শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশে সরকারের স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগের কর্মকান্ডের উপর একটি প্রতিবেদন | বাংলাদেশ সরকার | ………………….. ১৯৭১ |
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ মন্ত্রণালয়
মুজিবনগর
উন্নয়নের ধাপসমূহ
১ম ধাপঃ
ডঃ টি. হোসেনকে (এমএস, এফআরসিএস) স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালের মে মাসের ১ তারিখে স্বাস্থ্য পরিসেবা বিভাগ খোলা হয়।
সরকার যখন গঠন করা হয়েছিল তখন ডঃ হোসেন আমাদের সাথে জড়িত ছিলেন। পাক সেনাবাহিনীর সেই অভিযানের পরে দুই সপ্তাহের জন্যে আমাদের কিছু সদস্য তাঁর ক্লিনিকে আশ্রয় নিয়েছিলো। ঢাকায় প্রায় ছয় লাখ রুপি মূল্যমানের সরঞ্জামসহ তাঁর নার্সিং হোম ফেলে রেখে আসা হয়েছিল। তিনি স্বেচ্ছায় আমাদের সহযোগীতা করতে এসেছিলেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা হতে বঙ্গবন্ধুকে রেহাই দেওয়ার সময় থেকেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের সাথে তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তাঁর নার্সিং হোম থেকেই আমাদের সকলের চিকিৎসাই নিতাম। কলকাতায় ছাত্র জীবনের প্রস্তুতির দিন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করতে চিকিৎসা পেশায় বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে একমাত্র ডঃ হোসেনকেই পাওয়া গিয়েছিলো।
তাঁর নিয়োগের পরপরই তিনি ডাঃ আহমেদ আলীকে তার সহযোগী হিসেবে নিয়ে প্রথম অফিসটি চালু করেছিলেন। শুরুর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই উদ্বাস্তুরা চিকিৎসার যে প্রকান্ড সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এই অধিদপ্তর তা মোকাবিলা করার কাজটি হাতে নেয়। সদর দপ্তর এবং সীমান্তের অন্যত্র অবস্থানে থাকা সকল ডাক্তার ও চিকিৎসা কাজের সহায়ক সকল কর্মীরা মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে নিজেদেরকে পুনর্বাসিত করে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রায় ১৪শয়েরও বেশী চিকিৎসা কর্মীদেরকে সেখানে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই সময়ে উদ্বাস্তুদের সংখ্যা ৬০ লক্ষ পৌঁছানো পর্যন্ত ডঃ হোসেন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল উদ্বাস্তু শিবিরই পরিদর্শন করেছিলেন। ইতোমধ্যেই ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার উদ্বাস্তুদের বসবাস করার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
২য় ধাপঃ
মধ্য জুলাইতে সরকার যখন সংগঠিত হয়, চিকিৎসা অধিদপ্তর ডঃ হোসেনকে সচিব হিসেবে নিয়ে স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ পূর্ণবর্ধিত বিভাগ হিসেবে রুপান্তরিত হয় এবং চারটি অধিদপ্তরের নাম প্রস্তাব করা হয়, সেগুলো হলঃ প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিস, সিভিল মেডিক্যাল সার্ভিস, ওয়েলফেয়ার সার্ভিস এবং চিকিৎসা শিক্ষার জন্য একটি অধিদপ্তর।
(১) প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিস- বর্তমানে এটাই আমাদের প্রধান উদ্বেগের বিষয়। ৭১ এর আগষ্ট মাস থেকে ডঃ হোসেন প্রায় প্রতিটি বিভাগ ও উপ-বিভাগে দুই বা ততোধিক বার ছিলেন। উপ বিভাগীয় পর্যায়ে চিকিৎসা পরিষেবাকে সংগঠিত করতে ডঃ হোসেন প্রায় সকল ডাক্তার ও চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রদের নিয়ে তাঁর সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করেছেন।
প্রতিরক্ষা মেডিক্যাল সার্ভিসকে সংগঠিত আসলেই অনেক জটিল ছিল কিন্তু ডঃ হোসেন বর্তমানে সাংগঠনিক বিন্যাসকে সচল করেছেন এবং (ক) আয়োজক দলের উৎস, (খ) গণ অনুদান এবং (গ) আমাদের সরকারী সম্পদ- এই তিন নামের মেডিকেল সরবরাহের তিনটি উৎসকে সংযুক্ত করেছেন।
তিন সেক্টরে আগামী তিন মাস কাজে লাগানোর জন্য আমরা দশ লাখ রুপির ব্যবস্থা করেছি। আমরা প্রতি ব্যাচের যোদ্ধাদের সাথে ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ঔষধ সরবরাহ ও প্রতিটি সাব-সেক্টরে ঔষধের দোকান (আরএপি) স্থাপন করতে যাচ্ছি।
প্রতিটি সাব-সেক্টরে একটি ভ্রাম্যমাণ ইউনিট রাখা এবং ১০টি সেক্টরে অন্তত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ১০টি এডিএস (এ্যাডভান্স ড্রেসিং স্টেশন) স্থাপনের চেষ্টা করছি। আমরা প্রথমবারের মতো ২নং সেক্টরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বাংলাদেশ বাহিনী হাসপাতাল স্থাপন করেছি। প্রতিটি সেক্টরেই আমরা এইরকমের অন্তত একটি করে পেতে যাচ্ছি।
১,২ ও ৩ নং সেক্টরে একটি করে এইরকম তিনটি এডিএস স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।
আমরা করিমগঞ্জে ২৫ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল এবং তেঁতুলিয়াতে ৩০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল, পাটগ্রামে ১০ শয্যার, সাহেবগঞ্জে ১০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপন করেছি। দৌকি এবং দালুর জন্য আমরা ৫০ শয্যার ভ্রাম্যমাণ হাসপাতাল স্থাপনার আশা প্রকাশ করছি।
এক মাসের মধ্যে আমরা রৌমারিতে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল স্থাপন করতে চলেছি। মুক্তিবাহিনীর আহত যোদ্ধাদের জন্য আমরা উপহার হিসেবে ৪টি ‘ক্রমান্বয়ে স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারকারী হোমস্’ পেয়েছিঃ এর মধ্যে একটি আগরতলায় ৪০ শয্যার; একটি করে ১০ শয্যার শিলঙ, তুরা এবং কোচবিহারে। এই হাসপাতালগুলোতে শয্যার হিসাব বাড়তে থাকা দাবীর সাথে গ্রহণ করা হবে- পশ্চিমের কোন এক স্থানে ৩০০ শয্যার হাসপাতাল স্থাপনার পরিকল্পনা চলছে। জনাব এম.কে. ভিমানী হরিয়ানা বাংলাদেশ মুক্তি সহায়ক সমিতির হয়ে এইসব হাসপাতাল চালানোর কথা দিয়েছেন।
রোগীদের চিকিৎসা ও পরিবহনজনিত আমাদের সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা পুরোপুরি সচেতন আছি।
এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিবহনঃ (ক) আমাদের কাছে ময়দান থেকে হাসপাতালে রোগীদের বহনের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন নেই। যথাসময়ে পরিবহণ ব্যবস্থার অভাবে আমরা মূল্যবান কিছু প্রাণ হারিয়েছি ও অঙ্গহানি ঘটেছে, (খ) পরিবহণের অভাবে যথাসময়ে ঔষধপত্রাদি পাঠানোর ক্ষেত্রেও আমরা অক্ষম। যাই হোক, আমাদের সীমাবদ্ধ সম্পদ ও অন্যান্য উৎসের মাধ্যমে আমরা এই সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমাদের দ্বিতীয় সমস্যা হচ্ছে ঔষধঃ এখন পর্যন্ত ঔষধ কেনার জন্য আমরা কোনপ্রকারের অর্থ ব্যয় করিনি। ডঃ হোসেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক রুপি মূল্যমানের ঔষধ উপহার হিসেবে সংগ্রহ করেছেন যা সবগুলো সেক্টরের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অনেক সংগঠনই মুক্তি বাহিনীর নাম করে ঔষধ সংগ্রহ করেছে যার কোন চিহ্নই কোন সেক্টর কমান্ডার কাছে নেই। সকল ঔষধগুলোকে আমাদের কেন্দ্রীয় গুদামঘরে সংগ্রহ করার জন্য আমাদের সকলের সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা উচিত।
তৃতীয় সমস্যাটি হচ্ছে ডাক্তারঃ প্রাথমিকভাবে আমরা আমাদের প্রায় সকল ডাক্তারদেরকে উদ্বাস্তু শিবিরে পাঠিয়ে দেই, তাই মুক্তি বাহিনীর জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার নেই। সেই সাথে, প্রশিক্ষিত শল্যচিকিৎসকের সংখ্যাও খুবই অল্প। ইংল্যান্ড হতে শল্যচিকিৎসকের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
মূলত খারাপ রাস্তা, বন এবং জঙ্গলই হচ্ছে আমাদের যোগাযোগের অসুবিধার মূল কারণ। যাই হোক, আমরা আমাদের আয়োজকদের সাহায্যে এই সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে চলেছি।
চিকিৎসা সহায়তার ব্যাপারে আমরা প্রতিনিয়তই উন্নতি করতে চলেছি। ডঃ হোসেন সরকারী ও বেসরকারী উভয় পর্যায়েই কিছু প্রতিষ্ঠানের সাথে সাফল্যের সাথে দরকষাকষি চালিয়েছেন এবং আমি নিশ্চিত যে যুদ্ধে নিয়োজিত বাহিনী এতে আরো নিরাপদ অনুভব করবে। এই বিষয়ে ডঃ হোসেন দৃঢ় সংকল্পের সাথে কাজ করে চলেছেন।
(২) বেসামরিক মেডিকেল সার্ভিসঃ- আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের সাথে পূর্বাঞ্চল চিকিৎসা পরিষদের অধীনে আঞ্চলিক চিকিৎসা কর্মকর্তা পেতে যাচ্ছে যা আমাদের সেই অঞ্চলের মূলতঃ উদ্বাস্তু শিবির, যুব শিবির, অতিক্রমণ শিবির এবং মুক্তাঞ্চলের জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করবে। মুক্তাঞ্চলে প্রয়োজনীয় ডাক্তার এবং ঔষধপত্রাদি আমাদের সরবরাহ করা উচিৎ। আমাদের আয়োজকদের কাছ থেকে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্য এবং সামনের মাসের আমাদের নিজস্ব স্বাস্থ্য বিভাগের যন্ত্রপাতি স্থাপনের জন্য আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।
(৩) ওয়েলফেয়ার সার্ভিসঃ হাসপাতালে থাকা কালীন এবং আরোগ্য লাভের সময়ে আমাদের রোগীদের মঙ্গলসাধন করাই আমাদের কাজ। আমাদের রোগীরা সীমান্তবর্তী বেসামরিক এবং মিলিটারী হাসপাতালে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যতদ্রুত সম্ভব আমরা প্রতিটি হাসপাতাল, এমনকি শিবিরেও একজন করে ওয়েলফেয়ার কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চলেছি।
(৪) চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রঃ বিভিন্ন মুক্তিবাহিনী এবং উদ্বাস্তু শিবিরে আমাদের যে সকল চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্ররা তাদের মূল্যবান সেবা দিয়ে যাচ্ছে তাদের প্রতি আমরা উদাসীন হতে পারি না। অধিকাংশ চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্ররাই ছাত্র লীগের সদস্য এবং তাদের দেশপ্রেমের তাগিদে আমাদের সাথে তারা এগিয়ে এসেছে। যদিও এই পর্যায়ে আমরা চিকিৎসার শিক্ষা দিতে পারছি না, তবুও জাতীয় স্বার্থ মাথায় রেখে সকল চিকিৎসা শিক্ষার ছাত্রদের তথ্য সংগ্রহ ও সর্বোচ্চ উপায়ে তাদের দক্ষতা কাজে লাগাতে চিকিৎসা শিক্ষায় আমাদের একজন মহাপরিচালক থাকা উচিৎ।
দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী
জাতীয় স্বাস্থ্য ও জনকল্যাণ বিভাগ
___________________
সচিবের অফিস, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সরকারের অফিসার/কর্মাচারীর তথ্য
ক্রম | নাম | বয়স | বাবা’র
নাম |
আবাসিক
ঠিকানা |
আবাসিক
ঠিকানা |
পরিবার | ভারতে
প্রবেশের তারিখ |
মন্তব্য |
বাংলাদেশে | কলকাতায় | |||||||
১ | ২ | ৩ | ৪ | ৫ | ৬ | ৭ | ৮ | ৯ |
১ | আ সামাদ | ৩৫ | আ জব্বার | সিলেট | ২১৪/১/১৫ লোয়ার সার্কুলার রোড | ১ | আগস্টের ১ম সপ্তাহ | |
২ | আকবর আলী খান | ২৭ | জনাব খান | হবিগঞ্জ | ৩ সোহরাওার্দী এভিনিউ | ১ | এপ্রিল ৭১ | |
৩ | এস এ ইমাম | ৩১ | প্রয়াত এস এ আবসার | সিলেট | ৭, তাঁতি বাগান রোড, কলকাতা | ৬ | ২৪.৪.৭১ | |
৪ | এন আই চৌধুরী | ৩৯ | শামসুল হক চৌধুরী | যশোর বিমানবন্দর | বনগাঁও, ২৪ পরগণা | ৩ | ৫.৪.৭১ | |
৫ | বি হোসেন | ৩৪ | শারাফাত আলী | পদার্থবিদ্যা বিভাগ, ঢাবি | ২১৪/১/৫, লোয়ার সার্কুলার রোড। কলকাতা-১৭ | ১ | ২৪.৪.৭১ | |
৬ | নজরুল ইসলাম | ২৮ | মৌলভি আব্দুল হাই | দৈনিক ইত্তেফাক, আরকে মিশন রোড | ২১, ডঃ রাজেন্দ্র রোড | ১ | ৪.৬.৭১ | |
৭ | আল মুজাহিদি | ২৮ | প্রয়াত আ হালিম | টাঙ্গাইল | প্রযত্নে খন্দকার আসাদুজ্জামান। ৩, সোহরাওার্দী এভিনিউ | |||
৮ | আল মাহমুদ | ৩৬ | মৌলভি আব্দুর রব | মোরালি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা | ২১৪/১/৫ লোয়ার সার্কুলার রোড, কলকাতা | ৪ | ৬.৫.৭১ | |
৯ | জাহিদ হোসেন | ২৬ | আমির আলী | ১৯, পার্টি হাউজ, আজিমপুর | ১১৮, ইলিওট রোড কলকাতা | ৩ | ২৪.৭.৭১ | |
১০ | এস এম এ হারুন | ২৫ | এম এ কাদের | ৮৪, মসজিদ রোড, শান্তিবাগ | ১১২/১ পার্ক স্ট্রিট কলকাতা | ১ | ২১.৫.৭১ | |
১১ | দিবাকর ব্যানার্জি | ৩০ | এম এম ব্যানার্জি | কালীবাড়ি রোড, খুলনা | ৯, দ্বারিক গাঙ্গুলি রোড, কালীঘাট | ৪ | ২৯.৫.৭১ | |
১২ | সুরেশ সাহা | ২৭ | পুলিন সাহা | ৪৮, নয়নমতি রোড, নারায়নঙ্গঞ্জ | ৯, কঙ্করগাছি রোড কলকাতা | ৪ | ২৭.৫.৭১ | |
১৩ | মোঃ আমিরুল ইসলাম | ৩৪ | ওয়াজেদ আলী সরকার | বারাকুটি, রাজশাহী | ১৬২/১, বি বি গাঙ্গুলি রোড, কলকাতা | ৬ | ২৭.৪.৭১ | প্রযত্নে মোশাররফ হোসেন, মুর্শিদাবাদ ঠিকানায় পরিবার সহ আছেন |
১৪ | মোঃ শরিফুর রহমান | ২৭ | আব্দুল করিম | লোণ অফিস পারা, যশোর | ১১/এ ওয়েলসলি রোড, কলকাতা | ১ | ১৬.৬.৭১ | আরপি নং ৩৯২ |
১৫ | সমরেন্দ্র ভূষণ রায় | ৩১ | কে সি রায় | চৌহাট, সিলেট | প্রযত্নে, ইউ এন হালদার, উদয়পুর, কলকাতা | |||
১৬ | জনাব মীর মোশারফ হোসেন | ৩২ | মৃত মীর মোসলেম হোসেন | গ্রাম. চৌরাস, পোস্ট জাগাটি, কুষ্টিয়া | প্রযত্নে. জনাব মীর ইমাম হোসেন, ৫ ব্রজদুলাল সড়ক, কলকাতা | ৯ | ১০.৪.৭১ | পরিবারের বসবাসঃ প্রযত্নে. মোঃ আফসার হোসেন। গ্রাম- বামনপুকুর, সদ্দারপাড়া, পো- শ্রী মায়া, পো স্টে.-নবদ্বীপ,
জেলাঃ নদীয়া |
১৭ | জনাব এস. এন. সাহা | ৩৬ | মৃত শশী মোহন সাহা | ৩৬ উসাপ পোদ্দার লেন, ঢাকা। | ২৮, মুসলমান পারা লেন, কলকাতা-৯ | ৬ | ১৮.৬.৭১ | |
১৮ | জনাব মোঃ নুরুল হাসান | ৩২ | মোঃ মাহতাফ হোসেন | গ্রা্ম ও পোঃ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া | গ্রাম ও পোঃ পঞ্চগ্রাম, জেলাঃ মুর্শিদাবাদ | ৬ | ১৬.৪.৭১ | |
১৯ | জনাব আবদুল লতিফ | ৩৬ | মোঃ ফকির | গ্রা্ম ও পোঃকুষ্টিয়া, জেলা-কুষ্টিয়া | গ্রা্ম ও পোঃশান্তিপুর, নদীয়া | ৭ | ১৫.৪.৭১ | |
২০ | জনাব কোটেশ্বর বিশ্বাস | ৩৯ | বসন্ত কুমার বিশ্বাস | গ্রামঃ গোপালপুর, পোঃবনিপুর, জেলা-যশোর | গুরুলিয়া ডি ক্যাম্প কলোনী, প্রযত্নে- সুরেন্দ্রনাথবিশ্বাশ, পোঃ পুরুলিয়া, ২৪ পরগনা | ৮ | ১.৫.৭১ |