যবসা উপ-কমিটি এবং (২) যুব ও অভ্যর্থনা ক্যাম্প উপ-কমিটি নামে আরো দুটি উপ-কমিটি এখানে দরকার।প্রস্তাব টি জনাব এস এম ইউসুফ,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব আজিজুর রহমান সরকার,এম পি এ প্রস্তাব দেন যে, একটি সামাজিক কল্যাণ উপ-কমিটি প্রতিষ্ঠা করাও জরুরি এবং প্রস্তাব টি জনাব একরামুল হক,এম পি এ কর্তৃক সমর্থিত হয়।
জনাব আজিজুর রহমান সরকার, এমপিএ প্রস্তাব করেন যে একটি সমাজকল্যাণ উপ-কমিটি গঠন করা উচিত এবং প্রস্তাবটি জনাব একরামুল হক, এমপিএ দ্বারা সমর্থিত। উক্ত কারণে বিষয়টির সমাধানে তিনটি সাব-কমিটি যথা (১) শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটি, (২) যুব ও রিসেপশন ক্যাম্প উপ -কমিটি. (৩) সমাজ কল্যাণ উপ -কমিটি গঠন করা হয় এবং সরকার একইরকম প্রস্তাব অনুমোদনে অগ্রসর হবে।
৬. শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটি:
জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন. এমপিএ প্রস্তাব করেন, এম/এস কাজী আবদুল মজিদ চৌধুরী, এমপিএ, খতিবুর রহমান, এমপিএ, গোলাম রহমান, এমপিএ, সিরাজুল ইসলাম, এমপিএ, একরামুল হক, এমপিএ, জামিলুর রহমান প্রধান, এমপিএ এবং কামরানউদ্দিন আহমেদ, এমপিএ উক্ত উপ-কমিটির সদস্য হবেন।
উক্ত প্রস্তাবনাটি জনাব এ বি এম মুকসেদ আলি দ্বারা সমর্থিত হয় ।
উক্ত প্রস্তাবনা ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাব না থাকায় নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ এই উপ-কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ঘোষিত হন:
(১) জনাব কাজী আবদুল মজিদ চৌধুরী, এমপিএ
(২) খতিবুর রহমান, এমপিএ
(৩) গোলাম রহমান, এমপিএ
(৪) সিরাজুল ইসলাম এমপিএ
(৫) একরামুল হক এমপিএ
(৬) জনাব জামিলুর রহমান প্রধান, এমপিএ
(৭) জনাব কামরানউদ্দিন আহমেদ, এমপিএ
৭. যুব ও রিসেপশন ক্যাম্প উপ -কমিটি:
জনাব গোলাম রহমান এমপিএ প্রস্তাব করেন এম/এস আবদুর রহিম, এমপিএ, আজিজুর রহমান সরকার, এমপিএ, ডঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ, সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ, এস এম ইউসুফ, এমপিএ এবং এ বি এম মুকসেদ আলী, এমপিএ উক্ত উপ-কমিটির সদস্য হবেন।
উক্ত প্রস্তাবনাটি যথাযথভাবে জনাব একরামুল হক, এমপিএ দ্বারা সমর্থিত হয় ।
উক্ত প্রস্তাবনা ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাব না থাকায় নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ যুব ও রিসেপশন ক্যাম্প উপ -কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ঘোষিত হন:
(১) জনাব আব্দুর রহিম, এমপিএ
(২) জনাব আজিজুর রহমান সরকার, এমপিএ
(৩) ডাঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ
(৪) জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ
(৫) জনাব এস এম ইউসুফ, এমপিএ
(৬) জনাব এ বি এম মুকসেদ আলী, এমএনএ
৮. সামাজ কল্যাণ উপ-কমিটি:
জনাব, খতিবুর রহমান এমপিএ এম/এস –শাহ্ মাহতাব আহমেদ, এমএনএ, কাজী আবদুল মজিদ চৌধুরী, এমপিএ, ডঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ, এম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এমএনএ সিরাজুল ইসলাম এর নাম প্রস্তাব করেন।
উক্ত প্রস্তাবনাটি যথাযথভাবে জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ দ্বারা সমর্থিত হয় ।
উক্ত প্রস্তাবনা ব্যতীত অন্য কোন প্রস্তাব না থাকায় নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ সামাজ কল্যাণ উপ-কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে ঘোষিত হন:
(১) জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ, এমএনএ
(২) কাজী আবদুল মজিদ চৌধুরী, এমপিএ
(৩) ডাঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ
(৪) জনাব এম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এমএনএ
(৫) জনাব সিরাজুল ইসলাম, এমপিএ
(৬) জনাব আজিজুর রহমান সরকার, এমপিএ
উপ-কমিটির কতৃক সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানরা হলেনঃ-
ক্রমিক নং | উপ-কমিটির নাম | চেয়ারম্যান নাম |
১ | অর্থ উপ-কমিটি | জনাব এ বি এম মুকসেদ আলী, এমএনএ |
২ | ত্রাণ উপ-কমিটি | জনাব সিরাজুল ইসলাম, এমপিএ |
৩ | স্বাস্থ্য উপ-কমিটি | কাজী আবদুল মজিদ চৌধুরী, এমপিএ |
৪ | প্রচার উপ-কমিটি | জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ |
৫ | শিক্ষা উপ-কমিটি | জনাব শাহ্ মাহতাব আহমেদ, এমএনএ |
৬ | শিল্প ও বাণিজ্য উপ-কমিটি | জনাব জামিলুর রহমান প্রধান, এমপিএ |
৭ | যুব ও রিসেপশন ক্যাম্প উপ -কমিটি | ডাঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ |
৮ | সামাজ কল্যাণ উপ-কমিটি | জনাব এম মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এমএনএ |
জনাব তাহিরুল ইসলাম খান, এমপিএ, বগুড়া প্রকাশ করে বগুড়া জেলার সদস্য উপ-কমিটি গঠন ও জোনাল প্রশাসনিক পরিষদের নির্বাচন সঙ্গে কোনো চুক্তি ছিল না । তাঁর মতে, বগুড়া জেলার সদস্যরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হবার কারণে এই কমিটিতে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি এবং তিনি প্রস্তাব করেন বালুঘাট-এ বগুড়া জেলার হেড কোয়াটার সহ একটি পৃথক জোন করা হোক । জনাব সিরাজুল ইসলাম, এমপি্ জনাব মোজাফ্ফর হোসেন, এমপিএ, ডঃ সাইদুর রহমান, এমপিএ, জনাব হাসান আলী সরকার, এমপিএ, জনাব আবুল হাসমত চৌধুরী, এমপিএ, এবং কাসিমউদ্দিন আহমেদ, এমপিএ পৃথক জোন করা প্রসঙ্গে সমর্থন ও একমত পোষণ করেন এবং বগুড়া জেলার জন্য একটি পৃথক জোন দাবি করেন ।
জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ বলেন যে বগুড়া জেলার সদস্যদের তর্ক মর্মে দিনাজপুরের সদস্যদের দ্বারা সবকিছু করছেন যেখানে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা সম্পূর্ণই ভিত্তিহীন, ততঃমধ্যে দিনাজপুর জেলার সদস্যবৃন্দ অভেদ্য অফিস নির্বাচনের ও বগুড়া জেলার সদস্যদের মাঝের সহযোগিতা বজায় রাখতে আগের রাতে থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন । তিনি আরও প্রকাশ করেন যে, তারা যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে জোর করে সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছুক হয় তবে বগুড়া জেলার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা দীর্ঘায়িত করবার প্রয়োজন নেই । তিনি আরও উল্লেখ করেন, বগুড়া জেলার সদস্যদের বিভিন্ন উপ-কমিটির সদস্য হিসেবে প্রস্তাবিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা তা প্রত্যাখ্যান করেন যা সম্পূর্ণ অসহযোগতার নিদর্শন বহন করে ।
ডঃ ওয়াকিলউদ্দিন মন্ডল, এমএনএ এবং জনাব সিরাজুল ইসলাম, এমপিএ এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখেন । তাঁরা প্রকাশ করেন যে, বগুড়া জেলার জন্য একটি পৃথক জোন চাহিদাটি তাঁরা সমর্থন করবেন শুধুমাত্র যদি বগুড়া জেলার সদস্যদের তাদের সংস্করণ এবং দিনাজপুর জেলার সদস্যদের বিরুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠের দেওয়া সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করে নেয় । তারা আরো বলেন যে,
কোন কারণে তারা বগুড়া জন্য পৃথক জোন সৃষ্টির বিরোধিতা করা উচিত নয় যখন এই ইতিমধ্যে গত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সমস্যাগুলি সমাধান করা হয়েছে ।
সভার সভাপতি জনাব মুজিবুর রহমান, এমএনএ, এর বক্তব্যটি বগুড়া জেলার সদস্যদের পৃথক জোন সংক্রান্ত মতামত ও দর্শন সমর্থন করে । উক্ত সভাটি সভার সভাপতির ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে শেষ হয় ।
স্বাঃ / – মুজিবুর রহমান, এমএনএ
প্রেসিডেন্ট.
২৬/০৯/৭১
মেমো. নং WZ-I/205, তারিখ ২৮. ৯. ৭১
সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবর প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের অনুলিপি পাঠানো হল ।
স্বাঃ / -. মোঃ আবুল কাশেম খান,
জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা,
ওয়েস্ট জোন- I
২৬/৯/৭১
মেমো. নংঃ WZ-I/ 209, তারিখ ২৮. ৯. ৭১
সচিব, সাধারণ প্রশাসন বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বরাবর তথ্য অনুগ্রহের জন্য অনুলিপি পাঠানো হল ।
(মো. আবুল কাশেম খান)
জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা,
ওয়েস্ট জোন- I
২৬/৯/৭১
……………………………………
জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভার কার্যবিবরণী, ওয়েস্ট জোন- I অনুষ্ঠিত
হয়
১৮. ১০. ৭১, ১১-০০ ঘণ্টা, গঙ্গারামপুর জোনাল কাউন্সিলের অফিস
উপস্থিত সদস্যবৃন্দঃ
(১) জনাব আব্দুর রহিম, এমপিএ
(২) মো. আবুল কাশেম খান, জোনাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা
(৩) আজিজুর রহমান, এমএনএ
(৪) মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, এমএনএ
(৫) ডাঃ ওয়াকিলুদ্দিন মন্ডল, এমএনএ
(৬) জনাব সরদার মোশাররফ হোসেন, এমপিএ
(৭) শাহ্ মো. ইউসুফ, এমপিএ
(৮) মো. ফজলুল করিম, এমপিএ
(৯) সিরাজুল ইসলাম, এমপিএ
(১০) কামরুদ্দিন আহমেদ, এমপিএ
(১১) জামিলুর রহমান প্রধান, এমপিএ.
(১২) কাসিমউদ্দিন আহমেদ, এমপিএ
(১৩) আবুল হাসানাত চৌধুরী, এমপিএ
(১৪) মুজাফফর হোসেন, এমপিএ
উক্ত সভাটি কামরুদ্দিন আহমেদ, এমপিএ দ্বারা পবিত্র কুরআন থেকে আবৃত্তি দিয়ে শুরু হয়।
প্রারম্ভেই বাংলাদেশের শহীদদের প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছিল ।
সভায় শেখ মুজিবুর রহমানের অবিলম্বে এবং নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয় । এছাড়াও সভায় ভারতের সরকার ও তার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় তাদের সাহায্যে, সমর্থন এবং বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ প্রতি সহানুভূতি জন্য ।
জোনাল প্রশাসনিক কাউন্সিলের সভার কার্যধারায় অনুষ্ঠিত হয় ২৬.৯.৭১ নিয়ে আলোচনা হয় । কোন সদস্য দ্বারা কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি ।
এজন্য, উল্লেখিত সভার সমস্যাগুলির সমাধান নিশ্চিত করা হয় তার কার্যবিবরণীতে ।
ত্রাণ সাব-কমিটির সভাপতি তার বাজেট যা ছিল বিস্তারিতভাবে উপস্থাপন ও আলোচনা করেন । এটা ঠিক করা হয়েছিল যে, জোনের সমগ্র এলাকা রিলিফ অপারেশনের জন্য ৫ টি উপ-জোনে বিভক্ত হওয়া উচিত যা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় পর নিযুক্ত প্রেরিত কর্মী দ্বারা পরিচালিত হবে । সরকার আরও সিদ্ধান্ত নেয় যে, ৩৪ টি ত্রাণ শিবির যেখানে কোন কর্মকর্তা নিযুক্ত হয় নি তার জন্য ৬৮ জন কর্মকর্তার নিয়োগ দিবে ।
দুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণের জন্য রুপি ৩,০০,০০০/০০ (তিন লক্ষ রুপি) বাজেট সাপেক্ষে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও অবিলম্ব সমাধান করা উচিত । এছাড়া পরিবহন ভাতা ও কন্টিনজেন্ট ব্যয় সাপেক্ষ রুপি ২,০০০.০০ ত্রাণ সংক্রান্ত বিষয়ে অনুমোদন করা হয় ।
আরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার বাংলাদেশের মানুষের এবং ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশের মানুষ ও মুক্ত এলাকাসমূহের মানুষের দুর্ভোগ নিরসনে অগ্রসর হবে ।
অতঃপর, চেয়ারম্যান, প্রচার উপকমিটির তার বাজেট উপস্থাপন করেন ও আলোচনা সাপেক্ষে তা অনুমদিত হয় (অনুলিপি সংযুক্ত)। আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, কাজের সুবিধার জন্য সমগ্র জোন কে ৫টি উপ- জোনে বিভক্ত করা উচিত ।
তারপর সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির প্রাক্কলিত বাজেট উপস্থাপন করেন উল্লেখিত উপ-কমিটির সভাপতি । আইটেম নং – ৬ ব্যাতিরেক সাব-কমিটির প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদিত হয় (অনুলিপি সংযুক্ত) ।
উপ-কমিটির সভাপতি দ্বারা উপস্থাপিত শিল্প ও বাণিজ্য সাব কমিটির বাজেট অনুমোদিত হয় (অনুলিপি সংযুক্ত) ।
জোনাল প্রশাসনিক পরিষদ চেয়ারম্যান সুপারিশ করেন যে শুধুমাত্র আক্রান্ত ‘মুক্তিবাহিনী’, মুক্তিযোদ্ধা ইত্যাদি এবং তাদের পরিবারের জন্য সর্বমোট রুপি ২৫,০০০/০০ (রুপী পঁচিশ হাজার) বাজেটে করাজ প্রয়োজন ।
তারপর আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদের চেয়ারম্যান ০১ অক্টোবর ১৯৭১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সময়ের জন্য আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ পশ্চিমাঞ্চল-১ এর বাজেট ব্যাখ্যা করেন এবং বাজেট আঞ্চলিক পরিষদ কর্তৃক অনুমোদিত হয়। চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
স্বাক্ষরঃ
চেয়ারম্যান আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ,
পশ্চিমাঞ্চল-১ গণপ্রজাতন্ত্রী. বাংলাদেশ সরকার গঙ্গারামপুর
পশ্চিমাঞ্চল-১ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তার দপ্তর
রশিদ নং- পশ্চিমাঞ্চল-১/৩০৫(২)
তারিখঃ ২৫/১০/১৯৭১
প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য নিম্নলিখিত ব্যাক্তিবর্গকে অনুলিপি পাঠানো হলঃ-
১। মন্ত্রিপরিষদ সচিব, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
২। সচিব-সাধারণ প্রশাসন বিভাগ-গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
৩। আঞ্চলিক পরিষদের সকল সদস্য বৃন্দ।
স্বাঃ মোঃ আবুল কাশেম খান
আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা
পশ্চিমাঞ্চল-১
বাজেট উপ-কমিটি কর্তৃক ত্রানের পরিশিষ্ট
১। নগদ প্রদানঃ ৩,০০,০০০ রুপি
২। টিএ ও ডিএ ২০০০ রুপি
৩,০২,০০০ রুপি
স্বাক্ষরঃ
আঞ্চলিক ত্রাণ কর্মকর্তা
পশ্চিমাঞ্চল-১
বরাবর
চেয়ারম্যান
আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ
পশ্চিমাঞ্চল-১
বিষয়ঃ বাজেটের হিসাব।
প্রিয় মঙ্গলকামী সুহৃদ বাজেট উপ-কমিটির চেয়ারম্যান, ১ অক্টোবর ১৯৭১ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সময়কালের জন্য নিম্নরুপ বাজেট করা হল উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণকরন।
বিবরণ পরিমাণ
১। আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা-১ ৫০০×৩ রুপি ১,৫০০ রুপি
২। সহকারি স-কর্মকর্তা-৫ ৩০০×৩×৫ রুপি ৪,৫০০ রুপি
(পশ্চিম দিনাজপুরের পাচটি উপ-বিভাগের জন্য)
৩। কেরানী-৫ ২০০×৩×৫ রুপি ৩,০০০ রুপি
৪। দপ্তর ভাড়া ১০০×৪ রুপি ৪০০ রুপি
৫। পিয়ন-৫ ১১০×৫×৩ রুপি ১,৬৫০ রুপি
৬। রাত্রিকালীন পাহারাদার-১ ১১০×৩ রুপি ৩৩০ রুপি
৭। গাড়িচালক-১ ২০০×৩ রুপি ৬০০ রুপি
৮। পরিবহন খরচ ৫০০×৩ রুপি ১,৫০০ রুপি
৯। বিবিধ খরচ ৫০০০×৩ রুপি ১৫,০০০ রুপি
(ক) কাগজ
(খ) পত্রিকা
(গ) মুদ্রন ইত্যাদি
১০। জ্বালানী, তৈল ইত্যাদি ১০০০×৩ রুপি ৩০০০ রুপি
১১। দপ্তর আসবাব ১০০০ রুপি ১,০০০ রুপি
১২। প্রচারণা এবং মাইকিং বাবদ ৪,০০০ রুপি
১৩। বিবিধ খরচ/আপ্যায়ন খরচ ৩,০০০ রুপি
মোট ৩৯,৪৮০ রুপি
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রচারনা কাজের জন্য একটা গাড়ি বরাদ্দ করা হবে ।
স্বাঃ সরদার মোশাররফ হোসেন
চেয়ারম্যানপ
প্রচারনা উপ-কমিটি
পশ্চিমাঞ্চল-১
সমাজকল্যান উপকমিটির সকল সদস্যদের উপস্থিতিতে কমিটির চেয়ারম্যান জনাব মোশাররফ প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন। যা ১/১০/৭১ থেকে ৩১।/১২/৭১ সময়কালের জন্য প্রযোজ্য।
১। সাংস্কৃতিক দলের সংগঠন ১০,০০০ রুপি
২। স্থানান্তরিত শিল্পীদের সহায়তা ৫,০০০ রুপি
৩। কর্মকর্তা উন্নয়নে ২,৩৫০ রুপি
৪। দপ্তর উন্নয়নে ৩০০ রুপি
৫। দপ্তরের আসবাব ব্যায় ২,৩০০ রুপি
৬। যাতায়াত খরচ ১,০০০ রুপি
৭। বিবিধ/আপ্যায়ন খরচ ১,০০০ রুপি
মোট ২১,৯৫০ রুপি
মোটঃ একুশ হাজার নয়শত পঞ্চাশ রুপি মাত্র
জমাদানকারী
স্বাঃ/ মোঃ মোশারর হোসেন চৌধুরী
চেয়ারম্যান
সমাজকল্যান উপ-কমিটি
পশ্চিমাঞ্চল-১
১৮.১০.৭১
পশ্চিমাঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক প্রশাসনিক সভার কার্যক্রম ২৪.১১.৭১ ,১১ টায় গঙ্গারামপুর আঞ্চলিক পরিষদের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
উপস্থিত সদস্যরাঃ
১.জনাব মোঃ আজিজুর রহমান,এম এন এ।
২.জনাব শাহ মাহতাব আহমেদ ,এম এন এ।
৩.ড. উয়াকিলউদ্দীন ,এম এন এ ।
৪.জনাব সরদার মোশাররফ হোসাইন ,এম পি এ।
৫.জনাব মোঃ খতিবুর রহমান,এম পি এ।
৬.জনাব কাজী আব্দুল মজিদ চৌধুরী,এম পি এ।
৭.জনাব গোলাম রহমান ,এম পি এ।
৮.জনাব শাহ মোঃ ইউসুফ, এম পি এ।
৯.জনাব মোঃ একরামুল হক ,এম পি এ।
১০.জনাব মোঃ কামারুদ্দিন আহমেদ,এম পি এ।
১১.জনাব মোঃ আজিজুর রহমান সরকার,এম পি এ।
১২.জনাব জামালুর রহমান প্রধান,এম পি এ।
১৩.জনাব হাসান আলী সরকার,এম পি এ।
১৪. জনাব আবুল কাশেম খান, আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
সভাটি জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ এম পি এ এর পবিত্র কোরান থেকে তিলাওয়াতের পর শুরু হয়।
সভার কার্যক্রম ৫ তারিখের পরিবর্তে সামান্য পরিবর্তন করে ১৮.১০.৭১ তারিখে নিশ্চিত করা হয়।ত্রাণ কার্যক্রমের অধীন এলাকায় কার্যালয়ে এটি ৫ ই পড়া উচিত।
তারপর স্বাধীন অঞ্চলগুলোর মানুষের সমস্যাগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয় এবং কার্যকরীভাবে সকল সদস্য এই আলোচনায় অবদান রাখেন। এটি বের হয়ে আসে যে ,স্বাধীন এলাকাগুলোর মূল সমস্যা হল আমন ধান ও আখের ফসল যা জমির মালিক সরাসরি বা অধিয়ারদের দ্বারা উৎপাদিত হয়েছে।এই সময়ে কিছু জমির মালিক এলাকায় উপস্থিত ছিলেন না,কিছু অধিয়ারদের ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য ।কিছুক্ষেত্রে মালিক এবং অধিয়ার উভয়ই এলাকা থেকে অনুপস্থিত। আরো কিছু অঞ্চল আছে যেখানে জায়গার মালিক জায়গা ছেড়ে চলে গিয়েছেন এবং সেখানে প্রতিবেশীরা চাষ করেন। এটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে মালিক এবং অধিয়ারদের ন্যায্য মুনাফা সংরক্ষণে আঞ্চলিক পরিষদ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
এছাড়াও আরো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে উৎপাদকরা ,যেখানে নিজেরা জমিতে চাষ করেছে ,তাদের উৎপাদনের সম্পূর্ণ অংশ পাবে এবং উৎপাদনের ৫০% বহিঃশুল্ক হিসেবে যাবে যেখানে অধিয়ার দ্বারা চাষাবাদ হয়েছে। যেসব ক্ষেত্রে মালিকদের খুঁজে পাওয়া যাবে না সেক্ষেত্রে মালিকের অংশ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নিয়ে নিবে। যদি মালিকদের পরবর্তীকালে খুঁজে পাওয়া যায় তবে যথোপযুক্ত পরীক্ষায় সরল বিশ্বাসে তাদের তা ফেরত দেয়া হবে।
যেখানে কিছু ব্যক্তি দ্বারা মরু জমি চাষাবাদ করা হয়েছে সেক্ষেত্রে মালিকের অংশ বাংলাদেশ সরকার কতৃক নিয়ে নেয়া হবে।
এটি নির্ণীত হয়েছে যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপায় ও মানে খুঁজে বের করার জন্য নিম্নোক্ত ব্যক্তিবর্গ নিয়ে একটি উপকমিটি গঠিত হবে যা পরবর্তী অনুচ্ছেদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটিটি ফসলের উপযুক্ত পরিমাপ , আহরণ,সংরক্ষণ ও ধান ও আখের বিলি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এটি আরো নির্ণীত হয়েছে যে এম এম এ ও এম পি এ রা তাদের নিজস্ব এলাকার জন্য দায়ী থাকবেন।
১.জনাব একরামুল হক ,এম পি এ।
২.জনাব এস. এম. ইউসুফ, এম পি এ।
৩.জনাব গোলাম রহমান ,এম পি এ।
৪.জনাব সরদার মোশাররফ হোসাইন ,এম পি এ।
৫.জনাব খতিবুর রহমান ,এম পি এ(আহবায়ক)
৬.জনাব কাজী আব্দুল মজিদ চৌধুরী,এম পি এ।
৭.জনাব জামালুর রহমান প্রধান,এম পি এ।
৮.জনাব আজিজুর রহমান সরকার,এম পি এ।
৯.জনাব মোশাররফ হোসাইন চৌধুরী,এম পি এ।
১০.জনাব কামারুদ্দিন আহমেদ ,এম পি এ।
১১.জনাব সায়েদুর রহমান ,এম পি এ।
১২.জনাব আজিজুর রহমান, এম এন এ।
যুব অভ্যর্থনা শিবিরের সমস্যাগুলোও বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। আলোচনাকালীন এটি প্রকাশিত হয় যে, বিভিন্ন যুব অভ্যর্থনা শিবিরে ছেলেরা মাসের পর মাস একত্রে রয়েছে এবং ছেলেগুলো প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য অধৈর্য হয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যান কতৃক এটিও ব্যক্ত হয়েছে যে, পাতিরাম যুব শিবিরে ঐ ছেলেগুলোর জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল,কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে ঐ ছেলেগুলোকে তাদের নিজ নিজ অভ্যর্থনা শিবিরে ফিরে যেতে হবে। এটি সকল উপস্থিত সদস্যদের অনুভূত হয়েছে যে বিভিন্ন যুব অভ্যর্থনা শিবিরে ছেলেদের জন্য রাখা ব্যবস্থা একান্ত প্রয়োজনীয় এবং এই সকল প্রশিক্ষণ বন্ধ করার পরিবর্তে যুব অভ্যর্থনা শিবিরের জোগাড় করা ছেলেদের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন প্রশিক্ষণ রাখা উচিত।
অতএব,এটি নির্ণীত হয়েছিল যে জরুরিভাবে যুব অভ্যর্থনা শিবিরের ছেলেদের এবং অন্যান্যদের জন্যও প্রশিক্ষণ সুবিধা আয়োজন করা হবে এবং তদানুযায়ী সরকার পদক্ষেপ নিবে।
উদ্বাস্তু শিবিরের সমস্যাগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে এবং এটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে সরকারকে শীতবস্ত্ররূপে তাঁবু এবং তেরপল প্রদানের জন্য স্মরণ করিয়ে দেয়া হবে।
এটি আরো প্রকাশিত হয়েছে যে নবাগত ব্যক্তিদের জন্য রেশন কার্ড সরবরাহ করা হয়নি যার ফলে তাদের ভীষণ কষ্টে পড়তে হয়েছে এবং এটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এই বিষয়টি ভারত সরকারকে কিংবা অন্য কোনো উপযুক্ত কতৃপক্ষকে
গ্রহণ করার অনুরোধ করবে ।
আলোচনায় বিভিন্ন যুব অভ্যর্থনা শিবিরে অভিযোগে বর্ণিত অপকর্ম উঠে এসেছে এবং এটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে যদি কোনো শিবিরে ভ্রষ্ট চর্চা বন্ধ করা হবে এবং এম এন এ ও এম পি এ দের আমাদের স্বাধীনতার আন্দোলনের সকল ক্ষেত্রে কঠোর হতে হবে যাতে এতে কোনো প্রতিকূল সমালোচনার সম্মুখীন হতে না হয়।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে যখন বাংলাদেশের নতুন এলাকা স্বাধীন হচ্ছে তখন সদস্যদের দ্বারা এটির প্রয়োজন অনুভূত হয় যে ব্যবসায় বাণিজ্য উপকমিটি দ্রুত সরকার কতৃক অনুমোদিত হওয়া উচিত ,পাশাপাশি সময় নষ্ট না করে কমিটির কার্যক্রম শুরু করা উচিত।
সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে সভাটি শেষ হয়।
স্বাঃ/ (এম. এ. রহিম)
সভাপতি,
আঞ্চলিক প্রশাসনিক পরিষদ,
পশ্চিমাঞ্চল-১
…………………………………………………………..
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তার কার্যালয়,
পশ্চিমাঞ্চল-১
রশিদ নং- পশ্চিমাঞ্চল-১/৫০৪(২৮) তারিখ, ১ ডিসেম্বর ,১৯৭১
অনুলিপি অগ্রসর হয়েছেঃ-
১) সচিব,মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, সি ও ,বাংলাদেশ মিশন ,৯ সারকাস এভিনিউ ,কলকাতা-১৭
তথ্য সহায়তার জন্য
স্বাঃ/
আঞ্চলিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা,
পশ্চিমাঞ্চল-১
বরাবর
আঞ্চলিক পরিষদ
পশ্চিম জোন -১
উপস্থিত সম্মানিত সদস্য মণ্ডলী আমি আমাদের পরিকল্পনা নিয়ে বলার পূর্বে অনুরোধ করতে চাই
বিভিন্ন সীমান্ত অঞ্চলে আমাদের রাজনৈতিক মাঠকর্মীদের ব্যবহার করতে পারি শান্তিপূর্ন এবং সুষ্ঠু ভাবে রাজস্ব আদায়ের জন্য।
কিছুদিন আগেই আমি সীমান্তবর্তী এলাকায় গিয়েছিলাম এবং সেখান থেকে তথ্য পেয়েছি যে বাংলাদেসগ-ভারত সীমান্তের বেশ কিছু পথে বিভিন্ন বাংলাদেশী পণ্য যেমনঃ পাট, তামাক, মোলাসেস, জ্বালানী কাঠ, মাছ ইত্যাদি ভারতে যাচ্ছে। কিছু অননুমোদিত এজেন্সি এই সুযোগে ভাড়া, কর ও রপ্তানি শুল্ক আদায় করছে। আমি বাজারদরও যাচাই করেছি এবং দেখেছি পুর্বোক্ত পণ্যসমূহের দাম ভারতের দামের থেকে অনেক কম এবং বাঙ্গালিরা এতই অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে আছে যে তারা তাদের পণ্য বিক্রি করতে আগ্রহী কিন্তু দেশে এখন সেরকম কোন ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। যদি আমরা পরিকল্পনা করে বাংলাদেশি পণ্যের উপর কর বসিয়ে তা আদায় করতে পারি তাহলে একই সাথে বেশ ভাল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও হবে এবং একই সাথে এরকম অনিশ্চিত সময়ে দেশের অনেক বেকার মানুষের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। সহজে কর আদায়ের জন্য যেসকল রাজনৈতিক নেতারা সীমান্তের কাছাকাছি থাকেন আমরা চাইলে তাদেরকেও এই কর আদায়ের কাজে সামিল করতে পারি।
এখন আমি কিছু সীমান্ত এলাকার উল্লেখ করে দিচ্ছি যেখান থেকে নিয়মিত রাজস্ব আদায় সম্ভব।
সম্ভাব্য রাজস্ব আদায়ের এলাকাসমূহঃ
১) লস্করহাট পাড়িলিয়া সীমান্ত
২) কামারপাড়া হাট শালপাড়া এবং শাপরা
৩) ত্রিমহিনী হাট চেংগিসপুর
৪) পাঞ্জুইল অঞ্চল হিলি
৫) মাদারগঞ্জ হাট ডাঙা পাড়া
৬) দাউঘর হাট সামগিয়া
৭) কুমারগঞ্জ খানপুর
৮) প্রানসাগর হামজাপুর
৯) কাটাবাড়ি হামজাপুর
১০) চম্পাতলি হামজাপুর
১১) মহিপাল দিঘি হাট ডুগডুগি
১২) শান্তিমারি ডুগডুগি
১৩) মোল্লাপাড়া ডুগডুগি
১৪) রাধীকাপূর অঞ্চল
১৫) মালন
১৬) ইসলামপুর
১৭) দাসপাড়া
১৮) তেতুলিয়া অঞ্চল
১৯) দাংঘির হাট
২০) টেকের পাড়া কাইতান
২১) সৈয়দপুর হাট কাইতান
২২) সরদার হাট দেবীপুর সীমান্ত
২৩) তালতলা
২৪) তপন তপন
২৫) সপরা/কুমারগঞ্জ
(অসম্পূর্ণ)