৪ বৈশাখ ১৩৭৮ রবিবার ১৮ এপ্রিল ১৯৭১
—কলকাতায় পাকডেপুটি হাইকমিশনার প্রধান ও কর্মকর্তা সহ ৬৫জন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের প্রথম মিশন হিসেবে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মিশন প্রধান জনাব হোসেন আলী।
—গন প্রতিনিধি ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ জনাব হোসেন আলীকে অভিনন্দন জানান।
—বাংলাদেশ মিশন থেকে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চর ভাষণ ও দেশাত্ম বোধক সঙ্গীত মাইক্রোফোনে অব্যাহত ভাবে প্রচার চালান হয়।
— বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বহিপ্রচার বিভাগ বাংলাদেশ মিশনে স্থানান্তরিত হয়।
—সমস্ত কলকাতা, এখন বাংলাদেশ, মিশনে উডীয়মান বাংলাদেশ পতাকা ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীতের আহ্বানী মূৰ্ছনায় আন্দোলিত।
— বি এস এফ সদর দপ্তরে শীর্ষ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের গোপন বৈঠক হয়। দীর্ঘ আলোচনার পর পরবতী পদক্ষেপ গ্ৰহণ করা হল। বৈঠকের বিবরণ জানা যায়নি। নুরে আলম সিদ্দিকী এ বিষয়ে মুখ খুলেনি। (লেখক এসব আলোচনায় উপস্থিত থাকতেন।)
— চুয়াডাঙ্গা পাক বাহিনীর হস্তগত হয়। বরিশালে পাকবিমান বাহিনী ব্যাপক বোমা বর্ষণ করে। শত শত লোক গৃহহারা সর্বশান্তি হয়ে যায়।
— ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। পাকিস্তান বিমান বাহিনীর তিনটি বিমান ভূপতিত হয়েছে। আকাশবানী এখবর দেয়।
— আকাশবাণীর খবরঃ সালুটিকায় প্রায় ৮০০ পাকিস্তানী সৈনিক আটকা পড়েছে। পাকিস্তান রেডিও বলে সালুটিকায় (সিলেট) কোন বিমানবন্দর নেই।
— পাকিস্তান সরকার করাচী কলম্বো ঢাকা রুটের আকাশপথে দুই ডিভিশন সৈন্য পূর্বাঞ্চলে পৌঁছার ফলে কতৃত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠার জন্য পাকবাহিনী ব্যাপক অপারেশন চালাতে শুরু করে। বাংলাদেশ মিশন সৃষ্টিতে তাঁদেরকে আরো বেপরওয়া চেঙ্গিস হালাকু নীতিতে নৃশংস করে তুলে। এসময় পোড়ামাটি নীতিই পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর মূলনীতি হয়ে দাড়ায়। ছাত্রশিক্ষক, আওয়ামীলীগ কর্মী ও হিন্দু নিধন যুদ্ধ শুরু হয়। পঁচিশে মার্চের পুনরাবৃতি বিভিন্ন জেলা মহকুমাসহ অবরুদ্ধ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও চলতে থাকে।
— বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় মুক্তিবাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্র যুবক কমী সংগ্ৰহ করার জন্য প্রাথমিক দায়িত্ব শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমদ ও আব্দুর রাজ্জাকের উপর দেয়া হয়।
—বি এস এফ সদর দফতর ২/এ লর্ড সিনথা রোডে বিপ্লবী মন্ত্রিসভার অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও মন্ত্রী মনসুর আলীর সঙ্গে মালেক উকিল এম, এন, এ, নুরে আলম সিদ্দিকী ও অন্যান্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়। (লেখক ওখানে উপস্থিত ছিলেন)
—রাঙ্গমাটির চিঙ্গা নদীতে পাকবাহিনীর লঞ্চে মুক্তিসেনা লেঃ মাহফুজের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পিছু হটে।
— রাঙ্গামাটির কুতুবদারীতে মুক্তিসেনা সুবেদার মুতালিবের এমবুশ পাকবাহিনীর ৪০জন নিহত ও তিনটি গাড়ী সম্পূর্ণ বিধবস্ত হয়।
— সিলেটে জাকিগঞ্জে পাকবাহিনী ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয় লুট করে সম্পদ ও মা বোনের ইজ্জত। ১০ বছরের ফরিদ সেদিন প্রথম জকিগঞ্জে স্বাধীনতার বলি হল। পাকবাহিনীর সহযোগীতায় এগিয়ে এসেছিল জামাত ও মুসলিম লীগের জাতি দ্রোহীরা।
– সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কে গুপ্ত কোম্পানীর ষ্টার চাবাগানের ৩২জনকে হত্যা করে পাকবাহিনী সহায়তা করে স্থানীয় দোশরেরা।
— পাকিস্তান রেডিও জানাল সালুটিকর বিমানবন্দর বলে কোন বিমানবন্দরই নেই
—টিকা খান এক রেডিও ভাষণে বললেনঃ ১লা থেকে ২৫শে মার্চ পর্যন্ত সরকারী কর্মচারী গণ অফিসেযেতে পারেননি কারণ তাদের জীবন ও তাদের পরিবার পরিজনের জীবন বিপন্ন হয়েছিল।এখন যেহেতু দুস্কৃতিকারী ও ফ্যাসিষ্টদের দমন করা হয়েছে এবংশান্তি বিরাজ করছে, তাদের সর্বাস্ত করণে অকুণ্ঠচিত্তে অকুতোভয়ে জাতি ও দেশের সেবায় আত্মনিয়োগ করা উচিৎ। সশস্ত্র বাহিনী এবং অন্যান্যরা অনুপ্রবেশকারী দুস্কৃতিকারী সমাজ বিরোধী ও জাতি বিরোধী লোকদের ধবংস সাধনে দৃঢ়সংকল্প।
—পাকহানাদার বাহিনী কিশোরগঞ্জ মহকুমারসদর এলাকায় প্রবেশ করে।পলায়ন পরলোকদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে জামাতী দালালদের উৎসাহে পতিতালয় অগ্নিসংযোগ করে এবং হিন্দুদের বাড়ীঘর লুট ও অগ্নি সংযোগ করে। ভীত সন্ত্রস্ত জনগনের মাথায় লুটের মালামাল তুলে ফটো তুলে নেয় পাক বাহিনী তারপর গুলি করে হত্যা করে।
—নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মিঃ চেষ্টার বার্ডলস বলেন যে, আমেরিকার অস্ত্রশস্ত্রে সমর্থন পুষ্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের নিরীহ নিরস্ত্র জনগণের ওপর অত্যাচার ও নিয়তিন চালাচ্ছে। আন্তজাতিক রেডক্রসের লোকজনকেও পূর্বপাকিস্তানে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না এবং কনসুলেট জেনারেল পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনীর কার্যকলাপের কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু এখনও আমেরিকান সরকার বলছেন যে, পূর্ববাংলার পরিস্থিতি সম্বন্ধে তাঁরা কিছু জানেন না। এই সংঘর্ষ বন্ধ করতে বিশ্ব জনমত গঠন করার ব্যাপারে আমেরিকার নেতৃত্ব গ্ৰহণ করা উচিত। আমেরিকা কর্তৃক সরবরাহকৃত অস্ত্রশস্ত্রের অপব্যবহার সম্বন্ধে পাকিস্তানকে অবিলম্বে সতর্ক করে দেয়া আমেরিকার কর্তব্য।
—লন্ডস্থ বাংলাদেশ এ্যাকশন কমিটি ট্রাফালগার স্পেকায়ার থেকে শুরু করে ডানকানস্ট্রট,ম্যানচেষ্টার প্লেস, ওয়াটার লুব্রীজ ষ্ট্রট, পালিয়ামেন্ট ষ্ট্ৰীট, হোয়াইট হল, হর্সগার্ড হয়ে ডিনকেটারিয়া এমব্যাংকমেন্ট টেম্পল প্লেনে পর্যন্ত দীর্ঘ মিছিল করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বক্তব্য দেয়। পরে আটসদস্য বিশিষ্ট্য প্রতিনিধিদল ১০ নং ডাউনিং ষ্ট্রীটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে স্মারকলিপি পেশ করেন।
—কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ম্যানেজার মহৎপ্ৰাণ প্রকৌশলী জনাব একে এম শামসুদ্দীনকে পাকবাহিনীর মেজর আনওয়ার রিভলবারের গুলিতে হত্যা করে।উল্লেখ্য, এই মহৎপ্ৰাণ প্রকৌশলীর উদারতায় চন্দ্রঘোনা, রাঙামাটি অঞ্চলের অবাঙালীরাদের জানমাল রক্ষা পায়। বিহারীদের বাঁচানোর মাসুল দিতে হয় তাঁকে। ১০ তারিখ পর্যন্ত এ এলাকা মুক্তিফৌজের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে ছিল।
—পাক-সেনাবাহিনী এ দিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাদের সদর দফতর স্থাপনকরে।পাক-সেনারদেশের মতিয়র রহমান (মনস্তত্ববিভাগের অধ্যাক্ষ) এর পরামর্শেই ক্যাম্পাসে পরিচালিত হয়েছে হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ আর ধ্বংসলীলা। তার স্ত্রী থাকতো কর্নেল তাজের সাথে। বিনিময়ে বহু উপটৌকণ পেয়েছে। সহযোগী ছিল ডঃ কলিম, অধ্যাপক প্যাটেল এ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু বাঙালী শিক্ষক ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতেন গা ঢাকা দিয়ে। তবু ক্যাম্পাসে রয়ে গেলেন দু’জন বাঙ্গালী শিক্ষক। অংকের প্রধান অধ্যাপক ডঃ হাবিবুর রহমান এবং সংস্কৃতের অধ্যাপক শ্ৰী সুখরঞ্জন সমাদ্দার। পরিণতিতে তাঁরা শহীদের খাতায় নাম লেখালেন। উল্লেখ্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাস থাকা কালিন এ মহৎ প্রাণ অধ্যাপক ডঃ হাবিবুর রহমান, ডঃ ফজলুল হালিম চৌধুরী প্রমুখ অধ্যাপকদের চেষ্টায় ঐ সময় ডঃ মতিয়র রহমান গংদের জানমাল রক্ষা হয়েছিল। কিন্তু বিনিময়ে মাসুল দিতে হল ডঃ হাবিবুর রহমান, ডঃ সমাদার, অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুমের অমূল্য জীবন স্বাধীনতার বেদীমূলে।
-পাকবাহিনী কসবা বাজার ও কসবা রেলওয়ে ষ্টেশনে অবস্থান নেয়। পাকবাহিনী কসবা এসে নিরীহ জনসাধারণের উপর অত্যাচার, লুণ্ঠন ধর্ষণ চালায়। হাজার হাজার লোক সীমান্ত অতিক্রম করে শরণার্থী হয়েছিল। (৯ খণ্ড পূঃ ১৮৯)
-ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে মুক্তিফৌজ কসবায় পাক সেনাবাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ গোলাবর্ষণের ফলে পাকসেনাদের ৭টা গাড়ী ধবংস হয়ে যায়। ৪৫৫০ জন নিহত এবং ৭০/৮০ জন পাকসেনা আহত হয়। আকস্মিক আক্রমণে পর্যুদস্ত হয়ে কসবা ছেড়ে পাকসেনারা আড়াইবাড়ি কুটিরে পালিয়ে যায়। অনেক মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়।
-কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় পি টি আই’র গৌহাটী থেকে পরিবেশিত এক সংবাদে বলা হয়, জাতীয় আওয়ামীপটির প্রধান মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দাবি নয়, বরং পশ্চিম পাকিস্তানের কায়েমী স্বার্থের বর্বর আক্রমণের বিরূদ্ধে এক পবিত্র সংগ্রাম। ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে এক চিঠিতে মওলানা ভাসানী এ কথা জানান। তাঁর চিঠিতে ইয়াহিয়া খানের বর্বর সেনাদের নির্বিচারে গণহত্যার উল্লেখ রয়েছে।
– এ্যান্টনী মাসকাবেনহাস পাকসরকারের তথ্যমন্ত্রনালয়ের আক্রমণে কয়েকজন সহকর্মী সাংবাদিকসহ পূর্ববাংলা সদরে আসেন। ঢাকায় পাকসরকার আঞ্চলিক তথ্য অফিস সফরের আয়োজন করেন। সেনাবাহিনীর কার্যকলাপকে বড় করে দেখাতে হবে এবং সব জায়গায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে এটা প্রচারে প্রাধান্য দিতে হবে। পরে তাঁর “দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ঢাকা সফর। আমাদের জন্য সেই হৃদয় বিদারক ঘটনার উপলব্ধিতে চোখ খুলে দিল। আমার এক সহকমী আমাদের দু’দিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি ফিস ফিস করে আমাকে বললেন, তারা (পাকসেনা) হিন্দুদের ওপর গনহত্যা চালিয়েছে আর বাঙ্গালী বুদ্ধিজীবীদেরকে নির্মূল করেছে। তবু এই সাংবাদিক করাচীতে ঘটনার উল্টো প্রতিবেদনই পাঠাতেন। রেডিও সংবাদদাতা এবং টেলিভিশনের ক্যামেরা ম্যান ঐ একই কাজ করতেন –লেঃ জেঃ টিক্কা খান বলেন,The Muslims of East Pakistan, who had played leading part in the creation of Pakistan, are determined to keep it alive. However, the voice of the Vast majority had been suppressed through coercion, threat to life and properly by a vocal, violent and aggressive minority, which forced the Awami League to adopt the destructive course.
অর্থাৎ আওয়ামীলীগ যে ধবংসাত্মক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে তার পিছনে রয়েছে একটা মুখর, তুখড় ও হামলাকারী সংখ্যালঘু। উল্লেখ্য প্রথম রাতেই (মার্চ ২৫) ঢাকা শহরে তিন ব্যাটেলিয়ান সৈন্য নামালো। ট্যাংক ও বোমা ব্যবহার করলো। হত্যা লুণ্ঠন ও গৃহদাহের মাধ্যমে কায়েম করলো ত্ৰাসের রাজত্ব।
-দি অবজারভার পত্রিকায় মুজিবনগর সরকার গঠনের সংবাদ প্রকাশিত হয়। ১৭ই তারিখে বৈদ্যনাথতলায় আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাজউদ্দীন আহমদ শপথ গ্রহণ করেন। প্রায় পাঁচ হাজার বাংগালী এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সমবেত হন। মুক্তিবাহিনীর রাইফেলধারী তরুণরা বাংলাদেশ সরকারের সদস্য, বিদেশী সাংবাদিক ও অন্যান্য অতিথিদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
—“দি সানডে টেলিগ্রাফ” পত্রিকায় বিচারপতি চৌধুরীর সংগে সাক্ষাৎকারের এক বিবরণ প্রকাশিত হয়। গত সপ্তাহে “ম্যানড্রেক” কর্তৃক গৃহীত এই সাক্ষাৎকার সংবাদপত্রের প্রতিনিধির সংগে সর্বপ্রথম সাক্ষাৎকার বলে উল্লেখ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের হৃদয়বিদারক বিবরণ দিয়ে বিচারপতি চৌধুরী বলেন, এরপর অখণ্ড পাকিস্তানের আদর্শ মরীচিকা মাত্র। তিনি আরও বলেন, দু’সপ্তাহ যাবৎ ক্রমাগত বোমা ও গুলির সাহায্যে জনসাধারণকে নির্বিচারে হত্যার পর পূর্ব বাংলার ভয়াবহ পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের“ঘরোয়া ব্যাপার” বলে গণ্য করা চলবে না।
—লন্ডনে এক সম্মেলনে ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা আন্দোলনের (“মুভমেন্ট পর কলোনিয়াল ফ্রীডম”)—এর চেয়ারম্যান লর্ড ব্রকওয়ে বলেন, পূর্ব বংগে পাকিস্তান সৈন্যবাহিনীর আক্রমণ হিটলার আমলের পর দুনিয়ার সবচেয়ে অনুভূতিহীন ও বর্বরতম আক্রমণ বলে পরিগণিত হবে। সম্মেলনে গৃহীত এক প্রস্তাবে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসাবে স্বীকৃতিদানের দাবী জানান হয়। পরাধীনতার বিরুদ্ধে সংগ্রামকারী এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ‘লিবারেশান’ নামে পরিচিত।
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী