শিরোণাম | সূত্র | তারিখ |
মুক্তিফৌজের জন্য বিশ্রামাগার মিশন ঔষধ সংগ্রহ সংক্রান্ত একটি চিঠি | বাংলাদেশ সরকার, স্বাস্থ্য বিভাগ | ০২ নভেম্বর, ১৯৭১ |
বিষয়ঃ মুক্তিবাহিনীর জন্য বিশ্রামাগার ও ঔষধ
হরিয়ানা বাংলাদেশ মুক্তি সংগ্রাম সহায়ক সমিতির চেয়ারম্যান মি. গুলজারি লাই নন্দার কাছে গিয়েছিলাম আমি, পশ্চিবঙ্গের রাজ ভবনে। এই কথিত কমিটির কোষাধ্যক্ষ মি. এম কে ভিমানি ১৯৭১ সালের ৩০ অক্টোবর আমাকে অনুরোধ করেছিলেন ওখানে যাওয়ার জন্য। কথা বলতে গিয়েছিলাম ওপরে উল্লিখিত বিষয়টি নিয়ে। নন্দাজি সানন্দেই রাজী হলেন ৩০০ শয্যার বিশ্রামাগার চালাতে, সম্ভব হলে কলকাতায়। পুরো খরচই চালাবে তার কমিটি। তবে জুতসই জায়গা খুঁজে বের করতে হবে আমাদের বা মি. ভিমানিকে সাহায্য করতে হবে খোঁজায়। কোনো বাড়ি বা আঙিনা পেয়ে গেলেই হলো, তহবিল আর জিনিসপত্র প্রস্তুত। এই কাজের জন্য উপযুক্ত একটা জায়গা বের করতে যতভাবে চেষ্টা করা যায়, করতে হবে আমাদের। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, আগরতলা, শিলং, তুরা ও কুচবিহারে এই কমিটির গড়া বিশ্রামাগারগুলো দারুণ কাজ করছে!
মুক্তিবাহিনীর ঔষধের ব্যাপারে নন্দাজিকে জানালাম, আমাদের ছেলেরা দশ জনের দলে বাংলাদেশে যাচ্ছে। ওদের ঔষধসহ ফার্স্ট এইড বক্স প্রয়োজন, যেটার মূল্য ১০০ রূপি। মি. ভিমানিকে বলেছি এরকম ১ হাজার বক্সের ব্যবস্থা করতে। এজন্য ১০ হাজার রূপি লাগবে এবং আমি মি. ভিমানিকে বলেছি আমাদের এরকম আরও ৯ হাজার ব্যাগ দিতে, যেজন্য প্রয়োজন হবে ৯০ হাজার রূপি। তিনি ব্যপারটি সদয় বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।
মেমো নম্বর. এইচএস/৩৪৯(১০) তারিখ: ০৩.১১.১৯৭১
(ড. টি. হোসাইন)
০২.১১.১৯৭১
সচিব
এইচ এন্ড ডব্লিউ